ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটকের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
Published : 08 Mar 2025, 08:51 PM
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে ইজারার জলমহালে মাছ ধরতে আসা লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর এসেছে।
শনিবার দুপুরে উপজেলার রসুলপুর গ্রামের পাশে ধনু নদীর ফেরিঘাটে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
এসময় যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহত ও আটকদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি তারা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে খালিয়াজুরী উপজেলার ইজারার কাঁঠালজান ও মরাগাঙ্গে মাছ ধরার জন্য ধনু নদীর পাড়ে জড়ো হন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে আসা শত শত মানুষ।
শিকারিরা রসুলপুর ফেরিঘাটের পাশে পিকাপ ভ্যান, ব্যাটারি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ট্রলি, মোটরসাইকেল রেখে ধনু নদী পাড় হওয়ার চেষ্টা করেন।
তখন ফেরিঘাটের লোকজনের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
পরে ঘাটের লোকজনের পক্ষে স্থানীয়রা অংশ নিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এ সময় মাছ ধরতে আসা আসা লোকজন রসুলপুর ফেরিঘাটের দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করেন।
পরে তারা বসতবাড়িতেও হামলা করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা মাছ ধরতে আসা লোকজনের পরিবহনের শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশত লোকজন আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গাড়িতে দেওয়া আগুন নেভায়।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নয়ন ঘোষ বলেন, “এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা মাছ শিকার করতে গিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। সব রোগী একসাথে আসায় নাম-পরিচয় সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছেন।”
খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মকবুল হোসেন বলেন, “আমি ঘটনা স্থলে আছি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর ও আহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুলিশ কাজ করছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হচ্ছে। পুরো তথ্য দিতে সময় লাগবে।”