সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার জোরালো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে করছে ভারত।
Published : 15 Oct 2021, 01:01 AM
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে সরকারের এ অবস্থান তুলে ধরেরন।
হামলার ঘটনার পরও দুর্গাপূজা উৎসব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সরকার আইনশৃঙ্খলা, বাহিনী ও জনগণের সহায়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসবে হামলা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কিছু উদ্বেগজনক খবর আমরা দেখেছি। আমরা দেখেছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ বাংলাদেশ সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।
“আমরা আরও জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ সরকার আইনশৃঙ্খলা, বাহিনী ও জনগণের সহায়তায় দুর্গাপূজার চলমান উৎসব উদযাপন অব্যাহত রয়েছে।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলার মধ্যেই বুধবার সকালে কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে, এক পর্যায়ে বাঁধে সংঘর্ষ।
এর জের ধরে চাঁদপুরেও পূজা মণ্ডপে ভাংচুর ও সংঘর্ষ হয়, সেখানে প্রাণহানিও ঘটে। মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কর্ণফুলী উপজেলা, কক্সবাজারের পেকুয়া, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জেও।
ইতিমধ্যে কুমিল্লা, ফেনীসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় হামলা-ভাংচুর-সংঘাতের পর দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা দিতে ২২ জেলায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবির সদস্যদের মাঠে নামানো হয়েছে।
‘ধর্মকে ব্যবহার করে যারা সহিংসতা’ সৃষ্টি করছে তাদেরকে অবশ্যই খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
MEA on minorities being attacked in Bangladesh during Durga Puja: Have noted action by Bangladesh govt & it's support to Puja. pic.twitter.com/sR3cIhznnA
— Sidhant Sibal (@sidhant) October 14, 2021