স্নিকার্স কেনার ক্ষেত্রে যা খেয়াল করা দরকার

হাঁটতে গিয়ে কষ্ট হলে সেই কেডস বা স্নিকার্স রাখার কোনো মানে নেই।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2022, 11:52 AM
Updated : 22 Dec 2022, 11:52 AM

কেডস বা স্নিকার্স কিনতে দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।

কারণ হাঁটাচলার সময় শুধু পায়ের পাতা ও গোড়ালির ওপর চাপ পড়ে না, বরং নিতম্ব থেকে হাঁটুর ওপর নিচের অংশেও নানান কার্যক্রম চলতে থাকে।

এই বিষয়ে নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘হসপিটাল ফর স্পেশাল সার্জারি’র অস্থি, পা ও গোড়ালি বিশেষজ্ঞ ডা. জেনসেন হেনরি ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “প্রতিটি পদক্ষেপে পশ্চাৎদেশের পেশি, কটিদেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। একই সময়ে হাঁটুর সামনে ও পেছনের অংশসহ পায়ের সকল পেশি শিরা উপশিরা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে।”

পাশাপাশি হাঁটুর কাজ হল নড়চড়ায় সাহায্য করা, শরীরের মধ্যবর্তী অংশের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং গোড়ালিতে যে চাপ পড়ছে সেটা সামাল দেওয়া।

এত কিছু যখন একসঙ্গে ঘটছে তখন কোনো একটা ক্ষেত্রে বেশি চাপ পড়লে অবশ্যই ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা দেবে।

ব্যাখ্যা করে ডা. হেনরি বলেন, “ধরা যাক পশ্চাৎদেশ বা হাঁটুর পেছনের অংশে চাপ পড়ছে, ফলে হাঁটার ভারসাম্য হারানো স্বাভাবিক।”

হাঁটার জন্য কেডস বা স্নিকার্স কেনার সময় কিছু বিষয় খেয়াল করলে এসব সমস্যা খুব সহজেই দূর করা যায়।

যা খেয়াল করতে হবে

পায়ে সুন্দর মতো এঁটে থাকে, ভার বহন করতে পারে এরকম জুতার সুখতলি এবং পা ঠিক মতো খেলতে পারে জুতার ভেতর- সাধারণভাবে এসব বৈশিষ্ট্য স্নিকার্স বা কেডস কেনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

আর স্নিকার্স কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় পরখ করার কথা বলেন তিনি।

“স্নিকার্স হাতে নিয়ে যদি পুরোটা গোল করে বলের আকৃতিতে নিতে পারেন তবে সেটাই হবে গোড়ালি ও হাঁটুর জন্য উপকারী জুতা। আমার কাছে যারা হাঁটু ও পায়ের সমস্যা নিয়ে আসেন তাদের এই ধরনের নরম স্নিকার্স ব্যবহারে উপকার পেতে দেখেছি।”

অন্যান্য বিষয়

জুতা ঠিক মাপে হওয়া জরুরি। এজন্য ডা. হেনরি ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদাভাবে তৈরি স্নিকার্স কেনার পরামর্শ দেন।

তার ভাষায়, “সাধারণত ভালো ব্র্যান্ডের জুতার প্রতিষ্ঠান লিঙ্গভেদে স্নিকার্স বা কেডস তৈরি করে। কোনোটা চওড়া গোড়ালির কোনোটা আবার সামনের দিকের অংশ সরু। তাই যার যার ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়েদের জন্য তৈরি আলাদা কেডস ব্যবহার করা উপকারী।”

সময়কাল

প্রিয় স্নিকার্স এক সময় ক্ষয় হবেই। আর হাঁটার সময় আরাম অনুভব করতে অবশ্যই পুরান স্নিকার্স বা কেডস পরিবর্তন করতে হবে।

ডা. হেনরি বলেন, “নিয়মিত স্নিকার্স পরিবর্তন করা জরুরি। যারা দৌড়ের প্রশিক্ষক তারা সাধারণত ৩০০ থেকে ৫০০ পদক্ষেপের পর জুতা পরিবর্তন করার কথা বলে। তবে আমার পরামর্শ হল আপনি যদি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন তবে অবশ্যই ছয় মাস পর পর কেডস বা স্নিকার্স পরিবর্তন করতে হবে।”

আরও পড়ুন:

Also Read: জুতা ব্যবহারের ৬টি ভুল

Also Read: সাদা জুতা পরিষ্কারের উপায়

Also Read: যেভাবে বুঝবেন হাঁটার জুতার আয়ু শেষ