“আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর,” বলেন তিনি।
Published : 13 Apr 2024, 05:54 PM
জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই বিএনপি নেতারা গুম-নির্যাতনের কল্পিত গল্প শোনাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যখন পবিত্র ঈদ উৎসব উদযাপন করছে, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিটি গৃহকোণ পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা; ঠিক সে সময়ে বিএনপি তথাকথিত গুম-নির্যাতনের কাল্পনিক তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুলের দেওয়া বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট।”
বিদেশিদের ‘করুণা’ পেতেই বিএনপি নেতারা এমন গল্পের ফাঁদ এঁটেছেন বলে ভাষ্য ওবায়দুল কাদেরের।
“তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
গত ৮ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে হরিপুর থানা হেফাজতে যুবদল নেতা আকরাম হোসেন মারা যান। শুক্রবার তার কবর জিয়ারত করে এক শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আন্দোলন চলাকালে দলের প্রায় ৩০ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০-৮০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে আন্দোলনের পরে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি নিজেও সাড়ে তিন মাস কারাগারে ছিলাম।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনো প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
সরকার দেশকে নির্যাতনের কারখানা বানিয়েছে: মির্জা ফখরুল
“কিন্তু মির্জা ফখরুল একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে বিরোধীদলের উপর সরকারের নির্যাতনের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল, তখন ২০০৪ সালের একুেশ অগাস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ক্রস ফায়ার এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে।
“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।”