Published : 29 Aug 2024, 12:12 PM
মুখ ফোলার যেমন নানান কারণ থাকতে পারে তেমনি সমাধানের রয়েছে নানান পথ।
তবে এর জন্য সারাদিনে রূপচর্চার প্রয়োজন পড়বে না।
যে কারণে মুখ ফোলে
দেহ সাধারণত যেখানে পারে পানি ধরে রাখতে চেষ্টা করে। এর মধ্যে মুখমণ্ডল অন্যতম।
নিউ ইয়র্ক সিটি’র চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যারি হায়াজ এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “মুখ ফুলে যাওয়ার সাধারণ কারণ পানি জমা। আর এই সমস্যা হরমোন, খাদ্যাভ্যাস মানসিক চাপসহ নানান কারণে হতে পারে।”
“আরও নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা হল পানিশূন্যতা। যেমন- কফি ও অ্যালকোহল দেহে পানিশূন্যতা তৈরি করে”- একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামা’তে অবস্থিত ‘স্কিনকেয়ার বাই সিডনি’র প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী চিকিৎসক সিডনি গিভেন্স।
এছাড়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, রাতে ঘুমানোর আগে চিপস ধরনের খাবার গ্রহণ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেও সকালে মুখফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়
সমস্যা তৈরি হওয়ার আগে রোধের পন্থাই ভালো। তাই মুখফোলার সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য নিচের পন্থাগুলো অনুসরণ করা উপকারী হবে।
সিডনি বলেন, “পর্যাপ্ত পানি পান যেমন জরুরি। তেমনি অতিরিক্ত পানি পানে উল্টো ফল হতে পারে। রাতে লবণাক্ত খাবার, যেমন- চিপস খাওয়ার পর তৃষ্ণা পাবে বেশি। তখন স্বাভাবিকভাবেই বেশি পানি পান করা হবে। ফলে দেহে পানি ধরে রাখার প্রবণতা বাড়বে।”
সমাধানের উপায়
প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কোনো কোনো সময় মুখফোলাভাব দেখা দিতে পারে। হতে পারে সেটা রাত জাগার জন্য কিংবা অন্য কারণ। আর এই সমস্যা কাটাতে কিছু পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।
মুখ মালিশ: গালের মাঝখান থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ওপরের দিকে হালকা চাপে মালিশ করতে হবে। এরফলে মুখের ফোলাভাব ও প্রদাহ কমবে। চোয়াল, থুতনি থেকে শুরু করে কপাল পর্যন্ত মালিশ করা উপকারী।
চোখের নিচের মাস্ক ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের ‘আন্ডার আই মাস্ক’ আছে, সেগুলো ব্যবহার করে চোখের আশপাশর মুখের অংশের ফোলাভাব কমানো যায়। যেমন- হায়ালুরনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ প্রসাধনী চোখের নিচে কালচেভাব দূর করার পাশাপাশি ফোলাভাব দূর করতে পারে।
ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা: হায়াজ পরামর্শ দেন- ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া এবং কাপড়ে বরফ নিয়ে মুখ মালিশ করলে উপকার মিলবে। ঠাণ্ডাভাপ মুখের ফোলাভাব ও তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
উঠে দাঁড়ানো আর কর্মচঞ্চল হওয়া: পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ানো মাত্রাই দেহের প্রদাহ কমা শুরু হয়, মুখমণ্ডল-সহ। কারণ বেশিক্ষণ শোয়া বা বসা অবস্থায় থাকলে শরীরের বিভিন্ন অংশের কোষে পানি জমতে থাকে। বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালে আর হাঁটাহাঁটি করলে মুখের ফোলাভাব কমে আসে।
আরও পড়ুন