দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির দ্বিতীয় দিনে উপচে পড়া ভিড়ের কারণে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতেই পারেননি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনবার কার্যালয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ফিরে যান।
দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ফরম নিতে নেতারা এসেছেন দলবল নিয়ে, যে কারণে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে জিপিও হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন কাদের। মূল সড়ক থেকে কার্যালয়ের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতে না পেরে তিনি হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন।
১০ মিনিট পর দ্বিতীয়বারের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। বেলা ১২টার দিকে আবার চেষ্টা করেন। তখন ভিড় আরও বেড়ে যায়। তাই তিনি গাড়ি থেকে না নেমে বিরক্ত হয়ে চলে যান।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন ফরম বিতরণ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমাদের সভাপতির কার্যালয়ে চলে এসেছেন।"
আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের মধ্যে শনিবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ। তার আগের দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়নে আগ্রহী নেতাদেরকে অতিরিক্ত লোক সমাগম না করতে বলা হয়েছিল।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরম বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে ফিরে আসার পর থেকেই ব্যাপক ভিড় তৈরি হয় দলীয় কার্যালয়ে।
এবার সশরীরে মনোনয়ন ফরম ক্রয় ও জমা দেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও সে কাজ সারার সুযোগ আছে। তারপরও আগ্রহী নেতারা কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে এসেছেন সেখানে।
প্রথম দিনে মোট এক হাজার ৭৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। তিনি জানান, এর মধ্যে সরাসরি ফরম সংগ্রহ করেন এক হাজার ৬০ জন, বাকি ১৪ জন অনলাইনে।
মঙ্গলবার বিকাল চারটা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা নেবে আওয়ামী লীগ। পরে সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলের মনোনয়ন বোর্ড।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব আসন শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, সেসব আসনেও মনোনয়ন ফরম বিক্রি করবে আওয়ামী লীগ। শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত পরে হবে বলেও জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরমের দাম ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন নির্ধারণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল যে তফসিল ঘোষণা করেছেন, তাতে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ রেখেছেন ৩০ নভেম্বর।