দুই মাস আগেও এই হাসপাতালে পাঁচ দিন থাকতে হয়েছিল তাকে।
Published : 09 Aug 2023, 08:41 PM
দুই মাস বাদে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই দফায়ও তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানান হয়েছে।
গুলশানের বাসা থেকে বুধবার রাতে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক চেকআপের জন্য এবং উনার কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার জন্য উনাকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।”
সর্বশেষ গত ১২ জুন তিনি এই হাসপাতালে এসেছিলেন। তখন পাঁচ দিন তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকতে হয়েছিল।
৫ দিন পর বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভারের জটিলতা ও হৃদরোগে ভুগছেন।
বন্দি অবস্থায় ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এর মধ্যে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালে অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গুলশানের বাসা থেকে নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। ওই বাসায় তখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কেন্দারের ছেলে অভিক এস্কান্দার উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায়ও তার সাজার রায় আসে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করেন।
এর ফলে ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে।