চশমা পরেও মেইকআপ স্থায়ী করার পন্থা

চশমা পরলে যে সাজা যাবে না, সে কথা ঠিক নয়।

যারা চশমা পরেন তাদের জন্য মেইকআপ ঠিক রাখা বেশ ঝামেলাপূর্ণ।

চশমার কারণে নাকের ওপর চাপ পড়ে। সেখানের ফাইন্ডেশনে দাগ পড়ে যায়। চোখের সাজ হারিয়ে যায় ফ্রেমের আড়ালে। অনেক সময় মাসকারার দাগও পড়ে কাচে।

তবে একটু কৌশল খাটালে এই ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়।

এই সময়ে টিকটক খ্যাত রূপ-বিশেষজ্ঞ ও প্রণোদনাকর ভিক্টোরিয়া লিন মেইকআপের ওপর চশমা ব্যবহারের কয়েকটা টিপস সম্পর্কে জানান।

আর ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই কৌশলগুলোকে সমর্থন করে, নিউ ইয়র্কের রূপ-বিশেষজ্ঞ এমিলি এমিক আরও কিছু পরামর্শ দেন।

মুখের বাইরের দিক থেকে ভেতরের দিকে ফাউন্ডেশন ব্যবহার

লিন বলেন, “পছন্দের যে কোনো ফাউন্ডেশনই ব্যবহার করা যায়। কেবল ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন তা গালের অংশ থেকে শুরু করা হয় এবং শেষ হয় নাকের দিকে এসে। অর্থাৎ, বাড়তি অংশ নাকের দিকে ব্যবহার করতে হবে এতে নাকের দিকের মেইকআপে চশমার দাগ পড়বে না।”

চশমা পরা হোক বা না হোক, মুখে অতিরিক্ত মেইকআপের স্তর তৈরি করা যাবে না।

এমিক বলেন, “আমি সামান্য ফাউন্ডেশন ও কন্সিলার ব্যবহারের পক্ষে। যখন প্রয়োজন তখন কেবল ফুল কাভারেজ মেইকআপ ব্যবহার করা উচিত।”

নাকে পাউডার ব্যবহার

সামান্য প্রসাধনী ব্যবহার করা হলেও নাকের ওপরে পাউডার ব্যবহার করা উচিত।

লিন, নাকের ওপরে লুস পাউডার ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এতে নাকের মেইকআপ ভালো মতো স্থায়ী হয়। আর চশমা পরলেও তা মিলিয়ে যায় না।

চশমা পরা অবস্থায় ব্লাশ ব্যবহার

লিন চশমা পরা অবস্থায় ব্লাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

তার কথায়, “এর ফলে চশমার ফ্রেম পর্যন্ত যেমন ব্লাশ ব্যবহার করা যাবে, তেমনি চোখে দেখতেও সুবিধা হবে।”

লেন্সের সংস্পর্শে আসে এমন স্থানে সীমিত প্রসাধনী ব্যবহার

এমিক বলেন, “যখন আমি চশমা পরতাম তখন আমার গালের মেইকআপ মাঝে মধ্যে লেন্সের দিকে চলে আসতো।”

“তাই, প্রত্যেকেরই নিজের চশমার মাপ সম্পর্কে ধারণা থাকা উচিত। আর সেই অনুযায়ী চশমার আশপাশের ত্বকে পরিমিত মেইকআপ ব্যবহার করতে হবে।”

পরিমিত চোখের মেইক আপ

লিন বলেন, “বড় চশমার মাঝে আমার চোখ ঢেকে যেত। তাই আমি চোখে স্বাভাবিক রংয়ের মেইকআপ, উইং লাইনার, চোখের নিচের পাতায় এবং ভেতরের দিকে নুড লাইনার ব্যবহার করতাম। এতে চোখ দেখতে বড় লাগতো।”

“মোটা চশমা পরে থাকলে চোখে স্মোকি মেইকআপ করতে পারেন, দেখতে ভালো লাগবে”, বলেন তিনি।

পাপড়ি বাঁকানো

চশমা পরার সময় পাপড়ি ‘কার্ল’ বা উপরের দিকে বাঁকানো পরামর্শ দেন লিন।

এমিক এই বিষয়ে সমর্থন করে বলেন, “অনেকের চোখের পাপড়ি বেশ বড় হয়। তাই তা কার্ল করলে ভালো লাগে দেখতে।”

“ভলিউমিনাস মাস্কারা ব্যবহারে চোখের পাপড়ি ঘন ও বড় লাগে। কেউ চাইলে কৃত্রিম চোখের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা যেন আকারে ছোট ও ভলিউমিনাস হয়”, পরমর্শ দেন লিন।

মোটা ভ্রু

“চশমা ব্যবহার করলে ভ্রু কিছুটা মোটা থাকলে দেখতে ভালো লাগে। প্রয়োজনে ভ্রু এঁকে তা ভরাট করে নিলেও দেখতে ভালো লাগবে বলেন”, লিন।

চশমার ফ্রেম ও মেইকআপের সামঞ্জস্য

রঙিন ফ্রেমের চশমা পরলে এর সঙ্গে মিল রেখে চোখের মেইকআপ করা হলে দেখতে ভালো লাগে, মত দেন লিন।

তার কথায়, “আমি চোখে নিউট্রাল মেইকআপ করতে পছন্দ করি। এর ফলে ঠোঁটে যে কোনো রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করা যায়।”

ছবির মডেল: জাকিয়া উর্মি। ছবি: প্রামানিক।

আরও পড়ুন

কৃত্রিম চোখের পাপড়ি পরিষ্কার রাখতে হয়

চোখের সাজ অটুট থাক

ঘন ভ্রু পাওয়ার সহজ উপায়