নারিকেল তেল, ফেইস ওয়াশ বা শ্যাম্পুর বিভিন্ন উপাদান ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
Published : 22 Nov 2022, 03:39 PM
প্রসাধনীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ব্রণ হতে পারে।
নিয়ম মেনে ও ধারাবাহিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা করলে ব্রণ প্রবণ ত্বকও সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে কোন ধরনের পণ্য ব্যবহার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা থাকলে সমস্যা অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘ওজন সিগনেচার’য়ের প্রতিষ্ঠাতা সঞ্চি সেহগাল যে সকল প্রসাধনী পণ্য থেকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দেন।
সিলিকন্স: ত্বক ও চুলের যত্ন ছাড়াও বিভিন্ন প্রসাধনী পণ্য তৈরিতে বিপুল হারে সিলিকন্স ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কারণ হল এটা ত্বকে ক্রিমের মতো অনুভূতি দেয়। তাৎক্ষণিক কোমলভাব এবং সহজেই ত্বকে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে বলে এর জনপ্রিয়তা বেশি।
এটা কোমল অনুভূতি দিলেও ত্বকের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি করে। এর তৈরি করা পাতলা আবরণ ত্বকের লোমকূপে আটকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।
নারিকেল তেল: সব তেল এক রকম নয়। তিলের তেল ত্বকের জন্য ভালো হলেও নারিকেল তেল নয়। নারিকেল তেলের নানান গুণাগুণ থাকার পরেও এটা ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়।
নারিকেল তেলের আণবিক ওজন বেশি। এর ‘কমেডোজেনিক রেটিং’ পাঁচের মধ্যে চার। ফলে এটা ত্বকের লোমকূপে আটকে যায় ও ‘ব্রেক আউট’য়ের ঝুঁকি বাড়ায়। আর ত্বকে সহজে শোষিত হয় না।
নারিকেল তেল ব্যবহারের মানে হল ত্বকের উপরিভাগে আলোক-সংবেদনশীল তেলের স্তর তৈরি করা, যা অনেকের পক্ষেই সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
সোডিয়াম লরল সালফেট: ফেইস ওয়াশ, শ্যাম্পু এমনকি ডিটারজেন্ট ও ‘ডিশ ওয়াশিং’ তরলে ব্যবহৃত জনপ্রিয় উপকরণের মধ্যে এটা একটি।
এটা তেল, ময়লা, জীবাণু দূর করার পাশাপাশি ত্বকের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক তেলও দূর করে। ফলে ত্বকে আরও বেশি তেল নিঃসরণ শুরু হয়।
অনিয়ন্ত্রিত সিবাম নিঃসরণ ত্বকে প্রদাহ, ব্রণ ও ব্রেক আউটের সৃষ্টি করে। ত্বক ব্রণ প্রবণ হলে প্রথমে মাইসেলার ওয়াটার, পরে মৃদু ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
সোডিয়াম লরল সালফেট সমৃদ্ধ কড়া ফেইস ওয়াশ ব্রণ সৃষ্টির পাশাপাশি ত্বকের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে।
ছবির মডেল: আরিয়ানা জামান এলমা। মেইকআপ: আরিফ। ফটোগ্রাফার: তানভির খান। ছবি সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন
ব্রণ আক্রান্ত ত্বকের জন্য ফেইস মাস্ক