বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কাটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 10 Apr 2025, 06:33 PM
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজনের প্রাণ গেছে; এতে আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান নিয়ামতপুর থানা ওসি হাবিবুর রহমান।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার প্রয়াত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই এলাকার প্রয়াত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।
আহতদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এ ছাড়া আটকদেরও নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহত ও আহতদের পরিবারের চলছে শোকের মাতম।
ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও লালচানের পাশাপাশি জমি রয়েছে। সাইফুলের বাবা তাদের জমিতে গাছ লাগিয়েছিলেন। তবে জমি মাপজোকের পর গাছগুলো লালচানের মধ্যে পড়ে।
গাছ লাগানোর সুবাদে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বুধবার দুটি মেহগনি গাছ কেটে নেয় সাইফুল। তবে গাছ কাটায় সময় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাইফুলকে দেখতে পেয়ে তার অংশ বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে বলেন লালচান। সাইফুল অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে লালচানসহ ২০ থেকে ২২ জন তার ওপর আক্রমণ করেন।
“এ সময় সাইফুলকে রক্ষা করতে প্রতিবেশী শরিফুল ইসলাম এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই শরিফুল মারা যান। আহত হন আজিজুল হকসহ আরও ১২ জন।”
ওসি বলেন, আহতদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আজিজুলসহ পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে আজিজুল মারা যান।
হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনা জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন ও গ্রামবাসী।