উপদেষ্টা পরিষদ ২৫ সদস্যের হলে ভালো হতো— যাতে করে সবগুলো বড় মন্ত্রণালয়ে অন্তত একজন করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
Published : 09 Aug 2024, 01:50 AM
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাতের ঘটনাকে ‘বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস— সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আওয়ামী লীগ যাকে ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করত। তিনি এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানে অন্তর্বর্তী বা জাতীয় সরকারের কোনো বিধান নেই। ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করা হয়েছিল, ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই বিধানটি বাতিল করা হয়। ফলে মন্ত্রিসভা বা সংসদ ভেঙে গেলে নতুন সংসদ ও সরকার গঠনের প্রক্রিয়াটি হওয়ার কথা অব্যবহিত পূর্বের সরকারের অধীনে। কিন্তু বিদ্যমান বাস্তবতায় সংবিধানের ওই বিধান মেনে নতুন সরকার গঠনের সুযোগ নেই। ফলে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাবলে ‘স্টেট নেসেসিটি’ তথা রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন— তার পেছনে প্রধান সহায়ক হিসেবে রয়েছে সেনাবাহিনী।
সবশেষ একই ধরনের সরকার ছিল ২০০৭-০৮ সালে— যেটি ‘এক-এগারোর সরকার’ নামে পরিচিত। অতএব ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যে নতুন সরকার যাত্রা শুরু করল, তারা কত মাস কিংবা কত বছর ক্ষমতায় থাকবে এবং কবে একটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক সরকার গঠিত হবে— ওই বিষয়ে এখনই উপসংহারে পৌঁছানো কঠিন। তবে ধারণা করা যায়, এই সরকার হয়তো বছর কয়েক ক্ষমতায় থাকবে। যদিও মাঠের রাজনীতিতে সদ্যবিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এই দাবিতে তারা কতটা অনড় থাকবে কিংবা তাদের এই দাবি পূরণ হবে কিনা; আগামী দিনগুলোয় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেমন হবে— সেসব বিষয়েও এখনই কোনো মন্তব্য করা কঠিন। তবে যে পরিপ্রেক্ষিতে টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা পরাক্রমশালী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলো এবং যেসব দাবিতে ছাত্রজনতা এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিল, সেসব দাবি পূরণ খুব অল্প সময়ে করা কঠিন। ওই কারণে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকবে। জনপরিসরেও এরকম দাবি বেশ প্রবল। তবে এ বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য না করাই সমীচীন।
দেশে যখন এই পালাবদল ঘটে গেল, তখন ড. ইউনূস ছিলেন প্যারিসে। অলিম্পিকের আসরে। একজন বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সেখানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। দেশে ফিরেছেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সেখানে এই আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। যারা এই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন। তরুণ সমাজের উদ্দেশে বলেছেন, “এই দেশ তোমাদের, এটাকে তোমরা তোমাদের মনের মতো করে গড়ে তুলবে।” তার মানে ড. ইউনূস এখানে বলেননি যে, তিনি গড়ে তুলবেন। এখানে তিনি দায়িত্বটা তরুণদের ওপরেই ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আবু সাঈদের ছবি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। কী অবিশ্বাস্য এক সাহসী যুবক! বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর থেকে আর কোনো যুবক-যুবতী হার মানেনি, সামনে এগিয়ে গেছে। তারা বলেছে, যত গুলি মারো মারতে পারো, আমরা আছি। যার কারণে এই আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে এবং বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জন করেছে।’
৮৪ বছরের এই মানুষটি নিজের বয়সের সীমাবদ্ধতাও জানেন। ফলে দেশ পুনর্গঠনে ভরসা রাখছেন তরুণদের ওপরেই। বলেছেন, “আমি বারেবারে উপদেশ দিই, পুরোনোদের বাদ দাও। পুরোনোদের চিন্তা দিয়ে কিছু হবে না। শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দুনিয়ার কথা বলছি। তোমাদের মধ্যে যে শক্তি আছে, সৃজনশীলতা আছে, সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। শুধু বইখাতাতে লেখার জিনিস না, সেটা প্রকাশ করার জিনিস।”
অন্তর্বর্তী সরকার
ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নিল অন্তর্বর্তী সরকার
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৬ জন উপদেষ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গভবনে যে ১৩ জন (তিন জন ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ নিতে পারেননি) শপথ নিয়েছেন, তাদের মধ্যে আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে আছেন মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন এমন শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলও রয়েছেন। এছাড়া অর্থনীতি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার, আইন, নির্বাচন, পরিবেশসহ নানা সেক্টর থেকেও প্রতিনিধি রয়েছেন। যদিও ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের কোনো প্রতিনিধি নেই। রাজনৈতিক দলেরও কোনো প্রতিনিধি নেই। রাষ্ট্র চালানো মূলত রাজনীতির ব্যাপার। সুতরাং এই পরিষদে প্রধান দলগুলোর বাইরে অপেক্ষাকৃত ছোট দল থেকে মোটামুটি ক্লিন ইমেজের দুজন রাজনীতিবিদকে রাখা যেত। এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিল যে শিক্ষক নেটওয়ার্ক, যে নেটওয়ার্ক শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল এবং রূপান্তরের রূপরেখা দিয়েছিল, সেই নেটওয়ার্কের কাউকে উপদেষ্টা পরিষদে না রাখায় অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।
ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদ: কার কী পরিচয়
১৬ জন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা চাইলে তার সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পারবেন। যদি দীর্ঘমেয়াদে এই সরকার থাকতে চায় এবং রাষ্ট্রের মৌলিক জায়গাগুলোয় পরিবর্তন আনতে চায়, সেক্ষেত্রে সদস্যদের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং রাষ্ট্রের সকল স্তরের মানুষের প্রতিনিধিদের যুক্ত করতে হবে। এই উপদেষ্টা পরিষদ ২৫ সদস্যের হলে ভালো হতো—যাতে করে সবগুলো বড় মন্ত্রণালয়ে অন্তত একজন করে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
নির্বাচন কবে? জবাব এল, ‘আগে সংস্কার’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের আগেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নেবে, সেগুলোতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও জনগণের ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা এরই মধ্যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সামনে কী পদক্ষেপ দেখতে চায়, তা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের দূরত্বটি একপর্যায়ে যে শত্রুতায় পর্যবসিত হয়েছিল, সেটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়েই বলেছেন, আমেরিকা চাইলে যেকোনো দেশের সরকার উল্টে দিতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অসম্মানিত হয়ে চলে যেতে হয়েছে। অতএব বাংলাদেশের এই সাম্প্রতিক পরিবর্তনকে তারা কীভাবে দেখছে বা কী বলছে সেটি খুব তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী চীন কী প্রতিক্রিয়া দেয়— সেদিকেও নজর রাখতে হবে।
এখন কী চ্যালেঞ্জ
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পরে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ। বিমানবন্দরে নেমে ড. ইউনূসও বলেছেন, “আমাদের কাজ হলো সবাইকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করা। প্রতিটি মানুষ আমাদের ভাই, আমাদের বোন, তাদের রক্ষা করা এবং আমাদের একটা শৃঙ্খলায় ফিরে আসা উচিত। এগুলো হলো অগ্রগতির সবচেয়ে বড় শত্রু। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন হতে হবে, তাদের হাতে সোপর্দ করতে হবে, এতে আমরা নিশ্চিত থাকব যে, এর একটা বিহিত হবে। এমন হলো আমরা দিয়ে দিলাম, তারা টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলো, এটা যেন না হয়।”
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের প্রতি মানুষের যে আস্থার সংকট, সেটি তুলে ধরেছেন। যে অনাস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে অসংখ্য ঘটনায় এই বাহিনীর সঙ্গে মানুষের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। টাকা ছাড়া কোনো সেবা না পাওয়া থেকে শুরু করে ছোটখাটো মামলার আসামি ধরতেও মধ্যরাতে বাড়িতে গিয়ে হানা দেয়া; প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়েও দলীয় ক্যাডারের মতো আচরণ; অন্যায় ও অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়াসহ নানা ঘটনায় পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে— যার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল সাম্প্রতিক আন্দোলনে। আন্দোলনকারীদের ওপর বেপরোয়া গুলি তাদের ওপর জনঅসন্তোষ আরও বাড়িয়েছে। যার পরিণতি হিসেবে এই আন্দোলনে অনেক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। ফলে এখন পুলিশের ওপর জনআস্থা ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ।
নতুন সরকারের ওপর দ্বিতীয় প্রধান চ্যালেঞ্জ সাম্প্রতিক আন্দোলনে অর্থনীতির যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেটি পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি বা প্রতিহিংসার শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখা। বাস্তবতা হলো, যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, ব্যবসায়ীরা তাদের পক্ষে কথা বলেন। কেননা নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে হলে তাদেরকে অনেক কিছুর সঙ্গে আপস করতে হয়। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। প্রতিহিংসা বা প্রতিশোধপরায়ণতার শিকার হলে শুধু একজন ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি ব্যক্তিগতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বরং তার সঙ্গে যুক্ত হাজার হাজার মানুষের জীবিকাও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। ফলে এখন দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে তাদেরকেও আস্থায় নিতে হবে। ভরসা দিতে হবে। বলা হয়, ব্যবসার জন্য টাকা কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো ভরসা। দেশের শেয়ার বাজারের বছরের পর বছর ধরে যে অস্থিরতা চলেছে, তার প্রধান কারণ ভরসাহীনতা। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে সেই ভরসা নিশ্চিত করা।
নিত্যপণ্যের বাজার ঠিক রাখতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরও মানুষের অসন্তোষ তৈরি হতে সময় লাগবে না। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের সব অংশ এই সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী নয়। এই সরকার ব্যর্থ হলে অনেকে খুশি হবে। অনেকে এই সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের জন্য নানাভাবে চেষ্টাও করবে। নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করে জনমনে ক্ষোভ উসকে দেয়ারও চেষ্টা থাকতে পারে। সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
বাজার নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ কথা নয়। তাছাড়া একজন ভালো শিক্ষক, একজন ভালো আইনজীবী কিংবা একজন মানবাধিকার কর্মী যে ভালো প্রশাসক হবেন, এমনটি নাও হতে পারে। রাষ্ট্র পরিচালনার কাজটি অনেক জটিল। বিশেষ করে বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে যে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে সেখানে আমলাতন্ত্র একটি বিরাট সমস্যা। ফলে এই আমলাতন্ত্র নতুন সরকারকে যদি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা না করে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষেও সুষ্ঠুভাবে দেশ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
পরিশেষে
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে নতুন সরকার গঠিত হলো, তাদের কাছে দেশের মানুষ, বিশেষ করে যে তরুণরা গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিল, তাদের প্রত্যাশা অনেক। তাদের এখন সতর্ক থাকতে হবে এই অভ্যুত্থানের ফল যেন এমন কারও হাতে চলে না যায়, যাদের বিরুদ্ধে তাদেরকে পুনরায় রাস্তায় নামতে হবে।