ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার জন্য ৪০টি দেশ আবেদন করেছে, সেখান থেকে ছয়টি দেশকে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে। সুতরাং এখনই অন্তর্ভুক্ত না হওয়া অনেক দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
Published : 28 Aug 2023, 07:02 PM
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ কি খালি হাতে ফিরল? নাকি পাওয়ার আশা নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করল? ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার আশা থাকলেও শেষপর্যন্ত সেটা হয়নি। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, এখানে রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক অনেক ইস্যু আছে। এখানে ভারসাম্য করার একটি ব্যাপার আছে। নতুন সদস্যদের মধ্যে লাতিন আমেরিকা থেকে একটি, উত্তর আফ্রিকা থেকে একটি দেশ নেওয়া হয়েছে। আবার মধ্যপ্রাচ্য থেকেও নেওয়া হয়েছে। সুতরাং ভারসাম্য করার একটি চেষ্টা আছে। পরের ধাপে বাংলাদেশ ব্রিকসে যুক্ত হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বাংলাদেশের পাশে আরও দেশ ছিল। যারা আগ্রহী ছিল। তারা পায়নি। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক পর্যায়ে বলতে পারেন, আমরা ছয়জনের মধ্যে এবার ছিলাম না। কিন্তু আমরা ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে আছি। ওটার মাধ্যমে আমাদের লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে।
যারা সরকারবিরোধী তারা অবশ্য খুশিতে ডগমগ। শেখ হাসিনা যদি ব্রিকসের সদস্যপদ পেয়ে দেশে ফিরতেন, তাহলে তার মাথায় সাফল্যের যে পালক থাকত তাতে বিরোধীদের অপপ্রচার কিছুটা মাঠে মারা যেত। এখন কারণ যাই হোক বাংলাদেশ সদস্যপদ পায়নি, তাই বিরুদ্ধে বলার দুয়ার খোলা।
তবে যারা দিনদুনিয়ার খোঁজ খবর রাখেন তারা কিন্তু এ নিয়ে ঢালাও কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন। তবে সমস্যা হলো, আমাদের দেশে প্রকৃত তথ্য না জেনে মন্তব্য করার লোকের সংখ্যাই বেশি। কিছু মানুষের তথ্যের চেয়ে গুজবে আগ্রহ বেশি।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, কৌশলগত কারণে এবার বাংলাদেশই ব্রিকসের সদস্যপদ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে যদি প্রয়োজন মনে করে অবশ্যই ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এই জোটের সদস্য হতে পারবে। সব মিলিয়ে ব্রিকসে অংশগ্রহণ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো লাভ হবে না বরং ওই সম্মেলনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ একের পর এক চ্যালেঞ্জের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার পথ নির্ধারণ করে এসেছে। এক্ষেত্রে সদস্যপদ পাওয়া না-পাওয়া নিয়ে ‘পাস-ফেল’ বিচার করা অর্থহীন।
উল্লেখ্য, ব্রিকস ২০০৬ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন—এই চারটি দেশ নিয়ে ব্রিক নামে গঠিত হয়েছিল। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্তির ফলে এটি ব্রিকস নাম ধারণ করে। নতুন অন্তর্ভুক্ত ছয়টি দেশের মধ্যে আফ্রিকা থেকে দুটি দেশ—মিশর এবং ইথিওপিয়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তিনটি দেশ—ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ল্যাটিন আমেরিকা থেকে একটি দেশ—আজেন্টিনা এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২৪ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে (ব্রিকস—আফ্রিকা আউটরিচ ও ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ) ব্রিকসের ‘নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন। তিনি ব্রিকসকে বিশ্বের একটি বহুমুখী বাতিঘর হিসেবে দেখার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া তথাকথিত পছন্দ ও বিভাজনকে ‘না’ বলা উচিত। সর্বজনীন নিয়ম ও মূল্যবোধকে অস্ত্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা আমাদের অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আমাদের নিষেধাজ্ঞা-পাল্টানিষেধাজ্ঞার চক্র বন্ধ করতে হবে এবং সব ধরনের হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।” তিনি অস্ত্র প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে এসে বিশ্বে জনগণের প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তি, ন্যায়বিচার ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সবাইকে একসঙ্গে অবশ্যই আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ও প্রযুক্তির জন্য প্রত্যেকের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং জলবায়ু, ন্যায়বিচার, অভিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল ইক্যুইটি ও ঋণ স্থায়িত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এটা বললে বাড়িয়ে বলা হবে না যে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্রিকসকে ব্যবহার করে পরিকল্পনামাফিক ফায়দা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যাবে। পাশাপাশি আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশ নতুন বাজার খুলতে পেরেছে। এছাড়া এবার ‘ব্রিকসের সদস্য হবে না’—এটা জেনেই বাংলাদেশ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অপ্রাপ্তির কিছু নেই। যারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্রিকস থেকে কিছুই পায়নি, তারা না জেনে ভুল তথ্য প্রচার করছেন।
এর আগে বাংলাদেশ এই জোটের অধীনে থাকা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হয়েছে। গত ২২-২৪ অগাস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকস সম্মেলন হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সম্মেলন শেষে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশেও ফিরেছেন।
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সম্পর্ক ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এই সম্পর্কোন্নয়নের জেরে ব্যবসাবাণিজ্যে মুনাফা পাবে বাংলাদেশ। এই সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা ও কথা হয়েছে। অন্য নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আফ্রিকা মহাদেশে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে দূত সম্মেলন করেছেন।
এসব বৈঠকের ফাঁকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দ্য সিলভা টুইটে লিখেছেন, আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস এজেন্ডাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা উভয় দেশের জনগণের নীতির মাধ্যমে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছি। শিগগিরই আমি ব্রাজিল এবং এর ফুটবলের প্রতি অনুরাগী এই দেশটিতে যেতে চাই এবং আমি প্রধানমন্ত্রীকে আমাদের দেশে সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছি।
জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন কৌশলের সমন্বয় জোরদার করতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতা গভীর করতে, দ্বিপক্ষীয় কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে ইচ্ছুক। এর ফলে দু-দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসবে। এতে দু-দেশের জনগণ উপকৃত হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এমনও মনে করছেন যে, নির্বাচনের আগে এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের অংশ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ বড় বড় দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বিশেষ করে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানসহ ব্যবসা-বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে।
এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের অনেকগুলো অর্জন আছে। যার কিছুটা রাজনৈতিক এবং কিছুটা অর্থনৈতিক।
এটা এখন সবারই জানা যে, ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার জন্য ৪০টি দেশ আবেদন করেছে, সেখান থেকে ছয়টি দেশকে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও নেওয়া হবে। সুতরাং এখনই অন্তর্ভুক্ত না হওয়া অনেক দেশের জন্যই প্রযোজ্য।
ব্রিকসে বাংলাদেশ সদস্য হতে না পারলেও নতুন ছয়টি দেশ যুক্ত হয়েছে। এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানি নাটকীয়ভাবে বাড়বে। বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে থাকা এই জোটের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সংযোগ জোরদার হলে সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে যুক্ত করার তাগিদ আপনা-আপনিই চলে আসবে। তখন বাংলাদেশ হতে পারে ব্রিকস প্লাসের মূল কেন্দ্র। কারণ বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে তাদের সমুদ্রবন্দর সংযুক্ত করা হলে পুরো অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে যেতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ একাধিক ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে অনেক দেশকে একত্রিত করতে পারে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) চেয়ার এবং প্রায়ই নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে সোচ্চার থাকে। বাংলাদেশ কীভাবে হিংসাত্মক চরমপন্থা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ভাগ করে ব্রিকসকে সহায়তা করতে পারে এবং বৈশ্বিক পরিবেশগত নীতির বিষয়ে সোচ্চার থাকতে পারে তা ব্রিকস অবশ্যই জেনে নেবে। এর ফলে ব্রিকস ও বাংলাদেশ উভয়েরই উপকার হবে। তবুও বাংলাদেশকে অবশ্যই তার কৌশলগত আচরণ অনুযায়ী ব্রিকসের প্রতি সাড়া দিতে হবে। তখনই প্রশ্ন আসবে, ব্রিকস কী সরবরাহ করতে পারে এবং বাংলাদেশ কী দাবি করতে পারে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ বলেন, ব্রিকসের সদস্য হতে না পারায় তেমন ক্ষতিকর কিছু হওয়ার কোনো আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে না। কারণ ব্রিকস এখন পর্যন্ত যুগান্তকারী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কিংবা সে ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়নি। ব্রিকসের উল্লেখ করার মতো একমাত্র সাফল্য হলো নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ ব্যাংকের সদস্য হয়েছে।
গত প্রায় ১০ বছরে এ ব্যাংকটি বিভিন্ন দেশে যে উন্নয়ন সহযোগিতা দিয়েছে, তার চেয়েও অনেক গুণ সহযোগিতা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা আইএমএফ। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা আইএমএফের সঙ্গে সে অর্থে তুলনীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি। ব্রিকসের বর্তমান বাস্তবতা যদি আমরা দেখি, এখানে রাশিয়া, চীন ও ভারতই মূল শক্তি হবে। আমরা এর সদস্য হলে ব্রিকসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব কিংবা তারা সব সময় আমাদের কথা শুনবে—এমনটিও নয়। তবে নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হলে আমাদের একটা অ্যাভিনিউ খুলে যায়, যেখানে আমরা সমস্যার কথা বলতে এবং ক্ষেত্রবিশেষে কোনো কিছুতে সমর্থন দিতে বা পেতে পারি। এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে তারা ছয়টি দেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং সে দেশগুলোর পূর্ণ সদস্যভুক্তি আগামী জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দেয়ায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ এখন ব্রিকস ব্যাংক বা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য হিসেবে ব্যাংক ঋণ, অন্যান্য আর্থিক সুযোগ এবং উন্নয়নমূলক নীতি তৈরিতে আরও বেশি প্রবেশাধিকার পেয়েছে। শুধু অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যেই নয়, কৌশলগত রাজনৈতিক কারণেও সেখানে অংশ নিতে পারে। কারণ ঢাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও অনেক মন্তব্য আছে বলে মনে করে উন্নত দেশগুলো। এ রকম পরিস্থিতিতে ব্রিকসে যোগ দিলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক সমর্থন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া পাশাপাশি ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে চীন ও রাশিয়ায় মনোভাব নমনীয়। নয়াদিল্লি ও ঢাকার সরকার এবং প্রশাসনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাই ব্রিকসের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন বাংলাদেশকে যেকোনো ধরনের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সহায়তা করতে পারে।
বলা হচ্ছে, ভারতের অনাগ্রহের কারণেই এবার বাংলাদেশের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। যারা এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন তারা মনে করেন, দ্রুতই এমন সময় আসবে, যখন ভারতের অবস্থানেরও পরিবর্তন হবে। ভূরাজনীতির নানা হিসাবনিকাশ ও সমীকরণ বাংলাদেশের অনুকূলে আসবেই।