প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলাসহ আরও দুই মামলায় জামিন না হওয়ায় এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি।
Published : 15 Feb 2024, 04:53 PM
ঢাকায় বিচারপতিদের আবাসন কমপ্লেক্সে হামলার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন ঢাকার একজন অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম।
বৃহস্পতিবার বিচারক সুলতান সোহাগ উদ্দিন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
কারাগার থেকে সাড়ে তিন মাস পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের জামিন মুক্তি পাওয়ার দিনে আরও এক মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা আলতাফ।
তবে এখনই কারামুক্তি মিলছে না সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফের। আরও দুই মামলায় জামিন না হওয়ায় কারাগারে থাকতে হচ্ছে তাকে। এর মধ্যে একটি প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার মামলা এবং অপরটি পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার পুরানো মামলা, যেটিতে তার ২১ মাসের সাজা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রমনা থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
গত ২৮ ডিসেম্বর এক যুগ আগের একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফকে ২১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল হাকিম আদালত।
আলতাফের অন্যতম আইনজীবী মোসলেহ উদ্দীন জসীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার মামলায় উচ্চ আদালতে তার জামিন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর হাকিম আদালত থেকে দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
বৃহস্পতিবার জামিন পাওয়া বিচারপতিদের বাসভবন বা জাজেজ আবাসন কমপ্লেক্সে হামলার মামলার অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির
মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। সংঘর্ষের
একপর্যায়ে রমনায় অবস্থিত জাজেজ কমপ্লেক্সে ভাঙচুর করেন বিএনপির কর্মীরা। এ সময় তারা ইটপাটকেল, লাঠিসোঁটা, রড ইত্যাদি নিয়ে কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মো. শহিদুল ওসমান মাসুম।
নাশকতার মামলায় আলতাফ ও হাফিজসহ ৮ জনের সাজা
দুই মামলায় আলতাফ ও আলালের জামিন
মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় আলতাফের বিরুদ্ধে রমনা থানায় চারটি মামলা হয়। এরমধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুটিতে জামিন পান।
গত ৫ নভেম্বর ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে বিএনপির সাবেক এই মন্ত্রীকে আটক করে র্যাব।
ওইদিনই তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে নাশকতা ও ভাঙচুরের এক মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।