নিকট অতীতেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কারা পাবে বা পাবে না, সেখানে সরকারের ব্যাপক ভূমিকা থাকে।
Published : 12 Apr 2025, 06:20 PM
দেশে এ মুহূর্তে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৯। এ পর্যন্ত নিবন্ধিত ৫৪টি দলের মধ্যে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে পাঁচটি দলের। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। নিবন্ধন ফিরে পেতে লড়াই করছে জামায়াত। গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ অগাস্ট পতন হওয়া আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে সদ্য গঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি— যারা এখনও নিবন্ধিত দল নয়।
২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসিতে নিবন্ধিত হওয়ার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়। ওই বিধানের আলোকে দলগুলো আবেদন করে এবং প্রথম দল হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর। একই দিন নিবন্ধন পায় এরশাদের জাতীয় পার্টি। ৬ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধিত হয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির নিবন্ধন নম্বর ৭। আর ১৪ নম্বর দল হিসেবে জামায়াত নিবন্ধন পেলেও ২০১৩ সালে তার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যলেঞ্জ করে আদালতে যায় জামায়াত। বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
জামায়াত কি নিবন্ধন ফিরে পাবে?
২০০৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়ার পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন। ২০১৩ সালের পয়লা অগাস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। এই রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ অগাস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। তবে আপিল শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল আবেদনটি খারিজের আদেশ দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ। এতে করে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল থাকে।
গত বছরের ৫ অগাস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। নিবন্ধন ফিরে পেতে তাদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানিতে জামায়াতের আইনজীবীরা বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রিট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
গত ২২ অক্টোবর সে আবেদনের শুনানি নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে করে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ নতুন করে উন্মোচিত হলো বলে মনে করছেন আইনজীবীরা। তবে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেওয়ায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার সুযোগ কতটা আছে— সেটি বিতর্কের বিষয়।
ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধন ফিরে না পেলে দল হিসেবে জামায়াত নির্বাচনে অংশে নিতে পারবে না। তাদের প্রার্থীরা তখন হয়তো অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। কিংবা নতুন করে অন্য নামে নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে। যদিও আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলটি এরই মধ্যে তিনশো আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে বলেও গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ফলে যে দলের নিবন্ধন নেই, তারা কী করে প্রার্থী দেবে, এটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনি জনমনে এই প্রশ্নও আছে যে, বিদ্যমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জামায়াত কি তাহলে নিশ্চিত বা আত্মবিশ্বাসী?
এনসিপি কেন নিবন্ধনের আবেদন করছে না?
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধান অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে হলে আবেদনকারী দলকে অতীতের যে কোনো একটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে অন্তত একটি আসন পেতে হবে; অথবা যে কোনো নির্বাচনের একটিতে অন্তত পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে; অথবা দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১টি) ও ১০০ উপজেলা বা থানা পর্যায়ে দলের কমিটি ও কার্যালয় থাকতে হবে।
এটি হচ্ছে আইনের কথা। কিন্তু নিকট অতীতেও আমরা দেখেছি নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কারা পাবে বা পাবে না, সেখানে সরকারের ব্যাপক ভূমিকা থাকে। অর্থাৎ সরকার না চাইলে কোনো দলের পক্ষে নিবন্ধন পাওয়া কঠিন।ফলে এবার যেসব নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বা করবে,তাদের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে কোনো দলের তুলনায় দ্রুত ও সহজে নিবন্ধন পেয়ে যাবে বলে ধারণা করা যায়। কারণ এই দলটির প্রতি যে সরকারের পরোক্ষ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে— সেটি লুকোছাপার কোনো বিষয় নয়। ফলে এই সরকারের আমলে এনসিপির নিবন্ধন পেতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। তবে দল নিবন্ধনের বিদ্যমান পদ্ধতি বা আইনের বিরোধিতা করছে এনসিপি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। কেননা তারা মনে করেন দল নিবন্ধনের বিধানটি অযৗক্তিক।
গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এবং ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু ১৬ মার্চ এই গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসানাত কাইয়ুম— যেখানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয় চ্যালেঞ্জসহ আরো কয়েকটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়। তার যুক্তি, কোনো দলের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলা এবং ১০০ উপজেলা বা থানা পর্যায়ে দলের কমিটি ও কার্যালয় থাকার বিধানটি অবাস্তব ও অসাংবিধানিক। কেননা এর মধ্য দিয় কোনো আঞ্চলিক দল নিবন্ধন পাবে না। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী একটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে তাদেরকে নিবন্ধন দেয়া হবে না। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের এই যুক্তির সঙ্গে একমত জাতীয় নাগরিক পার্টিও। তারাও মনে করে নিবন্ধনের বিদ্যমান আইনটি রাজনৈতিক দল বিকাশের প্রধান অন্তরায়।
রিট দায়েরের পরদিনই নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাই কোর্ট। এছাড়া এই গণবিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়। এরকম বাস্তবতায় এনসিপি এখনও নিবন্ধনের আবেদন করেনি। তারা ২০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করবে না, বরং এর জন্য সময় চেয়ে ইসিকে চিঠি দেবে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে গণবিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং ইসির অবস্থানটিও তারা দেখতে চায়।
আওয়ামী ‘লিগ’ নিবন্ধন চায়?
সম্প্রতি পাঁচটি দল নিবন্ধন পেয়েছে। এগুলো হচ্ছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। এর মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল।
সম্প্রতি যেসব দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে তার মধ্যে আওয়ামী লীগ নামেও একটি রয়েছে— যা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত মাসের শেষদিকে উজ্জ্বল রায় নামে এক যুবক আওয়ামী ‘লিগ’ নামে একটি নতুন দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়েছেন ইসিতে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবার নাম নরেশ চন্দ্র রায়, মা পারুল রায়। তিনি দলের একক সংগঠক এবং একমাত্র সদস্য হিসেবে দাবি করছেন। তিনি এ দলটির জন্য নৌকা বা ইলিশ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন। উজ্জ্বল রায় ইসিতে জানিয়েছেন, গত ২৪ মার্চ দলটি গঠন করা হয়েছে। দলের প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে। দলটির সভাপতি তিনি।
এই সংবাদটিকে অনেকে হেসে উড়িয়ে দিয়ছেন। কেউ কেউ উজ্জ্বল রায়ের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন যে, নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকার পরেও তিনি কেন একই নামে একটি দলের নিবন্ধনের আবেদন করলেন? এর মধ্য দিয়ে তিনি বার্তা দিতে চাইলেন—তা নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহ আছে। অবশ্য উজ্জ্বলের নিবন্ধন চাওয়া দলটি আওয়ামী লীগ নয় আওয়ামি লিগ।
কী হয়েছিল ২০২২ ও ২০১৮ সালে সালে?
২০২২ সালে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য ৯৮টি দল আবেদন করেছিল। তার মধ্যে কয়েকটি দলের নাম অদ্ভুত; যেমন মুসকিল লীগ, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, বৈরাবরী পার্টি, নাকফুল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ গরীব পার্টি, বাংলাদেশ সৎ সংগ্রামী ভোটার পার্টি ইত্যাদি। এর মধ্যে অনেক দল ছিল ঠিকানাবিহীন। সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করেও এসব দলের কার্যালয়েরও অস্তিত্ব পাননি। ফলে তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলে যে, রাজনীতি বা রাজনৈতিক দল গঠন করে নিবন্ধন চাওয়া কিংবা নির্বাচন একটি ‘ছেলেখেলা’ বা কৌতুকের বিষয় কি না? যে রাজনীতি হচ্ছে দেশ পরিচালনার হাতিয়ার, সেই রাজনীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ যে রসিকতা করেছে; নিবন্ধন চেয়ে আবেদনকারী অদ্ভুত সব দল নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করেছে— সেটি সামগ্রিকভাবে আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দেউলিয়াত্বের দিকটিই উন্মোচিত করে কি না—এমন প্রশ্নও কেউ কেউ তুলেছেন।
২০২২ সালে আবেন করা ওই ৯৮টি দলের মধ্যে নিবন্ধন পেয়েছিল মাত্র পাঁচটি দল। এগুলো হচ্ছে তৃণমূল বিএনপি, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বি.এস.পি)।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ৭৬টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। তখন নিবন্ধন পেয়েছিল মাত্র দুটি দল। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধন পায় মাত্র তিনটি দল। অথচ আবেদন করেছিল ৪৩টি দল। আর ২০০৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো যখন দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু হয়, তখন আবেদন করেছিল ১১৭টি দল। নিবন্ধন পায় ৩৯টি দল।
এবার কী হবে?
আগামী নির্বাচনের আগে আরও কতগুলো দল নিবন্ধন পাবে এবং তখন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত দাঁড়াবে; জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে কি না এবং না পেলে তারা তাদের প্রার্থীরা কোন দলের প্রতীকে ভোট করবেন; জাতীয় নাগরিক পার্টির নিবন্ধন নিয়ে কী কী ঘটনা ঘটবে; আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবির বিষয়ে ইসি বা আদালত কী সিদ্ধান্ত দেবেন; নিবন্ধন আইন ও গণবিজ্ঞপ্তি ভবিষ্যৎ কী হবে— এরকম নানা প্রশ্ন আগামী দিনগুলোতে দেশের রাজনীতিতে আরও বেশি সামনে আসবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়া ও বাতিলের ইস্যুতে অতীতের নির্বাচন কমিশনগুলো যেমন সরকার ও সরকারি দলের আজ্ঞাবহ থেকেছে বা তাদের সিদ্ধান্ত ও চাওয়ার বাইরে যেতে পারেনি, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সেরকম ঘটনা ঘটে কি না— সেদিকে দেশবাসীর নজর থাকবে।