ওই শিক্ষার্থীকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
Published : 04 Feb 2025, 10:26 PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ আবাসিক হলে পোড়া কোরআন শরিফ উদ্ধারের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।
মঙ্গলবার রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, সাইবার ক্রাইম ইউনিট ফরিদকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যান এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন।
১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পোড়া কোরআন শরিফ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় মামলা করে।
রাবির পাঁচ হলে পোড়া কোরআন, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, তদন্ত কমিটি
পুলিশ জানায়, এরপর থানার পাশাপাশি মহানগর পুলিশের সিটিটিসি, সাইবার ক্রাইম ইউনিটের টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ভিডিও বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
এরপর রাজশাহীর একটি সমন্বিত দল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় ফেরদৌসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, “গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ ছিল কিনা সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তার রাজনৈতিক পরিচয় এবং এই ঘৃণ্য কাজের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”