“সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদলের অনুপস্থিতি, রাজপথেও দায়িত্বশীল বিরোধীদল না থাকায় আমরা শঙ্কিত, গণতন্ত্র নাকি জনগণ পরাজিত হল।”
Published : 31 Dec 2023, 09:51 PM
ভোট বর্জন করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ‘ভুল করছে’ মত দিয়ে অধিকার ও উন্নয়নকর্মী খুশী কবির বলেছেন, শেষ পর্যন্ত এতে ‘জনগণই পরাজিত হয়’।
রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আয়োজন ইনসাইড আউটে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিএনপিসহ বিরোধীরা সংসদে থাকলে বাইরে-ভেতরে কথা বলার সুযোগ থাকত। আবার ভোটে অংশ নিলে বলতে পারত কোথায়-কীভাবে কারচুপি হয়েছে।”
রোববার প্রচারিত এই পর্ব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়।
ইংরেজিতে সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই আয়োজনে বিএনপি ও সমমনাদের দ্বিতীয়বারের মতো ভোট বর্জন, আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর কার্যত নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে ভোটের আমেজে ভাটা, দেশের সমস্যাগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কোনো পর্যায়েই সেভাবে আলোচনা না হওয়া, নারী প্রার্থী মনোনয়নে দলগুলোর রক্ষণশীল মনোভাব, মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
খুশী কবীর দীর্ঘদিন ধরেই নারী অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছেন। দেশের নানা প্রান্তেই তাদের কাজ আছে। ফলে পেশাগত কারণেই বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে।
বিএনপি-জামায়াত ও সমমনাদের বর্জনের এই ভোটে প্রচার শেষ সপ্তাহে চলে এসেছে। আওয়ামী লীগ এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর দলের ভেতরের লড়াইয়ে প্রচারও জমেছে বিভিন্ন আসনে। তবে যেসব আসনে নৌকাকে মোকাবিলা করার মতো শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই, সেসব আসনে ভোট জমেছে কমই।
খুশী কবিরের কাছে প্রশ্ন ছিল ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে কী ধরনের আলোচনা তিনি জেনেছেন এবং তার চেনাজানাদের মধ্যে কেমন আগ্রহ দেখছেন।
জবাবে তিনি বলেন, “এক ধরনের ‘প্রহসন’ ও ‘একতরফা’ নির্বাচন হচ্ছে। কেবল প্রধান বিরোধীদলগুলোর মধ্যে বিএনপি নির্বাচনে আসছে না তা নয়, অনেক ছোটদলও নির্বাচনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, বামপন্থি ও অন্যান্য দলগুলোও অংশ নিচ্ছে না।
“এখন হয়ত অনেক প্রার্থী। কিন্তু অনেকে একই দল আওয়ামী লীগের। কেননা আওয়ামী লীগ বলেছে, তুমি স্বতন্ত্র হয়ে প্রার্থী হলেও দলীয় কোনো ব্যবস্থা নেব না।
“তুমি চাইলে নির্বাচন করতে পার, এমন সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থীই একই দলের। ফলে মানুষের আগ্রহও সত্যিকার অর্থে নেই। প্রার্থীর নিজস্ব অবস্থান থাকার কারণে কিছু এলাকায় উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকায় উৎসাহটা সেভাবে নাই।”
নিজের মতের প্রতিফলন ব্যালটে দেখলেই কেবল জনগণ ভোট দিতে যায় বলে মনে করছেন এই অধিকারকর্মী।
ভোটারদের উৎসাহে ভাটা পড়ার সময়ক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, “নব্বইয়ের পরে বেশ উৎসাহ দেখা গেছে। নব্বইয়ের নির্বাচনগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অনেক, যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। এরপরের নির্বাচনগুলোতে তাই ছিল।
“কিন্তু এরপর আস্তে আস্তে কমে যায়। ২০০৮ সালে ভোটারদের উপস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু এখন ‘ভোট দিয়ে কী হবে’, এমন অনাগ্রহ মানুষের মধ্যে। আপনি ভোট দেন, কেননা আপনি বলতে চান, আপনি কাকে দেখতে চান। কিন্তু এখন বিকল্প খুবই কম, কাকে ভোট দেওয়া হবে।”
এভাবে নির্বাচন হলে সংসদে সত্যিকারের বিরোধী দল থাকে না বলেও মত দেন খুশী কবির। বলেন, তখন রাজপথেও সেভাবে সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না এবং এ কারণে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় জনগণ।
তবু বর্জন ভুল
অন্য এক প্রশ্নে খুশী কবির বলেন, নির্বাচন নিয়ে যতই অভিযোগ হোক, ভোট বর্জন একটি ভুল পদক্ষেপ।
২০১৪ সালের পর এবারও বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রকাশ্যেই বলেছেন, দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করাটা ভুল হয়েছে।
ইনসাইড আউটে প্রশ্ন ছিল, “২০১৪ সালে বিরোধীদের ভোট বর্জন কি দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যে কোনো বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে?”
খুশী কবির বলেন, “বিরোধীরা দাবি করছে, নির্বাচন পুরোপুরি কারচুপি হয়েছে এবং পুরোপুরি বানোয়াট নির্বাচন। সেটাকেও যদি আমরা সত্য হিসাবে বিবেচনা করতে হয়, যদি তারা নির্বাচনে অংশ নিত তাহলে তারা এসে বলতে পারত এই কেন্দ্রে, এই এলাকার নির্বাচন সম্পূর্ণ কারচুপি হয়েছে।
“এখন তারা (বিএনপি) বলতেও পারবে না, নির্বাচন কতটা কারচুপি হল। কেননা আপনি নির্বাচনেই অংশ গ্রহণ করছেন না। সুতরাং আমি মনে করি, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করাটা ভুল ছিল এবং এবারও ভুল।”
কেন এমনটি ভাবছেন, তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি। বলেন, “নির্বাচন হচ্ছে এমন এক সময়, যখন রাজনীতিকরা জনগণের কাছাকাছি আসেন। এটা সে সময় যখন আপনি জনগণের দ্বারে দ্বারে যান, অন্তত সনাতন ও সাধারণ পদ্ধতিতে।
“আপনি যদি নির্বাচনকে হাতছাড়া করেন, তাহলে আপনি জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন। তাহলে আপনাকে রাজনীতিক হিসাবে কে চিনবে? এটা একটা দিক, আপনি রাজনীতিক হিসাবে দূরে সরে গেলেন।”
যে কোনো অবস্থাতে সংসদে থাকলেও ভেতরে-বাইরে কথা বলার সুযোগ থাকার কথা তুলে ধরে এই উন্নয়ন কর্মী বলেন, “আপনাকে যদি সংসদে কথা বলার সুযোগ দেওয়া না হয়, বরাদ্দ করা পর্যাপ্ত সময় দেওয়া না হয়, তারপর আপনি বাইরে চলে আসতে পারবেন, সংবাদ সম্মেলন করতে পারবেন।
“জনগণকে বলতে পারবেন, ‘বিরোধীদল হিসাবে আমরা সংসদে অধিকার পাচ্ছি না। আমরা জানতে চেয়েছি, বক্তব্য তুলে ধরেছি, প্রশ্ন করেছি, হস্তক্ষেপ চেয়েছি এবং সংসদে এই বিল উত্থাপন করেছি’।”
শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত বিরোধীদল ছাড়া সংসদ কার্যকর হতে পারে না মন্তব্য করে খুশী কবির বলেন, “কোনো বিরোধী দল ছাড়া যদি একতরফা সংসদ হয়, সরকারের জবাবদিহির জন্য প্রশ্ন করার কেউ না থাকে, তাহলে সংসদ হবে নিষ্প্রাণ।
“সুতরাং অনেক বিল ও আইন পাস হলেও সেগুলো গভীর ও বিস্তারিত আলোচনা ছাড়াই হবে। মানুষও জানতে পারবে না কখন, কী এবং কোন সময়ে বিলগুলো পাস হয়েছে। সে কারণে ভবিষ্যতে জবাবদিহির পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে আমি আশঙ্কা করি।”
পরাজয়টা জনগণেরই
বিরোধীদের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে শেষ পর্যন্ত জনগণই হেরে যায় বলেও মত দেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির।
তিনি বলেন, “সংসদে একটি শক্তিশালী বিরোধীদলের অনুপস্থিতি, এমনকি বলতে বাধ্য হচ্ছি রাজপথেও দায়িত্বশীল বিরোধীদল না থাকা, এসবের কারণে আমরা শঙ্কিত যে, গণতন্ত্র নাকি জনগণ পরাজিত হল।”
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এখনই নির্বাচন করার দরকার পড়লেও জনগণ যাতে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে, সুযোগ তৈরি করা দরকার বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যে দল ক্ষমতায় আসে, তাদরকে সেটা ঠিক করতে হবে।
“সুতরাং আমি মনে করি এটা ক্ষমতাসীন দলের উপর নির্ভর করবে। আমরা সবাই মনে করি পূর্বনির্ধারিত উপসংহার যে, এটা বিজয়ী দল এবং তারা বিরোধীদলবিহীন সরকার পরিচালনার পরিবেশ কীভাবে পরিকল্পনা করছে, তার উপর নির্ভর করবে।”
রাজনীতিতে নারীর সংখ্যা কম নিয়ে আক্ষেপ
নির্বাচনে নারী প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে বৃদ্ধি না পাওয়া, দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারীর উপস্থিতির অঙ্গীকার করেও না রাখা, নারীরা শিক্ষা, কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও ‘সত্যিকারের নারী ক্ষমতায়ন না হওয়া’সহ নানা বিষয়েও কথা বলেন নারী অধিকার কর্মী খুশী কবির।
নারীর ক্ষমতায় ও জেন্ডার বৈষম্য দূর করতে সরকার সব সঠিক আওয়াজ তুলতে পেরেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে সরকার ও বাংলাদেশ অতটা খারাপ করেনি। তবে, এখনও অনেক জায়গা দৃষ্টি দেওয়ার।
“আমি মনে করি, কেবল কিছু নীতি গ্রহণ নয়, সেই নীতিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, কী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে, বাস্তবায়নের জন্য কোন কোন নীতি নিতে হবে, নারীরা কোন সমস্যাগুলো বেশি মোকাবেলা করে- এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।”
দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রায় তিন দশক ধরে নারীর নেতৃত্ব থাকলেও রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ না হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রত্যেক দলের এক-তৃতীয়াংশ মনোনয়ন হতে হবে নারী। কিন্তু কোনো দল সেটা করেনি। নির্বাচন কমিশনও এক্ষেত্রে চুপ এবং তারা সেভাবে জোর দেয়নি।
“রাজনৈতিক দলগুলো অজুহাত দেয়, মনোনয়ন দেওয়ার যথাযথ যোগ্য নারী প্রার্থী সেভাবে নেই। কিন্তু আমি তো তেমন যোগ্য পুরুষ প্রার্থীও অতটা দেখি না। যদি তারা পুরুষদের ক্ষেত্রে শিথিল হয়, নারীদের ক্ষেত্রে কেন নয়?”
ব্যক্তিগত আইনের প্রশ্ন নিয়েও কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। আর সেটা অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈষম্যের পথ তৈরি করছে।
নারী সংসদ সদস্যরা সংসদে নারী ইস্যুতে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছেন, এমন প্রশ্নে খুশী কবির বলেন, “অনেকে সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হয়েও ভালো ভূমিকা রাখছেন; আবার সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেও নিষ্প্রভ।
“এ কারণে আমি বলতে পারি না, সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসা মানে উচ্চকণ্ঠ হওয়া। আমি বলতে চাচ্ছি, নারীদের সুযোগ ও সুবিধা হয়, তাহলে তারা বেশ যোগ্য এবং তারা বক্তব্য তুলে ধরতে পারেন।”
বিরোধী দলগুলো কি দেশের সমস্যা তুলে ধরছে?
বিরোধী রাজনৈতিক দল মানুষের সার্বিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে দলীয় স্বার্থ নিয়ে আন্দোলন করছে বলেও মন্তব্য করেন খুশী কবির।
তিনি বলেন, “প্রতীয়মান হয়, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মী ও ভোটার নিয়ে আগ্রহী হলেও, সার্বিকভাবে জনগণ নিয়ে অতটা আগ্রহী নয়।”
সংসদেও জনগণের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি দেখেন না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এটা ক্ষমতাসীন দলের যেমন নেয়, বিরোধীদের ক্ষেত্রেও নেই। সেটা সংসদের বাইরের কিংবা সংসদের ভেতরের।”
সংসদে সদস্য হয়ে আসা বেশিরভাগই ব্যবসায়ী জানিয়ে তিনি বলেন, “আগে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের গ্রামীণ এলাকায় এবং জনগণের মধ্যে বেশ ভালো অবস্থান ছিল, যেটা এখন আমরা দেখছি না। তবে, ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়।”
এ কারণেই সময় রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে গ্রামীণ এলাকা ও জনগণের কথা সেভাবে উঠে আসে না বলেও মনে করেন তিনি।
সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সুযোগ না থাকায় বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের সংসদীয় পদ্ধতিতে একটি সমস্যা রয়েছে যে, যে বিলই হোক না কেন আপনি আপনার দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না, প্রশ্ন তুলতে পারবেন না।
“ফলে আমাদের যখন প্রশ্ন তোলার জন্য লোক ঠিক করার দরকার পড়ল, আমাদেরকে ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের কাছে যেতে হয়। তারা আমাদেরকে বলেন, আপনি কেন অন্য দলের লোকদের কাছে গিয়ে বলছেন না যাতে তারা এটা উত্থাপন করতে পারে।”
নতুন সরকারের কাছে কী চাওয়া
নতুন যে সরকার আসছে তাদের কাছে কী চান, সেই প্রশ্নে খুশী কবির বলেন, “আমি মনে করি, মানবাধিকারের রেকর্ডে আরও ভালো কিছু কিছু করবে।”
মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, তাদেরকে আক্রমণ ও জেলে পোড়া বা তাদেরকে থামিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “তাদের প্রতি সাড়া দেওয়া, উত্তর দেওয়া এবং তথ্যউপাত্ত তুলে ধরার কাজ হওয়া উচিত।”
বাংলাদেশের “মানবাধিকার পরিস্থিতি উৎকৃষ্ট নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি প্রায় বলি, পৃথিবীর এমন দেশও প্রায়শ আমাদের দিকে অঙ্গুলিনির্দেশ করছে এবং আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলছে, এমন অধিকার তাদের সেখানেও নেই। সেখানে প্রশ্ন তুললে থামিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ভালো কিংবা খারাপ সেটা আমি বলব না। আমি চাই বাংলাদেশের জনগণ দেখুক, কেমন বাংলাদেশ চায় ও তাদের কী পাওনা রয়েছে এবং দেশ আসলে সংবিধানের আলোকে মৌলিক নাগরিক অধিকার পূরণ করছে কি না।”
আরও পড়ুন:
আন্দোলন নিয়ে তৃণমূলে নানা প্রশ্ন, কী করবে বিএনপি
ভোট ঠেকানোর আন্দোলনে কোন পথে বিএনপি
ভোট বর্জনের আহ্বানে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
স্বতন্ত্রের রেকর্ড: প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাতিয়ার না শঙ্কার
বিএনপির ভুল ‘অনেক’, সংস্কার দরকার: হাফিজ
আর কতবার নির্বাচনের বাইরে থাকব: শাহজাহান ওমর