শেষতক সমাবেশ গড়াল গোলাপবাগ মাঠে

সেই খবরে রাতেই সেই ফুটবল মাঠ অনেকটা পূর্ণ হয়ে গেল। ঝটপট মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেল। তাতে উত্তেজনার পারদ কি নামল?

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2022, 08:18 PM
Updated : 9 Dec 2022, 08:18 PM

উত্তেজনায় টানটান আরও একটি দিন গেল ঢাকাবাসীর; উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রাজধানীর রাজপথ থাকল অনেকটা ফাঁকা, নগরীর প্রবেশ পথ আর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্টে চললো তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত বিএনপি তাদের বহু আলোচিত সমাবেশের অনুমতি পেল যাত্রাবাড়ীর গোলাপবাগ মাঠে।

সেই খবরে রাতেই সেই ফুটবল মাঠ অনেকটা পূর্ণ হয়ে গেল বিএনপিকর্মীদের জমায়েতে। ঝটপট মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গেল। তাতে উত্তেজনার পারদ কি নামল?

সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিভাগীয় সমাবেশের প্রস্তুতি কমিটির উপদেষ্টা মির্জা আব্বাস শুক্রবার ভোর রাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। পল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাঠের অনুমতি পাওয়ার পরপরই ঘোষণা দিয়েছেন, সরকারের ‘বিদায়ে’ গোলাপবাগের মাঠ থেকেই শনিবার তাদের নতুন কর্মসূচি আসছে।

সমমনাদের ওই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করি, তারা যুগপৎভাবে আমরা যে ১০ দফা প্রণয়ন করেছি, তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঘোষণা করবেন। যার যার অবস্থান থেকে তারা ভবিষ্যতে এই দফাগুলোর দাবিতে আন্দোলনকে শাণিত করে যুগপৎভাবে আন্দোলন আসবেন।”

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নগরবাসীকে ‘আতঙ্কিত না হওয়ার’ পরামর্শ দিয়ে জানালেন, ঢাকার মাঠ ‘বিএনপিকে দিয়ে’ তিনি শনিবার সাভারে যাচ্ছেন। সেখানে ‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদ জানাতে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। 

সেই সাথে তিনি এও বললেন, গোলাপবাগে সমাবেশ করতে রাজি হওয়ায় বিএনপির ‘অর্ধেক পরাজয়’ হয়ে গেছে।

তার যে উক্তি গত কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক উত্তেজনায় রসদ জুগিয়ে আসছে, সেই সুর ফিরিয়ে এনে তিনি আবারও বললেন, “খেলা হবে, খেলা হবে খেলা হবে।”

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন, “তৈরি হয়ে যান, প্রস্তত হয়ে যান।… যারা ২১ অগাস্ট ও ১৫ অগাস্ট ঘটিয়েছে, যারা ৩ নভেম্বর জেল হত্যা করেছে, যারা জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছে, যারা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিষিদ্ধ করেছিল, যারা স্বাধীনতার ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল, যারা হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে, আমেরিকা সিঙ্গাপুরে ধরা খেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।”

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে আসা নেতাকর্মীদের ‘গুলি করে হত্যা’, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করতে শুরু করে বিএনপি। এর আগেই ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিভাগীয় নয়টি সমাবেশ শেষ করে ঢাকার সমাবেশের আগে স্থান নির্ধারণ নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক আর সংশয়।

অবশেষে গোলাপবাগ  

নয়া পল্টনে নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চেয়ে অনড় অবস্থানের কথা জানান দেন বিএনপি নেতারা। এদিকে পুলিশও রাস্তায় কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান দেয়। পুলিশের প্রস্তাব ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার।

এর মধ্যে গত বুধবার বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহতদের একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এরপর বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা পাওয়ার কথা বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে।

রাতে সমঝোতার ইঙ্গিতের পর ভোরের গ্রেপ্তারের পর টানাপড়েনের কারণে দিনের বেলায় নেতাকর্মীদের অনেকের মনেই সমাবেশ হবে কী না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

শুক্রবার দুপুরের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেন।

বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে এ মাঠে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়।

এদিন বিকাল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গোলাপবাগে সমাবেশ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ। শনিবারের সমাবেশ থেকে সরকার পতনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান তিনি।

রাতেই মাঠে নেতাকর্মীরা

নানা বিতর্ক ও টানাপড়েনের মধ্যে মাঠ বরাদ্দের খবরের পর বিকাল থেকে সায়েদাবাদের গোলাপবাগে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় ঔৎসুক ব্যক্তিদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঠে জমায়েত বাড়তে থাকে। সন্ধ্যা নামার আগেই ফুটবল মাঠটি প্রায় ভরে ওঠে।

আগের বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মত রাতেই সেখানে থাকার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছেন তারা। মাঠে আলো না থাকলেও, বাথরুমের ব্যবস্থা না থাকলেও তারা দলবেধে সেখান অবস্থান নিয়েছেন।   

বিকাল থেকে নতুন করে সংস্কার চলতে থাকা এ মাঠে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা ছবি তুলছেন। কাউকে কাউকে সেলফি তুলতে দেখা গেছে। ফেইসবুক লাইভ করে সঙ্গীদের সমাবেশ স্থলে আসতে ডাকতেও দেখা গেছে তাদের।

মঞ্চ তৈরির সরঞ্জাম আসতে শুরু করে বিকাল থেকেই। সন্ধ্যার পর মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গ্যালারির কাছে পূর্বমুখী মঞ্চ করা হচ্ছে। রাত ১০টা পর্যন্ত মঞ্চ তৈরির কাজ এক তৃতীয়াংশ শেষ হয়। মাঠে অবস্থানকারীদের অনেকেই মঞ্চ তৈরি দেখতে সেখানে ভিড় করেন। ওই সময় পর্যন্ত পূর্ব পাশের কিছু অংশ ছাড়া পুরো মাঠেই নেতাকর্মীদের বসে ও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ না থাকায় মোম জ্বালিয়ে আর হাতে থাকা মোবাইল ফোনের আলোয় অন্ধকার দূর করার চেষ্টা ছিল তাদের।

থাকার কষ্ট ভুলে সঙ্গে নিয়ে আসা কলা ও পাউরুটি দিয়েই সেরেছেন রাতের খাবার। শনিবার সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরুর আগে নাস্তার জন্যও বাঁচিয়ে রেখেছেন কিছু। বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মত রান্নার বন্দোবস্ত না থাকায় পিকনিকের আমেজ আর চোখে পড়েনি।   

রাত বাড়তে থাকলে কেউ কেউ সঙ্গে করে নিয়ে আসা পাটি ও হোগলা পাতা বিছিয়ে শুয়ে পড়েন। অনেক মানুষের ভিড়ে সেভাবে রাতের প্রথমভাগে তেমন ঠাণ্ডা ছিল না সেখানে। মাঠ ছাড়িয়ে আশেপাশের সড়কেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা গেছে রাতে।

অনেক নাটক শেষে মাঠ বরাদ্দের পরও শেষ সময়ে একটু হলেও অনিশ্চয়তায় দূলে ওঠে বিএনপির এ সমাবেশ; যখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানায় মাঠ ব্যবহারে বিএনপি তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি।

শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ সিটির অনুমতিও আসে। সংস্থার জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "গোলাপবাগ খেলার মাঠের কোনো ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হলে তার ক্ষতিপূরণ প্রদানের শর্তে বিএনপিকে মাঠ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি।”

তৎপর আওয়ামী লীগও

কথামালার উত্তাপ ছড়ানোর পর পুলিশের সঙ্গে বুধবার পল্টনের সংঘর্ষে রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনার আগের দুইদিন রাজধানীতে তৎপরতা দেখায় আওয়ামী লীগও।

বিএনপির সমাবেশের আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ও শুক্রবার দিনভর নগরজুড়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল করে নিজেদের জানান দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বিভিন্ন এলাকা ও গলির মুখে দলবেঁধে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে তাদের। জুমার নামাজের আগে নিজেদের এলাকার সড়কে মিছিল আর স্লোগানে সরব ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

বিকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কদের বলেন, “কাদের পরাজয় হল? অর্ধেক পরাজয় হয়ে গেছে পল্টনে সমাবেশ করতে পারেনি। আন্দোলন কর্মসূচির পরাজয় এখানেই অর্ধেক হয়ে গেছে।”

নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, দিনভর তল্লাশি

সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকামুখী যানবাহনে আগে থেকেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি ও তল্লাশি করছিল পুলিশ। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতেও ছিল তল্লাশি চৌকি। সংঘাতের শঙ্কায় দিনভরই ঢাকায় যান ও মানুষের চলাচল ছিল অনেক কম।

ঢাকার সমাবেশ থেকেই ‘সরকার পরিবর্তনে’ এক দফা আন্দোলনে নয়া পল্টনে অবস্থানের ইঙ্গিতও ছিল। সমাবেশের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এর সম্ভাব্য স্থান নিয়েও উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে।

যাত্রীদের মালামালের পাশাপাশি ‘সন্দেহজনক বার্তার’ খোঁজে তাদের মুঠোফোনও নেড়েচেড়ে দেখেছে পুলিশ। পুলিশের এমন তল্লাশি চলছে কয়েকদিন ধরেই। ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতেও চৌকি বসিয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ। 

ঢাকা ময়মনসিংহ রুটের সৌখিন পরিবহনের বাসচালক মো. রিপন বলেন, “ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা যাইতে আট থেকে ১০ বার চেকিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে। আমাদের যাত্রীর সংখ্যা এতো কমছে তা বলা বাহুল্য।”

উত্তরের পথের চেক পোস্টেও পুলিশ সদস্যরা সন্দেহভাজন মোটরসাইকেল, পিকআপ, দূরপাল্লার বাস, ট্রাক গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করেছে। পুলিশ দূরপাল্লার বাস থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাদের ব্যাগ, বস্তার পাশাপাশি মুঠোফোনের বিভিন্ন অ্যাপসের মেসেজ, ছবিও চেক করছে। এতে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সমঝোতার আভাসের মধ্যেই গ্রেপ্তার

এরপর পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে যায় বৃহস্পতিবার রাতে। বিএনপির প্রতিনিধিদল ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বৈঠকের পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ তাদের মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ দিতে চায়, তারা কমলাপুরের মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের প্রস্তাব দিয়েছেন। পুলিশ নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয় খুলে দেবে।

এ আলোচনার সূত্র ধরে সমাঝোতার যে ইঙ্গিত মিলছিল তা ধাক্কা খায় ভোর রাতের গ্রেপ্তারের খবরে।

বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে ও শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান পরিবারের সদস্যরা। সকালে ডিবি জানায়, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুর নাগাদ পল্টনে সংঘাতের মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। বিকালে তাদের আদালতে নেওয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠান। 

[ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন গোলাম মতুর্জা অন্তু, আবু তালেব, কামাল তালুকদার, লিটন হায়দার, ওবায়দুর রহমান মাসুম, মেহেরুন নাহার মেঘলা, মাসুম বিল্লাহ, শাহরিয়ার নোবেল, মঈনুল হক চৌধুরী, সুমন মাহমুদ ]

আরও পড়ুন:

Also Read: বিএনপির সমাবেশের আগে তৎপরতা দেখাল আওয়ামী লীগও

Also Read: যাত্রী কম বাসও কম, চলছে টহল-তল্লাশি

Also Read: অবশেষে সমঝোতা, শনিবার বিএনপির সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে

Also Read: সরকারের ‘বিদায়ে’ নতুন কর্মসূচি শনিবারই: মোশাররফ

Also Read: বিএনপির ১০ ডিসেম্বর: মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের মিছিল, পাহারা