শনিবার খালিয়াজুড়ি উপজেলার দুটি জলমহালের মাছ ‘লুটের চেষ্টা’ হয়েছিল বলে ইজারাদাররা অভিযোগ করেন।
Published : 10 Mar 2025, 04:32 PM
মাছ শিকারের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিকারিদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের দুই দিন পর নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি উপজেলার হাওরের একটি নদী থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার নাওটানার পাশে আশালিয়া ঘাট ধনু নদী থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয় বলে খালিয়াজুড়ি থানার ওসি মকবুল হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন- কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৯), আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে শহীদ মিয়া (৫৫) এবং মদন উপজেলার বাগজান গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে রোকন মিয়া (৫২)।
শনিবার খালিয়াজুড়ি উপজেলার দুটি জলমহালের মাছ ‘লুটের চেষ্টা’ হয়েছিল বলে ইজারাদাররা অভিযোগ করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক পরিবহনে করে হাজারো মানুষ কাঁঠালজান ও মরাগাঙ্গে মাছ ধরার জন্য ধনু নদীর পাড়ে জড়ো হন। দুটিই সরকারি ইজারার অংশ।
শিকারীরদের হাতে ছিল মাছ ধরার উপাদান ও দেশীয় নানা অস্ত্র। পরে এলাকাবাসী তাদের প্রতিরোধ করে এবং এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এ সময় রসুলপুর ফেরি ঘাটে বিক্ষুব্ধ লোকজন শিকারিদের শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোকজন আহত হন। উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর থেকে কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
ওসি মকবুল হাসেন বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার সংঘর্ষের সময় ওই তিনজন নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পার হতে না পেরে তারা ডুবে মারা যান। পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তাদের ডুবুরি দলের সাহায্যে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিল। ”
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে নেত্রকোণা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি জানান, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।
আরও পড়ুন