ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য’ দিয়ে দেশের উপর বৈদেশিক নিষেধাজ্ঞা আনার ‘ষড়যন্ত্রে’ লিপ্ত।
বিএনপির অস্বীকার করে আসার মধ্যে শনিবার এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করেন তিনি। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দুরভিসন্ধিমূলক’ বক্তব্যের নিন্দাও জানানো হয়।
কাদের বলেন, “নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি এখন হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
“মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে ‘স্যাংকশন’ আরোপের ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছে।”
‘সরকার পালানোর পথ পাবে না’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “যে দলের নেতৃত্ব মুচলেকা দিয়ে রাজনীতিকে চিরবিদায় জানিয়ে দেশ ত্যাগ করে, আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে বিদেশে পালিয়ে বেড়ায়, সে দলের নেতাদের মুখে এ ধরনের বক্তব্য শোভা পায় না।”
তিনি বলেন, “বিএনপির দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব বিদেশে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে দল চালায়। তাদের নেতাকর্মীদের নাশকতার উস্কানি দেয়। কিন্তু বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে গুজব রটনাকারীদের ষড়যন্ত্র আজ ধরা পড়েছে, সত্য উদ্ভাসিত হয়েছে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দ দিশেহারা।”
কাদের বলেন, “আমরা বিএনপির কাছ থেকে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তাদের আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাই। সাংবিধানিক পন্থায় একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতা পরিবর্তন হতে পারে।”
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শাসনকালে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নিয়ে বিদেশিদের প্রশংসার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তবে এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে সঙ্কট তৈরি হওয়াকে কারণ দেখান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, “জনগণের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সরকার নিরুপায় হয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে।”