বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
Published : 30 Jul 2023, 06:38 PM
ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলায় দলটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের করা রিমান্ড এবং সালামের করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানির পর ঢাকার মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিলা সুমু দুই আবেদনই নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার একই মামলায় আরও চার আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী কালাম খান ও নুরুজ্জামান তপন জানান।
ওই চারজন হলেন- কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন, বিএনপি কর্মী কবির, সোহাগ গাজী ও মো. রিয়াজ উদ্দিন রাজু।
এদিন আব্দুস সালাম আজাদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মাসুদ আহমেদ তালুক ও সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সূত্রাপূর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত।
এর আগে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে হাজির করে তাদের সবাইকে পাঁচ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
আগের দিন ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানার এসআই নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলায় এজাহারে আব্দুস সালাম আজাদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মীকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শনিবার ধোলাইখালের গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যান চলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের ‘বিঘ্ন সৃষ্টি’ করতে থাকেন।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে কর্মীরা ‘অনুমতি ছাড়াই’ অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে যান। এ সময় তাদের বিরত থাকার জন্য পুলিশ বারবার অনুরোধ করে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় ‘নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে’ আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তখন পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে, কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা ‘বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা’ পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ‘আক্রমণ করে’।
একপর্যায়ে সূত্রাপুর থানায় কর্মরত এসআই মো. নাহিদুল ইসলামের হেলমেট খুলে যায় এবং হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
মামলার এজাহারে আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার, বিএনপির সদস্য মো. মিজানুর রহমান মিজান, সূত্রাপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক ভিপি মো. জাবেদ কামাল রুবেল, সূত্রাপুর থানার নেতা মজিবুর রহমান, নুরুল আফসার ভূঁইয়া মাসুন, মনির হোসেন, মোখলেছুর রহমান, কাজী শাকিল আহম্মেদ, সৌরভ রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম কামির, শাকিল আহমেদ ফয়সাল, হাসান খান প্রদীপ, শাহিন খন্দকার শাহিন, মানিক চন্দ্র দত্ত, মো. মনির হোসেন ব্যাপারী, সবুজ হোসেন ব্যাপারী ও আব্দুল কুদ্দুস মিয়া।
আরও পড়ুন