ব্রণ ভেতর থেকে ফুলে চামড়ায় চাপ সৃষ্টি করে বলে ব্যথা হয়। সংবেদনশীল হওয়ায় এটা স্পর্শ করা বা চাপ দেওয়া ঠিক নয়।
এই ধরনের ব্রণ হওয়ার কারণ ও রক্ষা পাওয়ার কয়েকটি পন্থা জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।
যে কারণে হয়
এই ধরনের ব্রণ প্রধানত ব্যাক্টেরিরা ও সিবাম থেকে হয়। যদি লোমকূপ বড় থাকে ও ত্বক তৈলাক্ত হয় এবং ত্বক যদি ঠিক মতো পরিষ্কার করা না হয় তাহলে এই ধরনের ব্রণ দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া খুব সহজে ত্বকে আটকা পড়ে এবং চামড়ার নিচে ব্রণের সৃষ্টি করে।
স্থায়ীত্ব
ত্বকের নিচে ব্রণ থাকলে তা ঠিক হতে প্রায় মাসখানেক সময় নেয়। ত্বকের উপরে ব্রণ দেখা দিলে সেটা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে।
প্রতিকার
খোঁচানো বা চাপাচাপি করা যে কোনো ব্রণের জন্য খারাপ। ‘ব্লাইন্ড পিম্পেল’ চেপে বের করা যায় না তাই চাপাচাপি না করে ধৈর্য্য ধরুন।
চাপার ফলে ব্যথা ও সংক্রমণ বাড়ে এবং গাঢ় দাগের সৃষ্টি হয়। তাই সবচেয়ে ভালো হয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে-
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্যবহার: এই অ্যাসিড ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে; শুকাতে সাহায্য করে। ‘ব্লাইন্ড পিম্পেল’য়ের ক্ষেত্রে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন। ত্বক খুব বেশি শুষ্ক হলে কেবল আক্রান্ত স্থানে এটা ব্যবহার করতে হবে।
ব্যথা কমাতে: ব্রণের কারণে বেশি ব্যথা হলে বরফ ব্যবহার করা যায়। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। পরিষ্কার মুখে এক ঘন্টায় দুতিন বার বরফ ব্যবহার করুন। এটা আক্রান্ত স্থানকে ঠাণ্ডা করে, ব্যথা ও ফোলাভাব কমায়।
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা: বেনজয়েল পারোক্সাইড, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। বড় ধরনের ব্রণের ক্ষেত্রে এটা কার্যকর, তবে খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। এটা শুধু ব্রণের দাগের উপরে খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তবে ব্যবহারের পর জ্বালাপোড়া করলে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ছবির প্রতীকী মডেল: তাসমিয়া মীম।
আরও পড়ুন