“আক্কাস মাতুব্বর এবং হাসিম খানের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল।”
Published : 03 Feb 2025, 04:37 PM
ফরিদপুরের সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় সংঘর্ষে নেতৃত্ব প্রদানকারী দুই নেতার বাড়িসহ অন্তত ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। তাদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ফুসরা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয় বলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান জানান।
ফুসরা গ্রামটি কানাইপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন আক্কাস মাতুব্বর। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন ওই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম খান।
এলাকাাসী জানায়, রোববার বিকালে এলাকার একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সোমবার সকালে হাসেম খানের সমর্থকরা কয়েকশ লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বরের বাড়িসহ তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। তার ১০ লক্ষাধিক টাকার গরু-ছাগল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে আক্কাসের সমর্থকরা সংগঠিত হয়ে হাসেমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় আটজন আহত হন। এর মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
কানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, “আক্কাস মাতুব্বর এবং হাসেম খানের মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে এ ঘটনা ঘটে।”
আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, “রোববার রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে লিপ্ত হব না বলে কথা দিয়েছিলাম । আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান তা মানেন নাই। তার সমর্থকরা সোমবার সকালে অতর্কিত আমার বাড়িসহ আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর ও দশ লাখ টাকার গরু ছাগল লুটপাট করে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা হাসেম খান বলেন, “আক্কাসের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করেছে।”
ওসি আসাদউজ্জামান বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”