সরকার দেশকে নির্যাতনের কারখানা বানিয়েছে: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে এক যুবদল নেতার শোকসভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আন্দোলন চলাকালে দলের প্রায় ৩০ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, “আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০-৮০০ নেতাকর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে আন্দোলনের পরে ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“আমি নিজেও সাড়ে তিন মাস কারাগারে ছিলাম। এর মধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মী জেলে ছিলেন। এই সরকার যারা মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা আজকে সারাদেশকে নির্যাতনের কারখানায় পরিণত করেছে।”

শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব আকরাম হোসেনের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এক শোকসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

এ সময় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার নয়, তারা দখলদারীর সরকার। সুতরাং আমরা কোনোদিন কোনো দখল মেনে নেইনি, আমরা মেনে নেব না। আমরা একটা স্বাধীন জাতি, স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই। সেই স্বাধীনতার দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করছি।

ঠাকুরগাঁওয়ে হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, পুলিশ বলছে হৃদরোগ

“এই অবস্থায় একটা দেশ চলতে পারে না। আমরা একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই; একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই, যা হবে সুষ্ঠু-অবাধ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এমন একটা সরকার গঠন করতে চাই যারা দেশের মানুষের কথা শুনবে এবং দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহিতা করবে।”

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদ সাধারণ মানুষের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসেনি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ঈদের আনন্দ সব মিলিয়ে গেছে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে। সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানুষের খাওয়ার উপায় নেই, বাজারে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।”

এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা, উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।