‘বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে’ ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Published : 09 Feb 2024, 12:03 AM
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “আজ ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়েছিল। উনার বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।… যে মেডিকেল বোর্ড আছে, তারা চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন।
“ম্যাডাম সুস্থ বোধ করায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে উনাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সেখান থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন রাত ১২টায়।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
অধ্যাপক শাহবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক এসএম জাফর ইকবালের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, আশু আরোগ্য কামনায় দোয়া করায় দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন খালেদা জিয়া।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।
তার সেই সাময়িক মুক্তির মেয়াদ প্রতি ছয় মাস পরপর বাড়ানো হলেও তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি সরকার।
মুক্তি পাওয়ার পর কোভিড, লিভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে পাঁচ দফা হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে বিএনপি নেত্রীকে।
সর্বশেষ গতবছর ৯ অগাস্ট তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই দফায় তাকে পাঁচ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়।
এর মধ্যে অক্টোবরে মেডিকেল বোর্ড সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। দ্রুত ‘বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে’ তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।
এরপর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বিদেশ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয় তার পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে। তবে আইনে সে সুযোগ না থাকায় এ অনুমোদন দেয়নি সরকার।
এ চেষ্টার মধ্যে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসার পাশাপাশি বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে তার চিকিৎসা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস) সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: