মামলাগুলোর এজাহারে আসামি হিসেবে ৪৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
Published : 30 Jul 2023, 02:59 PM
রাজধানীতে প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে সংঘাতের ঘটনায় ঢাকা মহানগরের সাতটি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে ৯টি মামলা পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। আর দুটি মামলার বাদী সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দুজন।
মামলাগুলোর এজাহারে আসামি হিসেবে ৪৬৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪৯ জনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ডিসি- মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান।
রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করেছে, তার কোনো অনুমতি ছিল না। এই বেআইনি সমাবেশ করে তারা বাসে আগুন দেয়, পুলিশের এপিসি ভাঙচুর করে, পুলিশের গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন ভাঙচুর করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।
“এই যে অপরাধগুলো হয়েছে, এইসব অপরাধে রোববার দুপুর পর্যন্ত ডিএমপির সাতটি থানায় পৃথক ১১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট এজাহারনামীয় আসামির সংখ্যা ৪৬৯ জন। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৯ বিএনপি নেতাকর্মীকে। বাকিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ ও ডিবি অভিযান চালাচ্ছে।”
রাজধানীর বংশাল, সূত্রাপুর, বিমানবন্দর ও কদমতলী থানায় একটি করে; যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পশ্চিম থানায় দুটি করে এবং উত্তরা পূর্ব থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।
এর বাইরেও আরো কয়েকটি থানায় (দারুস সালাম, ডেমরা ও উত্তরা পশ্চিম থানা) বেশ কয়েকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ফারুক হোসেন।
নির্দলীয় সরকারের দাবি তুলে সরকার পতন আন্দোলনে নামা বিএনপি শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল। তার পাল্টায় আওয়ামী লীগও সেসব স্থানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়।
পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপিকে স্থানগুলোতে দাঁড়াতেই দেয়নি। ধোলাইখাল ও মাতুয়াইলে তাদের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং আমানুল্লাহ আমানকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
তাদের কোনো মামলায় আসামি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, “তা মামলার এজহার পর্যালোচনা করলে জানা যাবে।”
শুক্রবার বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা জানতে চান একজন সাংবাদিক।
উপ কমিশনার (ডিসি- মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, “গতকাল আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ছিল, কিন্তু পুলিশের অনুমতি না থাকায় তারা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। বিএনপির কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়ায় তখন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা সেখানে অবস্থান করেছেন। এখানে পুলিশের কার্যক্রমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কার্যক্রমে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”