Published : 28 Apr 2025, 07:47 PM
বাংলাদেশের জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে বলে প্রধান উপদেষ্টা আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিঙে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষৎকারের বিষয়টি সামনে আনেন সাংবাদিকরা।
গত সপ্তাহে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে দোহা সফরে গিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার রাতে সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে…।
প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার সেরে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে, তার পরে নয়।
আমীর খসরু প্রশ্ন রাখেন, “এই জনগণ বলতে কারা? এই জনগণ কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে, নির্বাচনকে সংস্কারের মুখেমুখি করছে অথবা কোনো দেশি বিশেষ সুবিধাভোগীরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধাচারণ করছে, মুখোমুখি করছে… এটা তো কারো বুঝতে কোনো কারণ নেই।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিলে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অবস্থার অর্ডারটা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে, সেটা যেই সরকারই হোক।
“কোনো মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এই বাংলাদেশের মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করে নাই, এত ত্যাগ স্বীকার করে নাই। আর কোনো মহামানব দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে, সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।”
আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদ অবসানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সাথে যারা রাস্তায় ছিল, ইতিমধ্যে ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছ, ডিসেম্বরে আগে নির্বাচন দিতে হবে
“সাথে সাথে সংস্কারের যে কথা বলা হয়, যে সংস্কারগুলোতে ঐকমত্য হবে সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।”
গুলশানে সোমবার ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠকে বসেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
ন্যাপ-ভাসানীর নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। আমজনতার দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মশিউজ্জামান এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আখতার।