কন্ডিশনার ব্যবহার করা একমাত্র উপায় নয়।
Published : 08 Oct 2024, 07:07 PM
এমনকি প্রাকৃতিকভাবেই শুষ্ক চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায় কিছু কৌশল অবলম্বন করে।
আগা শুষ্ক হওয়া মানে চুল স্বাস্থ্যকর অবস্থায় নেই। এর থেকে চুল ভাঙা, আগা ফাটা, জট পাঁকাসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস ভিত্তি কেশ পরিচর্যা বিশেষজ্ঞ মার্কুইটা লিঞ্চ এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “খড়ের মতো রুক্ষ শুষ্ক মনে হলে বুঝতে হবে চুল আর্দ্রতা হারাচ্ছে। এমনকি যতই তেল মাখা হোক দেখতে লাগবে অনুজ্জ্বল।”
এরমানে হল চুল ও মাথার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করতে হবে।
হালকা পণ্য ব্যবহার করা
প্রথমেই ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ বা গরম তেল পদ্ধতি ব্যবহার না করে হালকা পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত।
লিঞ্চ বলেন, “যেখানে আর্দ্রতা নেই সেখানে সেটা আটকে রাখাতে পারবেন না। তাই গুরু্ত্বপূর্ণ হল এমন পণ্য ব্যবহার করা যা চুলে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনবে।”
আর্দ্রতা আটকে রাখতে তেল ও ক্রিম
ক্রিম-তেল নির্ভর পণ্য চুলে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কিউটিকল আটকে চকচকে ভাব আনতে পারে।
এই বিষয়ে মার্কিন কেশসজ্জাকর ক্লাইড হেগুড বলেন, “সব তেল সব চুলের জন্য উপযুক্ত না। সুন্দর চুলের জন্য প্রয়োজন হালকা তেল। যা চুল ভারী করবে না।”
সাপ্তাহিক ‘ডিপ কন্ডিশন’
আর্দ্রতা ধরে রাখার প্রসাধনী ব্যবহারের পাশাপাশি সপ্তাহে একবার ‘ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট’ চালাতে হবে।
নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘দি সেকেন্ড ফ্লোর স্যালন’য়ের কর্ণধার রোজারিও কাভালকান্ট পরামর্শ দেন, “চুলে কন্ডিশনার মেখে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।”
স্যালনগুলোতে ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার সময় মাথায় উষ্ণ ভাপ দেওয়া হয়। এরফলে কিউটিকলগুলো খুলে যায় এবং কন্ডিশনার চুলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে।
কন্ডিশনার মেখে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে নিংড়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখলে এই উপকার ঘরেই পাওয়া সম্ভব।
কো-ওয়াশিং করা
মানে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করে, চুল ধুতে সরাসরি কন্ডিশনার ব্যবহার করা। এতে আর্দ্রতা বৃদ্ধি পাবে। প্রতিদিন চুল ধোয়ার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশি উপকারী।
রাতের সুরক্ষা
ঘুমাতে যাওয়ার সময় চুল পরিচর্যার বিষয়টা প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া যায়।
লিঞ্চ বলেন, “সুতি কাপড়ের বালিশের কভার চুলের আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই রেশমি কোমল বা সিল্কের বালিশ কভার ব্যবহার করতে হবে। অথবা ঘুমের সময় সিল্কের স্কার্ফ চুলে পেঁচিয়ে রাখতে হবে।”
এছাড়া হালকা ‘মিস্ট’ ও কয়েক ফোঁটা তেল শোবার আগে চুলে মেখে নিলে ঘুমের মধ্যে আর্দ্রতা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
মাথার ত্বকের যত্ন
খুশকি, মাথায় চুলকানিসহ এই ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।
মার্কিন ত্বক-বিশেষজ্ঞ সেনিয়া কোবেটস বলেন, “চুলের গোড়া পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করে সেসব পণ্য ব্যবহারে নজর দিতে হবে।”
যেমন- শ্যাম্পুর সাথে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা কেটোকোনাজল ব্যবহার। এক্ষেত্রে সারা চুলে নয় মাখতে হবে গোড়ায়। কারণ এসব উপকারণ আবার পুরো চুল শুষ্ক করে দিতে পারে।
আর বোতলের গায়ে লেখা নির্দেশনা ভালো মতো পড়ে নিতে হবে।
এছাড়া হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন রড এবং স্টাইলিং পণ্য যত কম ব্যবহার করা যাবে ততই চুলের জন্য মঙ্গল হবে।
ছবির মডেল: অলিভিয়া। সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন