দেশে বিদেশে: ক্রিসিকে অশেষ ধন্যবাদ, পর্ব ১২

ক্রিসি আমার একজন ভালো আমেরিকান বন্ধু। সে দুঃসময়ে আমাকে চাকরি পেতে সহায়তা করেছিল। ক্রিসির সঙ্গে আমার পরিচয় জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটিতে।

মো. রওশন আলম, যুক্তরাষ্ট্র থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2020, 08:25 AM
Updated : 27 Jan 2020, 08:25 AM

জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের মধ্যে একটি বৃহৎ ইউনিভার্সিটিই কেবল নয়, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ কয়েকটি মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে অন্যতম। হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, ডিউকের সমান্তরালে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সুনাম ছড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। এ ভার্সিটিটি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির পাশাপাশি উন্নত গবেষণার সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ছাত্র বা গবেষক হিসেবে সম্পৃক্ত থাকাটা সৌভাগ্যের বিষয়। আমি দেখেছি যে, বাংলাদেশের মহাখালীতে অবস্থিত আইসিডিডিআরবির (কলেরা হাসপাতাল) গবেষকরাও মাঝে মধ্যে এখানে আসতেন গবেষণা করতে। আবার বাংলাদেশি ছাত্র ও গবেষকরাও রয়েছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের দোরগোড়ায় ও ল্যাবরেটরিতে।

আমার সুযোগ হয়েছিল পাবলিক হেলথ বিল্ডিং এর বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি ডিপার্টমেন্টে গবেষণা করার। বালটিমোর ডাউনটাউনে জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির মেইন ক্যাম্পাস। এখানেই পাবলিক হেলথ ডিভিশন। এখানে ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে উঠি ক্রিসি, ট্রেসি, অ্যান ও ক্রিসের সঙ্গে। তারা সবাই আমার কলিগ। একই ল্যাবরেটরিতে আমাদের গবেষণার কাজ।

ক্রিসি ও ট্রেসি দুজন ইয়ং স্মার্ট লেডি। দুজনই তখন পিএইচডির স্টুডেন্ট। আর অ্যানের আসল নাম হচ্ছে অ্যানি। হিসিকার কাটছাট করে বানানো হয়েছে অ্যান। সে একজন ইন্ডিয়ান কানাডিয়ান ইয়ং লেডি। সে তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক ক্রিসের সঙ্গে রিসেন্টলি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ক্রিস এবং অ্যান দুজনই পিএইচডি শেষ করে তখন পোস্ট ডক্টরেট করছিলেন একই ল্যাবে। ক্রিস একজন কানাডিয়ান নাগরিক। আমাদের সবার রিসার্চ ম্যানটর ছিলেন অলিগোনিউক্লিওটাইড ফিল্ডের একজন জাঁদরেল প্রফেসর ড. পল মিলার।

আরো বেশ কয়েকজন পিএইচডি স্টুডেন্ট ও টেকনিশিয়ানের সমন্নয়ে পল মিলারের ল্যাব গঠিত। তার ল্যাবরেটরির গবেষণার মেইন থিম হচ্ছে মডিফাইড অলিগোনিউক্লিওটাইড ব্যবহার করে কিভাবে শরীরের ভিতরের ডিফেকটিভ জিন রিপেয়ার করা যায়। থিমটি সংক্ষিপ্ত হলেও এর পরিধি ব্যাপক। তাই আমরা এক একজন গবেষক এক একটি বিষয় নিয়ে ওই থিমটির সাক্সেসের জন্য গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম।

উপরের এ সংক্ষিপ্ত হিস্ট্রিটি ছিল ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের। এখন তা প্রায় ১৪-১৫ বছরের অতীত। তবুও উপরোক্ত কলিগদের সঙ্গে আমার পরিচয় ও বন্ধুত্ব বিলীন হয়ে যায়নি। ক্রিস বর্তমানে কানাডার কঙ্করডিয়া ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রির অধ্যাপক। অ্যান সেখানেই একজন রিসার্চার। ট্রেসি যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্টেট ইউনিভার্সিটির কেমিস্ট্রির প্রফেসর। আর ক্রিসি? সেও সায়েন্টিফিক ফিল্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সে একজন সায়েন্টিফিক জার্নালের এডিটর হিসাবে কাজ করছেন। ক্রিসির সঙ্গে আমার ও আমার পরিবারের বন্ধুত্বটা একটু বেশিই বলা যায়। এর পিছনে একটি বিশেস কারণও রয়েছে। ক্রিসি আমার ক্যারিয়ার ডিভালপমেনটের এক বিশেষ মুহূর্তে বিশেষ এক বন্ধু হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল।

আমার যখন এনআইএইচ পোস্ট ডক্টরেট প্রায় শেষ হয়ে আসার উপক্রম (ফেব্রুয়ারি ২০০৬ সালে), তখন একটি চাকরি খুঁজছিলাম। ততদিনে ক্রিসি জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বিখ্যাত ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট ডক্টরেট করছিল। নাম তার ডিউক ইউনিভার্সিটি। ডিউক হচ্ছে নর্থ ক্যারোলিনার ডারহাম শহরে অবস্থিত। অলিগোনিউক্লিওটাইড ফিল্ডের আরেক সুপার স্টার ড. বারবারা শ’য়ের ল্যাবে তখন ক্রিসি গবেষণা করছিল। ড. বারবারা শ বোরানো ফসফেট অলিগোনিউক্লিওটাইডের একজন জনক। তার ল্যাবে গবেষণা করার সুযোগ পেয়ে ক্রিসি উৎফুল্ল। ইতিমধ্যে সে ড. শ’য়ের ল্যাবে তার বিচক্ষণতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেছে।

আমার এনআইএইচের চাকরির সময় প্রায় শেষ হয়ে আসছে। মাত্র তিনমাস সময় তখন হাতে। জে- ওয়ান (জে-১) ভিসাতে তখন কাজ করছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে (এনআইএইচে)। জে-ওয়ান একটি ফানি ভিসা। এ ভিসাটি যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেঁধে দেওয়া হয়, ঠিক সে সময় পর্যন্তই ইউএসএ-তে চাকরি করা যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হলে বিমানের টিকিট কেটে সোজা দেশে ফেরত। অন্যথায়, ওয়েভার নামক একটি টার্ম আছে। যে টার্মের অধীনে বাংলাদেশে যদি কোনো চাকরি থেকে থাকে, সেখান থেকে এর দায়মুক্তি নিতে পারলে, অন্য কোনো ভিসায় তখন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার সুযোগ থেকে যায়। আমি সেরকম একটি অবস্থার মধ্যে সময় কাটাচ্ছিলাম মেরিল্যান্ডে। আমার হাতে তিনমাস সময় থাকলেও বাংলাদেশে ফিরে যাবার জন্য প্লেনের টিকিট তখনো কাটা হয়নি।

নতুন চাকরি খুঁজছিলাম। হন্যে হয়ে। ইউনিভার্সিটি অথবা ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হউক। সিভি পাঠানো শুরু করেছি। ইতিমধ্যে এও জেনে গিয়েছি যে, জে-ওয়ান ভিসার পরিবর্তে এইচ-ওয়ান ভিসা পাওয়া কঠিন কোনো বিষয় নয়। সে জন্য দরকার ওয়েভার লেটার ও একটি নতুন চাকরি। ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ এমব্যাসি এই ওয়েভার লেটার দিয়ে থাকেন। এ লেটার পাওয়ার জন্য কাউকে কখনো বেগ পেতে হয়েছে বলে আমি শুনিনি। আমাকেও কোনো বেগ পেতে হয়নি। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় বাংলাদেশ এমব্যাসি আমাকে ওয়েভার লেটার দিয়েছিল।

২০০৫ সালের শেষের দিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এসিএস (আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি) কনফারেন্স চলছিল। আমার ছিল পোস্টার প্রেজেন্টেশন। হাজার হাজার সায়েন্টিস্টদের এক মহা সমাবেশ এ এসিএস কনফারেন্স। আমাদের দেশে অবশ্য রাজনীতিকরা জনগণ নিয়ে মহাসমাবেশ করে থাকেন। সেই সমাবেশ থেকে নানা হুংকার ছাড়া হতো। দেশ অচল করে দেবার মতো হুংকার, যেমন হরতাল, ধর্মঘট। তখন বাংলাদেশে প্রচুর ধর্মঘট ও হরতালের একটা রেওয়াজ ছিল। চুন থেকে পান খসলেই হরতাল হত। মানুষ চাক বা না চাক, জোর করে রাজনীতিকরা মানুষের উপরে হরতাল বা ধর্মঘট নামক অর্থনীতি পঙ্গু করার এক দৈত্য চাপিয়ে দিত।

এছাড়া আরেক ধরণের বিশাল সমাবেশ আমরা দেখে থাকি আমাদের দেশে। তা হচ্ছে ঈদের বাজার। মানুষের ঢল। গরু ছাগল মহিষ ভেড়া ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এক বিশাল হাট বসে থাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে বেশ চড়া দামে ভাল গরু-মহিষ-ছাগল কোরবানির জন্য কেনা হত। কিন্তু ওয়াশিংটন ডিসির এই সমাবেশ ঈদের বাজারে গরু ছাগলের হাট বা রাজনীতিকদের হরতাল-ধর্মঘট ডাকার মতো জনসমাবেশ নয়, এটি বিজ্ঞানচর্চার জন্য এক হাট বা মহাসমাবেশ। সেখানে দেশ বিদেশের সায়েন্টিস্টরা তাদের গবেষণার সেরা রেজাল্টটি প্রেজেন্ট করতে এসেছেন। কেউ কেউ এসেছেন শুধু জ্ঞান আরোহণের জন্য। সেই কনফারেন্সে এসে কিছু প্রফেসরের সঙ্গে পরিচয় হল। দুঃসময়ে সেখানে চাকরির সুবাতাস পেতে শুরু করলাম।

যাই হোক, দেশে ফিরে যাবার সময় তখন ঘনিয়ে আসছিল। এসিএস কনফারেন্স থেকে চাকরির জন্য সুবাতাস পেলেও কোনো চাকরি তখনো কপালে জোটেনি। বাংলাদেশে ফেরার জন্য বিমানের টিকেট কাটবো কি কাটবো না, তা নিয়ে ভাবছি আর ভাবছি। দেশে কোনো চাকরিও অতীতে করে আসিনি যে ফিরে গিয়ে সেখানে আবার ঢুকতে পারবো।

এমন দোটানা একটা সময়ে ওহী হিসাবে নাজিল হল, ক্রিসির এক চিঠি। সেখানে চাকরির এক সুযোগের কথা বলা আছে। ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনাতে (চ্যাপেল হিল ক্যাম্পাস, সংক্ষেপে ইউএনসি-চ্যাপেল হিল)। প্রফেসর রুডি জুলিয়ানোর ল্যাবে (নিউ ইয়র্কের মেয়র রুদি জুলিয়ানি নয়)। রিসার্চ ফ্যাকাল্টি। আমি আরো বেশি অবাক হলাম সরাসরি রুডি জুলিয়ানোর কাছ থেকে একটি ইমেইল পেয়ে। সেই ইমেইলের ভাষা বঙ্গানুবাদ করলে যা দাঁড়ায়, তা ঠিক এরকম-

‘প্রিয় ড. রওশন আলম, আমি ক্রিসি ও বারবারা শয়ের মাধ্যমে তোমার রেজমি পেয়েছি। রেজমিটি আমাকে অভিভূত করেছে এই কারণে যে, তোমার এনআইএইচের গবেষণার ডিরেক্ট এক্সস্পিরিয়েন্স আমার গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি ইতিমধ্যে কয়েকটি ক্যান্ডিডেটের ফর্মাল ইন্টার্ভিউ নিয়েছি। তুমি ইন্টারেস্টেড হলে আমি তোমার ইন্টার্ভিউয়ের ডেট এবং প্লেনের টিকিট অ্যারেঞ্জের জন্য আমার সেক্রেটারি বেথকে জানিয়ে দিবো। সেলারি নিগোসিয়েবল.........।’

বলতে দ্বিধা নেই যে, সেসময় ইউএনসি-চ্যাপেল হিল রেঙ্কিং এ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম দশটি পাবলিক ইউনিভার্সিটির মধ্যে একটি। রিসার্চ কোয়ালিটিতে ইউএনসি-চ্যাপেল হিল এগিয়েছে অনেক দূর। সেসময় ড. ওলিভার স্মিথি ইউএনসি-চ্যাপেল হিল থেকে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০০৭ সালে।

ক্রিসিকে ফোন করে জানালাম ড. জুলিয়ানোর ইমেইল সম্পর্কে। সঙ্গে তাকে আন্তরিক এক বিশেষ ধন্যবাদ জানালাম- যে ধন্যবাদের কোনো শেষ পরিসীমা নেই। জানতে পারলাম যে ড. জুলিয়ানো সেল সিগনালিং এবং অলিগোনিউক্লিওটাইড ড্রাগ ডেলিভেরি রিসার্চ ফিল্ডের একজন পাইওনিয়ার। ক্রিসি আরো জানালো যে ড. জুলিয়ানো ফার্মাকোলজি ডিপার্টমেন্টে গত ১৬ বছর ধরে চেয়ারের দায়িত্বে নিয়োজিত। গবেষণায় অতি নামিদামি একজন প্রফেসর। তাছাড়া ইউএনসি-চ্যাপেল হিলের ফার্মাকোলজি ডিপার্টমেন্টের রেঙ্কিং তখন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এক নম্বরে। এমন স্বনামধন্য একজন মানুষের কাছ থেকে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য ইমেইল পেয়ে অভিভূত হয়ে গেলাম। নিজেকে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য প্রস্তুত করে তুললাম।

কদিনের মধ্যেই ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনাতে (চ্যাপেল হিল) আমার চাকরির ইন্টার্ভিউ হয়ে গেল। এক সপ্তাহের মধ্যে অফার লেটারও হাতে এসে গেল। ভিসা পরিবর্তন হলো তার আরো দুসপ্তাহ পরে এক্সপেডাইট প্রসেসে। স্পন্সর হলেন ইউএনসি-চ্যাপেল হিল। জে-ওয়ান থেকে এইচ-ওয়ান বা ওয়ার্কিং ভিসা। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ছ’বছর এই এইচ-১ ভিসায় চাকরি করা যায়। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃপা যে, আমার মাথার উপর থেকে বিশাল সাইজের একখণ্ড অদৃশ্য পাথরের চাপ নেমে গেল। ক্রিসির সঙ্গে আমার ও আমার পরিবারের বন্ধুত্ব আরো বেড়ে গেল। আমার ভাল ও পারিবারিক বন্ধুদের পাতায় ক্রিসির জায়গা সব সময় রয়ে গেছে।

২০০৭ সালে যখন ক্রিসির বিয়ে হয়, আমি ও আমার পরিবার সেই বিয়েতে যোগ দিই। হাই-প্রফাইল বিয়ে। লোকেশন- ন্যাচারাল ব্রিজ, ভার্জিনিয়া। অসাধারণ লোকেশন। স্পেকটাকুলার। নর্থ ক্যারোলিনা থেকে সেখানে মাত্র তিন-সাড়ে তিন ঘণ্টার ড্রাইভ। বিয়েতে ক্রিসি ও মাইকের বন্ধু, ইউনিভার্সিটি লেভেলের কলিগ ও পরিবারের সদস্যরা হচ্ছেন অতিথি। বিয়ের আগে মাইক ও ক্রিসির মধ্যে সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। তবে বিয়ের আগের চেয়ে বিয়ের পরের সম্পর্ক তাদের টিকে ছিল স্বল্প। মাইক সেই আগের মাইক আর ছিল না।

যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির বাজারে প্রথমে কোয়ালিটি তারপর কানেকশন একটি বড় শক্তি। ক্রিসির সঙ্গে আমার কানেকশন দুঃসময়ে ইউএনসি-তে চাকরি পেতে বড় সহায়তা করে। সেই সূত্র ধরেই ইউএনসি, লাইনবার্গার ক্যান্সার সেন্টার ও ডিউকের মতো নামিদামি ইন্সটিটিউটের একদল সায়েন্টিস্টদের সঙ্গে আমার নেটওয়ার্ক গড়ে উঠে যা আজো অটুট রয়েছে। যার পুরো কৃতিত্বই ছিল ক্রিসির। সেই ক্রিসির প্রতি সীমাহীন ধন্যবাদ জানালেও তা অসামান্যই থেকে যায়।  

লেখক: বোস্টনের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত

ই মেইল: alamrowshon@gmail.com

(চলবে)

আগের পর্ব

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!