সোমবার খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
Published : 23 Sep 2024, 05:09 PM
খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিতে নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের তৃতীয় দিনেও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার তৃতীয় দিনের মতো খাগড়াছড়ির সঙ্গে রাঙামাটি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়িসহ উপজেলাতেও সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
অবরোধের মধ্যে দুপুরে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রামের মানিকছড়ি এলাকায় সড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষুদ্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ। অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং না থাকলে ভয় ও আতঙ্কের কারণে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
সকালে দীঘিনালা বাস স্টেশনের অটোরিকশার চালক ফয়েজ মিয়া বলেন, “যাত্রী সংকটের কারণে সারাদিনে একবারের বেশি আসা-যাওয়া করা যায় না। ঘণ্টা দুয়েক পর পর একটা গাড়ি যাচ্ছে। তিনদিন ধরে আয় রোজগার বন্ধ।”
অটোরিকশার চালক বাবুল আহমেদ বলেন, “আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখানে ঝুঁকি নিয়ে হলেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে। স্টেশনে তেমন যাত্রীও নেই।”
এদিকে দূরপাল্লার যানচলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
আগুন দেওয়ার চারদিন পর সোমবার সকালে লারমা স্কয়ারে পণ্য বিক্রি শুরু করেছেন কয়েকজন বিক্রেতা।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “অবরোধের শেষ দিন কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নিরাপত্তা জোরদারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।”