হাঁটু, কনুই বা বাহুমূলের কালচেভাব দূর করতে রান্নাঘরে ঢুঁ মারলেই হয়।
আর সেখানে থাকা আলু, বেইকিং সোডা কিংবা শসা দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে দূর করা যায় ত্বকের কালচেভাব।
ভারতের দেগা অর্গানিক্স’য়ের প্রতিষ্ঠাতা অর্থি রঘুরাম ফেমিনা ডটইন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সেসব পদ্ধতি দিয়েছেন।
আলু
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের পিগমেন্টেইশন কমায়। আছে ব্লিচিং উপাদান যেমন- ভিটামিন এ, বি ও সি- যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
পদ্ধতি: আলু টুকরা করে কেটে তা দাগাক্রান্ত স্থানে ১০ মিনিট ঘষে নিতে হবে। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে তা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে প্রতিদিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়।
বেইকিং সোডা
খুব ভালো এক্সফলিয়েটর যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। বাহুমূল, হাঁটু ও কনুইয়ের ত্বক সাধারণত রুক্ষ ও শক্ত হয়ে থাকে। এখানে বেইকিং সোডার ব্যবহার ত্বকের কালো দাগ দূর করে উজ্জ্বলভাব আনতে সহায়তা করে।
পদ্ধতি: দুই টেবিল-চামচ বেইকিং সোডার সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ পানি বা দুধ যোগ করে মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটি দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করে নিতে হবে।
হাঁটুর কালো দাগ দূর করতে
শসা: কেবল সতেজকারী ফল নয় এটা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সহায়তা করে। এতে আছে ত্বকের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক ব্লিচিং যা কালো দাগ কমায়।
একটা শসা টুকরা করে কেটে কুচি করে নিতে হবে। এর রসে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি হাঁটু, কনুই, বাহুমূল ইত্যাদি স্থানে মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু: ভিটামিন সি’র ভালো উৎস। আর ভিটামিন সি প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে ও ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। নিয়মিত ব্যবহারে লেবুর রস ত্বক আসে উজ্জ্বল আভা।
একটা লেবু দুই টুকরা করে নিতে হবে। একটা টুকরা সরাসরি বাহুমূল, হাঁটু, কনুইয়ে ঘষে নিতে হবে। চাইলে এতে সামান্য চিনি যোগ করে নেওয়া যেতে পারে, যা ভালো এক্সফলিয়টর হিসেবে কাজ করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এর অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকে ব্লিচিংয়ের মতো কাজ করে। এতে আছে ‘আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (এএইচএ) যা ত্বকের কালো দাগ কমিয়ে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে।
এক টেবিল-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ পানি মিশিয়ে একটা তুলার বলের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে।
১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহারে চোখের পড়ার মতো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
বাজার থেকে রাসায়নিক উপয়াদান না কিনে বরং রান্নাঘরে পাওয়া যায় এসব উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি নিরাপদ ও উপকারী।
আরও পড়ুন