মার্কিন ভিসা নীতি কি বাংলাদেশে দুই দলের দূরত্ব ঘোচাবে?

আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, বিএনপি এবার ভোটে আসবে। তবে বিএনপি এখনও বলছে, তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছাড়ছে না তারা।

কাজী মোবারক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2023, 07:41 PM
Updated : 27 May 2023, 07:41 PM

বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের বক্তব্যে এক ধরনের ঐক্যমতের সুর দেখা যাচ্ছে। দুই পক্ষই মনে করছে, এ নীতি ‘সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক’; যদিও নির্বাচন নিয়ে সংকটের জন্য এখনও পরস্পরকেই দোষ দিচ্ছে তারা।

এ নীতি বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি ভোটে আসবে কি না, এ নিয়েও আছে জিজ্ঞাসা। আওয়ামী লীগও কতটা ছাড় দেবে, তা নিয়েও রয়েছে কৌতূহল।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, আমেরিকার এ নীতির কারণেই বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে আসবে।

বিএনপি নেতারা সেই সম্ভাবনা নাকচ করে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে কোনো ছাড় দেবেন না তারা। বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার নীতিতে আসছে না পরিবর্তন।

তত্ত্বাবধায়কের দাবি নাকচ করে আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। আর সেই নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপিকে আলাদা করে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হবে না।

এর আগে ২০১৪ সালে বিএনপির দাবি অগ্রাহ্য করেই নির্বাচনে যায় আওয়ামী লীগ। সহিংস আন্দোলনেও সেটি ঠেকাতে পারেনি বিরোধীরা। বরং সেই নির্বাচনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যায় অনেকটাই।

বিরোধীদের বর্জনের মধ্যে এর আগে জাতীয় পার্টি ১৯৮৮ সালে এবং বিএনপি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। তবে দশম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ মেয়াদ পূরণ করে। এরপর ২০১৮ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনেই হয় ভোট, যাতে বিএনপির ভরাডুবি হয়।

এ দুই নির্বাচনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভেদ আরও চরম আকারই শুধু ধারণ করেনি, সংসদের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও উঠতে থাকে ব্যাপক অভিযোগ।

Also Read: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে অর্থপাচার কমবে, আশায় মোমেন

Also Read: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি: যা বলছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি

Also Read: বিএনপি তাকিয়ে ‘নিষেধাজ্ঞা’র দিকে: কাদের

Also Read: যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কিচ্ছু কিনব না: প্রধানমন্ত্রী

বহু এলাকায় ভোটের দিন বিরোধীরা নানা অভিযোগে তা বর্জন করেছে। তাদের অভিযোগ, প্রচারের সময় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়, কেন্দ্রে যেতে তাদের সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয়, কেন্দ্রে সিল মেরে বাক্স ভরা হয়।

সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অবশ্য স্বীকার করা হয় না। তবে নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সরকারি দলের প্রার্থীরা একচেটিয়া ভোটে পাস করেছেন।

এর মধ্যে বিএনপি আবার তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলনে ফিরে যাওয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে সবশেষ এ বক্তব্য আসে। তাৎক্ষণিকভাবে উৎফুল্ল হয় বিএনপি সমর্থকরা। স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন দলটির নেতারা।

পরে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারাও কথা বলতে শুরু করেন এবং তারা বোঝাতে চাইছেন, এ পদক্ষেপ তাদের পক্ষেই গেছে।

ভিসা নীতি নিয়ে দুই দলের প্রকাশ্য বক্তব্য

২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে।”

এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা বা কর্মচারী, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

পরের দিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে বলেন, “এই নীতি সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা দেখতে পাই বিরোধী দলের কোনো সদস্য নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে সহিংসতায় জড়িত ছিলেন বা ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনে জড়িত ছিলেন, তাহলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

“একইভাবে আমরা যদি দেখি সরকারের কোনো সদস্য বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন বা সহিংসতা বা বাক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত, তাকেও আমরা মার্কিন ভিসা দেব না।”

পরের দিন ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে একই টেবিলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বসে বিএনপিও।

সেই বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটাকে ওয়েলকাম করছি এই কারণে যে, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে মানুষের যে শঙ্কা নির্বাচনকে নিয়ে, অন্তত এই ধরনের একটি পদক্ষেপ আমি মনে করি আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

পরদিন এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার স্বাধীনতা ও অধিকার চর্চাকে সহিংসভাবে দমনের যে কোনো নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিরই সুস্পষ্ট প্রতিধ্বনি।”

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৫ মে সাংবাদিকদের বলেন, “যারা নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে, এরাই একটা পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সে আছে। কাজেই ওদের খবর আছে।”

পরের দিন এক সমাবেশে তিনি বলেন, “ভিসা পলিসি দেখে বিএনপির রাতের ঘুম হারাম। দিনের আরাম হারাম। তারা ভয় পেয়ে গেছে। ফখরুল কথা বলে মুখ লুকিয়ে। মুখ শুকিয়ে গেছে, কারণ সেখানে যেগুলো নেগেটিভ সবই তাদের জন্য।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতিক্রিয়া এমন, “আমেরিকার এই ভিসার রেস্ট্রিকশন শুধু সরকারি দলের ওপর না, অপজিশনের লোকজনেরও উপর বর্তাবে। এতে করে আমরা আশা করি, এবার তারা (বিএনপি) ইনশাল্লাহ একটু সচেতন হবে।”

শনিবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে অর্থপাচার কমবে।

বিএনপিকে ভোটে আনবে, বিশ্বাস আওয়ামী লীগের

ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যারা নির্বাচন বন্ধ করতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে, তাদের জন্য এটি (ভিসা নীতি) একটি চরম বার্তা। অর্থাৎ এরা আর এই পথে হাঁটতে পারবে না। নির্বাচনই একমাত্র পথ। নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র রক্ষা হয়, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিতে হয়।”

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “যারা ইতিপূর্বে নির্বাচনকে প্রতিরোধ করার জন্য, বর্জন করার জন্য, বিতর্কিত করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস নৈরাজ্য করেছে, আমরা মনে করি এই নীতি (ভিসা নীতি) তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হবে।”

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, “যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে আগুন সন্ত্রাস করার ষড়যন্ত্র করছে, সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নির্বাচন বানচালে হুঙ্কার দিচ্ছে, তাদের জন্য এই ভিসা নীতি সমস্যার কারণ হবে।”

Also Read: বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি: নির্বাচনে বাধা হলে মিলবে না ভিসা

Also Read: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিচলিত নয় সরকার: শাহরিয়ার

Also Read: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে নয়

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, “মার্কিন এই ভিসা নীতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। আমাদেরও লক্ষ্য একই। সেক্ষেত্রে যারা বাধা সৃষ্টি করতে আসবে তাদের (বিএনপি) সমস্যা হলে আমাদের কোনো কিছু যায় আসে না।”

ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়ে যায়নি, মনে করে বিএনপি

তত্ত্বাবাধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি মানে এই নয় যে, আমাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত হয়ে গেছে।

“সরকারের আচরণ তো পাল্টায়নি। জাতীয় সংসদের নির্বাচন তো অনেক পরে। এখনও তারা মিথ্যাচার করছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করছে, নির্বিচারে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে, গ্রেপ্তার করছে।”

এই বিএনপি নেতা মনে করেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের পূর্বশর্ত সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। এটা করতে হলে ‘অবশ্যই’ একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, “ডিসি, এসপি, টিএনও, ওসি- সব জায়গায় ‘দলীয়’ লোকজনকে বেছে বেছে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে গিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।”

Also Read: মার্কিন ভিসা নীতি: বিএনপি এবার ‘সচেতন’ হবে, আশা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Also Read: মার্কিন ভিসা নীতিতে ‘জনদাবিরই প্রতিধ্বনি’: ফখরুল

Also Read: মার্কিন ভিসানীতিতে বিএনপির ঘুম হারাম: কাদের

দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমাদের বক্তব্য একটাই, এই সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। কারণ, এই সরকারের উপর আমাদের যেমন আস্থা নেই, তেমনি জনগণেরও নেই।”

দাবি আদায়ে কর্মসূচি আরও কঠোর করার কথাও জানান বিএনপির এই নীতি নির্ধারক। তিনি বলেন, “সামনে আরও কঠিন কর্মসূচি আসবে যদি সরকার জনগণের ভোটাধিকারের দাবি না মানে।…আমাদের নেতা তারেক রহমান যে কথা বলেছেন, ‘ফয়সালা হবে রাজপথে’।”

সমঝোতার আশা

নির্বাচনের ছয় মাসেরও কম সময় আগে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের সমঝোতার আশা করছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাজনীতিবিদরাই তো বলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কোনো কিছু নেই। আমি মনে করি যে, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে যাবে না- এটা শেষ কথা বলে মনে করি না। হয়ত একটা সময় আাসতে পারে সমঝোতার বা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। তাহলে সংঘাতময় পরিস্থিতির আর শঙ্কা থাকবে না।”

বিএনপির নানা ধরনের দাবিকে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল মনে করেন বিগত নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বপালনকারী রফিকুল, যে ইসির অধীনে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নিয়েছিল।

বিএনপির অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলনটাকে আরও চাঙ্গা করার পাশাপাশি একই সঙ্গে সরকারের উপর চাপটা বাড়তে থাকে, তাহলে সমঝোতা-আলোচনার পথ প্রশস্ত হবে।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষ অনড় অবস্থানে থাকলে তা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে বলে হুঁশিয়ার করেন রফিকুল।

“একগুয়েমি অবস্থান থাকলে তো পরিস্থিতি সংঘাতময়তার দিকে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। উভয়পক্ষের অনড় অবস্থান ভালো ফল আনবে না। সমঝোতার মাধ্যমে ইন বিটুইন বিষয়টা আশার সঞ্চার করে।”