দেশে বিদেশে: যুদ্ধের দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস, পর্ব ১১

যুদ্ধ মানেই নিঃশেষ হওয়া, যেখানে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সর্বস্ব হারানো এক স্মৃতির নাম যুদ্ধ। যুদ্ধ জীবন কেড়ে নেয়। যুদ্ধ পঙ্গু করে দেয় দেহ ও দেশ।

মো. রওশন আলম, যুক্তরাষ্ট্র থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2019, 10:20 AM
Updated : 28 Nov 2019, 10:23 AM

এমন বিধ্বস্ত দুটি দেশের নাম আফগানিস্তান ও ইরাক। ৯/১১ যখন হয়, তখন লাইভ টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি কিভাবে দুটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক শহর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে দণ্ডায়মান টুইন টাওয়ারে আছড়ে পরে তা ধ্বংস করে ফেলেছিল। হলিউড মুভিকে যা হার মানিয়েছিল।

অতীতে এমন দৃশ্য মানুষ কেবল মুভিতে দেখেই অভ্যস্ত ছিল। কিন্তু বাস্তবে? এই দিনের পর পৃথিবীর চেহারাটা যেন পাল্টে যেতে শুরু করেছিল। সেই পাল্টানোর নাম যুদ্ধ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আর সেই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের খাতায় প্রথম উঠেছিল যে দেশটির নাম তার নাম আফগানিস্তান। পরের দেশটি ছিল ইরাক।

একদিকে ৯/১১ এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রত্যেকের সহানুভূতি যেমন অবশ্যই কাম্য ছিল, অন্যদিকে সেই ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে বুশ প্রশাসন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ শামিল হওয়ার জন্য ডাক দিলেন, যা তারা অনেকটা অতিরঞ্জিতও করে ফেলেছিলেন।

আমি এসেছি তখন বালটিমোর শহরে। তিন বছরের জন্য গবেষণার একটি কাজে যোগ দিতে। ২০০৩ সাল। মার্চ মাস। আমার ছেলেমেয়ে রিনভী ও রাকীন। তারা বেশ ছোট। তাদের কার্টুন দেখার জন্য একটি টেলিভিশন কিনেছি মাত্র। সাড়ে তিনশো ডলারে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সস্তা দোকান ওয়ালমার্ট থেকে। ল্যাব থেকে বাসায় ফিরে সেই টেলিভিশনটি চালিয়ে দিতাম। চ্যানেলগুলো ওপেন করলেই তখন দেখা যেত- যুক্তরাষ্ট্রে যেন যুদ্ধের দামামা চলছে।

আফগানিস্তান থেকে যুদ্ধ ইরাকের দিকে সংক্রমিত করার পাঁয়তারা চলছে। অবস্থা দেখে এমন মনে হচ্ছে যে, ইরাক আক্রমণ করতে না পারলে প্রেসিডেন্ট বুশ সাহেবের যেন ঘুম মোটেই ধরছে না অথবা নিদ্রা তার প্রশান্তিময় হচ্ছে না। রামসফেল্ড, ডিকচেনি, কন্ডোলিসা রাইস ও কলিন পাওয়েলদেরকে টিভির চ্যানেল খুললেই দেখা মিলত। তারা ছিলেন বুশ প্রশাসনের এক একটা স্তম্ভ।

কিছুদিন আগেই আফগান যুদ্ধ তারা বাজিয়েছেন। সেই যুদ্ধের শুরুতে এমন একটা আবহাওয়া ও পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন তারা যে তাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেই কেবল ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ শামিল থাকা প্রমানিত হবে। অন্যথায়, সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসের পক্ষ বলেই তারা ধরে নিবেন।  অর্থাৎ মাঝামাঝি বা নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে অবস্থান নেবার কোনো সুযোগ তখন ছিল না।

আর মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হলে তো আরও মুশকিল। অবস্থা এমন বেগতিক করেছিলেন তারা যে, আমাদের (বুশ প্রশাসন) সঙ্গে থাক, না হয় তোমরা সন্ত্রাসীদের কাতারে আছো, এমন একটা ধ্যান-ধারনার সৃষ্টি হতে লাগলো। যা মোটেই কোনো দেশের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না।

২০০৩ সাল। ৯/১১ এর পর ইতোমধ্যে প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। অথচ ৯/১১ এর রেশ যেন তখনো কাটেনি। ২৬টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের প্রতি ছিল বিশেষ সতর্কতা। আমার মনে পড়ে যে, আমি যেহেতু বাংলাদেশি নাগরিক, তাই আমাকে বালটিমোর শহরে আসার পর পরই একটা সরকারি অফিসে যেতে হয়েছিল। বালটিমোর ডাউনটাউনে। নিবন্ধন করতে অর্থাৎ স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন করতে। ২৬ দেশের মুসলিম নাগরিকদেরকে এ পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হতোই। কোনো উপায় নেই।

আপনি ক্রিমিনাল না হলেও আপনার উপর এক ধরণের নজরদারি। যা আপনার অনুভূতি বা ভাল লাগা না লাগার সঙ্গে মোটেই সম্পর্কিত নয়। আপনি এই বিশেষ নিবন্ধনে অপমানিত বোধ করলেও এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবেন না। কারণ, ৯/১১ এর সঙ্গে যে ১৯ জন সন্ত্রাসীর যোগসূত্র  ছিল তাদের নাম ইসলামিক ছিল। তাই মুসলিমরা সন্ত্রাসী হতে পারে এমন একটি ধারনা তখন বিরাজ করছিল। স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন সেই সন্দেহের সূত্র থেকেই গাঁথা। যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ করতে এই বিশেষ ব্যবস্থাটি তখন চালু ছিল। তবে এই পদ্ধতিটি শিশু ও নারীদের উপর কার্যকর ছিল না।

দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র যখন আফগানিস্তান যুদ্ধে গিয়েছিল, তখন কিছু দেশকে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স করতে পেরেছিল। প্রায় ৪০টি দেশ। ন্যাটোর সঙ্গে অধিভুক্ত দেশগুলোও শামিল হয়েছিল। উদ্দেশ্য তালেবানদের উৎখাত করা। যুক্তরাষ্ট্রের ধারনা ছিল যে, এই তালেবান সরকারই আল-কায়েদা ও তার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। আফগানিস্তানে বসে ওসামা বিন লাদেন সন্ত্রাসী হামলার ছবি আঁকছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধারনার কোনো ভিত্তি থাক বা না থাক, সেই সময় আমেরিকানদের মধ্যে যে ইমোশন বিরাজ করছিল তা প্রশমনের জন্য বুশ সাহেব আফাগানিস্তানে যুদ্ধ বাজানোকেই সহজ ও শ্রেয় পদ্ধতি হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিল। 

সেই যুদ্ধ বাজানোর ক্ষেত্রে ডিকচেনি যেমন ছিলেন তার একহাত, রামসফেল্ড ছিলেন আরেক হাত।  সেই যে আফগান যুদ্ধ বাঁধল ২০০১ সালের অক্টোবর মাসে যা আজও আর থামল না। চলছেই। ধ্বংস থেকে ধ্বংসের দিকে ছুটে গেল আফগানিস্তান। ধ্বংসই যেন ছিল তাদের নিয়তি। এই দেশটি যুগ যুগ ধরেই যুদ্ধের ময়দান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেইসব যুদ্ধে কখনো রাশিয়ার ইন্টারেস্ট থাকে, আবার কখনো বা থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইনটারেস্ট। আফগানিস্তান ইজ কনসিডারড অ্যা ব্যাটল ফিল্ড।

এটা এতদিনে প্রতীয়মান যে, আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। অর্থাৎ কী করলে কী হবে তা নির্ধারণের জন্য আগাম বা সুদূরপ্রসারি কোনো পরিকল্পনা  ছিল না। আফগান যুদ্ধ তাই অনেক দীর্ঘ। সূরাহা নেই। শান্তির বাতাস সেখানে আজো বহেনি। ২০০১ থেকে ২০১৯। ১৮ বছর। যুদ্ধ সেখানে থামেনি। তালেবানও উৎখাত হয়নি। আত্মঘাতী বোমার আঘাতে জীবনাবসান সেখানে নিত্য ঘটনা হলেও তা আর নতুন নয়।

মজার ব্যাপার হলো, যে ওসামা বিন লাদেনকে নিয়ে এতো আলোচনা তখন চলছিল, সেই বিন লাদেনকে আফগানিস্তানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ধরেছিল পাকিস্তানের এবোতাবাদ নামে এক স্থানে।

সেই আফগান যুদ্ধ শেষতক সংক্রমিত হল ইরাকে। মার্চ মাস ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইরাকে। সাদ্দাম হোসেন ছিলেন তখন ক্ষমতায়। কেউ জানতে পারল না- ৯/১১ এর সঙ্গে সাদ্দাম হোসেনের কি যোগসূত্র ছিল? অথচ ইরাকের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হলো। বলা হলো যে, ‘ওয়েপন অব ম্যাস ডিস্ট্রাকশন’ বা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ইরাকে থাকতে পারে- এই অজুহাতে আক্রান্ত হলো ইরাক। খবরের কাগজ ও নিউজ মিডিয়াগুলোতে ইরাকের শিশু ও নিরীহ মানুষদের প্রাণ হারানোর চিত্র প্রকাশিত হতে লাগলো। শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে বিভেদ চরম পর্যায়ে উন্নীত হলো। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি করে দিল।

সাদ্দাম হোসেন গুহার মধ্যে লুকিয়েও নিস্তার পেলেন না। তাকে ধরা হলো। এক ধরণের বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিয়ারা টেনে হেঁচড়ে তাকে ফাঁসির দড়ি গলায় জড়িয়ে দিয়ে মারলেন। সেই সাদ্দাম হোসেন ও তার পরিবার উৎখাত হলেন বটে, তবে ইরাকে আজ অবধি শান্তি বর্ষিত হলো না। কার্যত ইরাক একটি অলিখিত খণ্ডিত ভূমিতে পরিণত হলো। যে ভূমিতে কুর্দি, শিয়া ও সুন্নি সবাই অদম্য ও দুর্জেয়।

বলা যেতে পারে সেই ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ ২০০৩ সাল থেকেই। অথচ আজ অবধি তারা সেখানে মারণাস্ত্রের সন্ধান পেলেন না। কিন্তু এমন সন্ধান ঠিকই মিলছে সেখানে যে, স্বার্থান্বেষী ওষুধ কোম্পানিগুলো সেখানে যুদ্ধ প্রলম্বিত করার জন্য অর্থের জোগান দিচ্ছেন কৌশলে ইচ্ছাকৃতভাবে যাতে সেখান থেকে তারা অতিরিক্ত  টু-পাইস কামিয়ে নিতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে। হিসাব খুব সোজা যে, যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হবে আহতের সংখ্যা তত বাড়বে, ওষুধের চাহিদা বাড়বে সেই অনুপাতে আর মুনাফা বাড়তেই থাকবে। খালি মুনাফা আর মুনাফা- জীবনের বিনিময়ে মুনাফা। হায়রে যুদ্ধ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

যুদ্ধ একটা দেশকে সর্বস্বান্ত করে দিলেও যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্টকে আরও অধিক শক্তিশালী করে তোলে। আমার সেটাই মনে হয়েছিল সেসময়ে। প্রেসিডেন্ট বুশের পরপর দুবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসা সেটাই মনে করিয়ে দেয়। ক্ষমতার আধিক্যে থেকেই তিনি ২০০৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ডেমোক্রেট প্রার্থী জন কেরির তুলনায় রিপাবলিকান বুশকেই বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলেন। টানা আট বছর ক্ষমতায় থাকার পর যদিও রিপাবলিকান বুশ শাসনের অবসান ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের এক জনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের দ্বারা। যিনি ছিলেন প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি ছিলেন ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী। তিনি বিপুলভাবে জিতেছিলেন ভেটারান রিপালিকান দলীয় প্রার্থী জন ম্যাক্কেইনের বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে।

বারাক ওবামা ক্ষমতা হাতে নিয়েছিলেন ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। ততদিনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর দিয়ে এক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গিয়েছিল। বলা হয়ে থাকে যে, ২০০১ থেকে ২০০৮ আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধ বাজিয়ে বুশ প্রশাসন এসময় দেশটির অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে গেছেন। আমি দেখেছি যে, সেসময় অর্থনৈতিক অবস্থা এতটায় নতজানু হয়ে পড়েছিল যে, হাজার হাজার মানুষ চাকরি হারিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ির মর্টগেজ পেমেন্ট করতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে ফার্নিচার ফেলে রেখে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলেন এবং অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে উঠেছিলেন।

ফ্লোরিডা, টেক্সাস ও ক্যালিফোর্নিয়াতে শত শত বাড়ি ও ম্যানশন ফোর-ক্লোজারে চলে গিয়েছিল। লোনদাতা ব্যাংকগুলো পড়েছিল মহাবিপদে। কিছু ব্যাংক হয়েছিল দেউলিয়া বা তার কাছাকাছি। আমরা যারা রিসার্চ বা গবেষণা করতাম, তাদের চাকরি ঝুঁকিতে পড়েছিল। গবেষকদের জন্য রিসার্চ গ্রান্ট মানি সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। চাকরি হারানো ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে লে-অফের ঘটনা ছিল নিত্য নতুন ঘটনা। এতো নেগেটিভের ভিতরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির চাকা সচল করতে ক্ষমতায় আসীন হলেন এক কাণ্ডারি, যার নাম বারাক ওবামা।

আমার ভাঙা গাড়ি নিয়ে সেসময় প্রায় যেতাম ওয়াশিংটন ডিসিতে। আমাদের বাসায় যে গেস্টরা আসতেন তাদেরকে নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি ঘুরে দেখানো ছিল প্রায় একটি নিয়মিত ব্যাপার। ক্যাপিটাল হিলের সিঁড়ি বয়ে যখন হাঁটতাম, মনে কত প্রশ্নই তো জেগে উঠত। এখানে বসেই কি সিনেটররা চায়ে চুমুক দিতেন এবং যুদ্ধের মতো এতো কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতেন? আবার ওই মস্ত বড় হোয়াইট হাউজ বা সাদা বাড়িটিকে ঘিরে যে ব্যারিকেড দেওয়া আছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মনে হতো- এতো নিপুণ ও সুন্দর করে গড়া একটি বাড়িতে বসে প্রেসিডেন্ট সাহেব যুদ্ধের মতো এতো ঘৃণিত একটি সিদ্ধান্ত কি করে নিতে পারেন? তারা কি যুদ্ধের বিকল্প হিসেবে কিছু খুঁজে পেতে চান কখনো?

লেখক: বোস্টনের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত

ই মেইল: alamrowshon@gmail.com

আগের পর্ব

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!