Published : 04 Mar 2023, 02:11 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর ‘মুক্তিপণের বিনিময়ে’ দুই শিশুকে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা।
তবে স্বজনরা মুক্তিপণের বিনিময়ের শিশুদের ছাড়িয়ে আনার দাবি করলেও পুলিশ বলছে, অভিযানের মুখে ওই শিশুদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অপহরণকারীরা।
শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়ার গহীন পাহাড়ী এলাকা থেকে ওই শিশুদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হল- মারিশবুনিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. ওবায়দুল্লাহ (১৫) এবং একই এলাকার হোসাইন আলীর ছেলে মো. সালমান (৬)।
শিশুদের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার প্রতিবেশী দুই শিশু বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়। খেলার এক পর্যায়ে সন্ধ্যার আগে ওই শিশুরা বাড়ির পার্শ্ববর্তী সোনার পাড়া-টেকনাফ সড়কে অবস্থান করছিল।
এ সময় অটোরিকশায় সেখানে আসে ২-৩ জন দূর্বৃত্ত। তারা অস্ত্রের মুখে শিশুদের তুলে নিয়ে যায়।
পরিদর্শক মশিউর বলেন, শুক্রবার রাতে খবর পাওয়ার পর থেকে অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগী শিশুদের ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
“এক পর্যায়ে মধ্যরাত দেড়টায় টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার পাহাড়ী ঢালু থেকে দুই শিশুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, “উদ্ধার মো. সালমানের বয়স কম হওয়ায় রাতেই তাকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর শিশু ওবায়দুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।"
ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই পরিদর্শক।
এদিকে, অপহৃতদের স্বজনরা জানান, দুই শিশুর মধ্যে একজনের কাছে মোবাইল ফোন ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেই মোবাইল ফোনের নম্বর থেকে কল করে দুর্বৃত্তরা ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
“পরে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতে সালমানকে অপহরণকারীরা ছেড়ে দেয়। তাকে আনতে গেলে নিকটবর্তী পাহাড়ী এলাকায় অপর শিশু ওয়ায়দুল্লাহর কান্নার শব্দ শুনতে পান স্বজনরা,” বলেন সালমানের মামাতো ভাই হামিদ হোসেন।
“পরে লোকজনের আনাগোনা টের পেয়ে অপহরণকারীরা ওবায়দুল্লাহকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশকে জানান হয়।”
তবে মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কীভাবে অপহরণকারীদের দেওয়া হয়েছে- সে বিষয়ে কিছু জানান নি শিশুদের স্বজনরা।
আরও পড়ুন