এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
Published : 23 Jan 2025, 12:52 AM
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার এক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে উঠেছে; যিনি আগেও একই কারণে জেল খেটেছেন।
এ ঘটনায় জড়িতের শাস্তি দাবিতে উপজেলার আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। পরে ওই অফিস সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকালে নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থী অফিস সহকারীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন বলে জানান সোনাগাজী মডেল থানার ওসি বায়েজিদ আকন।
আসামি মো. নুর নবী ওরফে শেখ ফরিদ (৪২) উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের আহাম্মদপুর চরডুব্বা গ্রামের বাসিন্দা ও আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯ জানুয়ারি অফিস সহকারী নুর নবীর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা না করায় শিক্ষার্থীরা বুধবার দুপুরে সোনাগাজী-ফেনী আঞ্চলিক সড়কের মতিগঞ্জ এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাসহ ফৌজদারি অপরাধের শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
খবর পেয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান, ওসি বায়েজিদ আকন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যান।
পরে দুপুরে অফিস সহকারী নুর নবীকে সাময়িক বরখাস্ত করেন আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়া বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মামলার পর থেকে নুর নবী আত্মগোপনে চলে যান।
ওসি বায়েজিদ আকন বলেন, “নুর নবীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আরেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। সেই সময় জেলও খেটেছেন তিনি।”