Published : 03 May 2025, 08:11 AM
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত ও এক ডজনের বেশি মানুষ আহতের ঘটনা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামে একটি সংগঠন গত ২২ এপ্রিলের ওই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটি পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা বলা হচ্ছে।
এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে ভারত। পাকিস্তান অবশ্য এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে হামলার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে শুরু থেকেই। হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে থাকা কয়েক দশক পুরনো একটি পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে। দুই দেশ একে অপরের বিমানের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়েরও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এই উত্তেজনা কি সত্যিই যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে, নাকি এটি দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর আরেকটি কৌশলগত শক্তি প্রদর্শনের পালা? ইতিহাস, সামরিক ক্ষমতা, অর্থনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এ প্রশ্নের গভীরে গিয়ে আমরা এই বিশ্লেষণ করব।
ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক সেই ১৯৪৭ সালেরে ভারত ভাগের সময় থেকেই বৈরী। দেশভাগের পর থেকে কাশ্মীর প্রশ্নে ১৯৪৭-৪৮, ১৯৬৫ এবং ১৯৯৯ সালে কারগিলে তিনটি সরাসরি যুদ্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে।
কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে সীমান্ত লঙ্ঘন, গেরিলা অনুপ্রবেশ ও পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। যুদ্ধ স্থায়ী হয় প্রায় এক মাস, কোনো পক্ষই স্পষ্ট জয় পায়নি। উভয় দেশই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং রাশিয়ার মধ্যস্থতায় তাসখন্দ চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধটি শেষ হয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ভারতের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপের ফলে পাকিস্তান বিপর্যস্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। এটি ছিল পাকিস্তানের জন্য কৌশলগত ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে বড় পরাজয়।
এই দুই যুদ্ধই দেখায় যে, যুদ্ধ শেষপর্যন্ত দুই দেশেই মানবিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনে। এমনকি ১৯৯৯ সালের কারগিল সংঘাতও তা-ই প্রমাণ করে, যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করেছিল।
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর অধিকারী। তবে ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স’ অনুযায়ী, ভারত সামগ্রিক সামরিক সক্ষমতায় পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে।
ভারতের সামরিক পরিসংখ্যান (২০২৫)
· সক্রিয় সেনা সদস্য: প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ
· রিজার্ভ ফোর্স: প্রায় সাড়ে ১১ লাখ
· ট্যাঙ্ক: ৪,২০১
· যুদ্ধবিমান: ৫১৩
পাকিস্তানের সামরিক পরিসংখ্যান (২০২৫)
· সক্রিয় সেনা সদস্য: প্রায় সাড়ে ৬ লাখ
· রিজার্ভ ফোর্স: প্রায় সাড়ে ৫ লাখ
· ট্যাঙ্ক: ২,৬২৭
· যুদ্ধবিমান: ৩২৮
তবে, লন্ডনভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’-এর তথ্যের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা শক্তির যে তুলনামূলক চিত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্স তুলে ধরেছে তার সঙ্গে এই পরিসংখ্যানের কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান দুটি দেশেরই পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৭০-এর কাছাকাছি। পারমাণবিক অস্ত্র আগে ব্যবহার না করার (নো ফার্স্ট ইউজ) নীতির পক্ষে ভারত। তবে পারমাণবিক হামলার শিকার হলে ব্যাপক আকারে প্রতিশোধমূলক হামলার পক্ষে রয়েছে দেশটি। অন্যদিকে, পাকিস্তান ‘ফুল-স্পেকট্রাম ডেটারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে, যা প্রয়োজনে সীমিত পারমাণবিক হামলার অনুমতি দেয়।
পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক ও লেখক মাইকেল কুগেলম্যান মনে করছেন, উভয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা খুব কম, তবে সীমান্ত সংঘর্ষ থেকে তা উত্তপ্ত হয়ে ওঠার বাস্তবতা অস্বীকার করা যায় না।
ভারতের অর্থনীতি তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, অন্যদিকে পাকিস্তানের মাত্র তিনশত বিলিয়ন ডলারের। ভারতের রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশগ্রহণ এবং প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক সাফল্য তাকে স্পষ্টভাবে এগিয়ে রেখেছে।
যুদ্ধ হলে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়বে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ও বৈদেশিক দেনার যে অবস্থা, যুদ্ধ তাদের জন্য হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে, ভারতের ক্ষেত্রেও যুদ্ধ ব্যয়বহুল হবে। তবে তাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থা ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সংযুক্তি এ ক্ষতি কিছুটা সামাল দিতে সক্ষম হবে।
যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখলেও, তারা যুদ্ধ ঠেকাতে সক্রিয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘উদ্বিগ্ন’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, উভয় দেশ যেন পারস্পরিক বোঝাপড়ায় আসে, এই বিষয়ে আমরা কূটনৈতিকভাবে সক্রিয়।
চীন পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সিপেক প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানে অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী। তবে চীন ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। ফলে তারা সরাসরি কোনো পক্ষ নেবে কিনা বলা মুশকিল, তবে যুদ্ধ ঠেকাতে নীরব কূটনীতি চালাবে বলে ধরে নেওয়া যায়।
রাশিয়া ভারতকে ঐতিহ্যগতভাবে সমর্থন দিলেও, বর্তমান বিশ্বে তারা যুদ্ধ চায় না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তি রক্ষায় আহ্বান জানিয়েছে এবং যেকোনো মানবিক সংকটে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘ যুদ্ধ ঠেকাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করবে। ১৯৬৫ ও ১৯৯৯ সালের মতো এবারও নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হতে পারে।
ভারত ও পাকিস্তান সত্যি সত্যি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। বাণিজ্যপথ বন্ধ হবে, শরণার্থী সংকট সৃষ্টি হবে, জ্বালানির দাম বাড়বে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ পড়বে বিপদে। ভারত ও পাকিস্তানের উভয়ের সঙ্গে কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে বেশ টানাপোড়েনে পড়তে হবে বাংলাদেশেকে। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধ হলে এর প্রভাব শুধু সীমান্তে নয়, কৌশলগত শূন্যতা তৈরি করবে পুরো অঞ্চলে। এমনকি চীনকেও তা সুবিধা নিতে উৎসাহিত করতে পারে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই জানে যে, প্রত্যক্ষ যুদ্ধ শুধু ধ্বংসই ডেকে আনে— মানবিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত দিক দিয়ে। বিশেষত পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের যুদ্ধ শুধু নিজেদের নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তবুও উত্তেজনা এড়াতে না পারলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ‘জবাবদিহিতা’ এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি চাহিদা। রাজনৈতিক চাপ ও মিডিয়ার সোচ্চার ভূমিকা সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারে। ঠিক যেমনটি হয়েছিল ২০১৬ সালের উরি হামলার পর এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক দুরবস্থা এবং সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক প্রভাব জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কেউ কেউ মনে করেন, সামরিক নেতৃত্ব ‘অস্তিত্বের সংকটে’ ভুগছে, তাই তারা সীমিত সংঘাতের দিকে যেতে পারে অভ্যন্তরীণ সমর্থন জোগাড় করতে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ক্রিস্টিন ফেয়ার বলেন, পাকিস্তান প্রায়ই সীমিত সংঘাতে ঝুঁকে পড়ে কারণ এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বৈধতা রক্ষা এবং ভারতের সঙ্গে শক্তি ভারসাম্য দেখানোর একটি পদ্ধতি।
উভয় দেশই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আগে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ খুবই জোরাল হয়ে ওঠে। ২০১৭ সালে বালাকোট হামলার পর, মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সৌদি আরবসহ অনেক দেশ সরাসরি হস্তক্ষেপ করে।
বর্তমানে জাতিসংঘ ও আঞ্চলিক জোট কূটনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো পেছনের দরজার কূটনীতি চালাচ্ছে, যাতে দুই দেশ সরাসরি সংঘাত এড়ায়। তুরস্ক, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টাও লক্ষ্য করা গেছে, যদিও এর কার্যকারিতা এখনো স্পষ্ট নয়।
যুদ্ধ যদি লেগেই যায়, তাহলে কি কি হতে পারে:
ক) যুদ্ধ মানে হবে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু, সীমান্তে উদ্বাস্তুর ঢল, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং বহু বছরের অবকাঠামোগত ক্ষতি। শুধু কাশ্মীর উপত্যকাই নয়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, সিন্ধু ও গুজরাট সীমান্তও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
খ) দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধের ঢেউ লাগতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে টানাপোড়েন, জ্বালানি ও খাদ্যবাজারে বিশৃঙ্খলা, মিয়ানমারের দিকেও সামরিক চাপের প্রভাব পড়তে পারে।
গ) ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ বৈশ্বিক উৎপাদন চেইন বিপর্যস্ত করবে। পণ্যবাজারে ধস, জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়বে। ভারত সফটওয়্যার, ওষুধ ও কৃষিপণ্যের বড় সরবরাহকারী, যা বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপেও প্রভাব পড়বে।
ঘ) যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। একটি পারমাণবিক বিস্ফোরণও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য প্রজন্মব্যাপী ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
এই অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো ইতিহাস নেই। কিন্তু একবার যদি তা ব্যবহৃত হয়, তা হবে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে।
যুদ্ধ যাতে না বাধে তার জন্য কিছু জরুরি পদক্ষেপের কথা ভাবা যেতে পারে :
১. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ: কাশ্মীর ও নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা বাড়ানো যেতে পারে, যাতে গোপন অনুপ্রবেশ ও গুলিবিনিময় কমে।
২. বিশ্বাসভাজন সংলাপমঞ্চ গঠন: যুদ্ধ নয়, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া জরুরি। দ্বিপাক্ষিক নয়, বহুপাক্ষিক ফোরামও বিকল্প হতে পারে।
৩. মাধ্যমিক কূটনীতি: সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সংলাপ বাড়িয়ে বোঝাপড়ার পথ তৈরি করা যায়।
৪. সামাজিক সচেতনতা: উভয় দেশের জনগণের মধ্যে শান্তির পক্ষে সচেতনতা তৈরি করা। মিডিয়ার দায়িত্বশীল ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে থাকলেও, বাস্তবতা হলো এই যুদ্ধে কেউ জিতবে না। ইতিহাস শিক্ষা দেয়, যুদ্ধ শুধু ধ্বংস ডেকে আনে। দুই দেশের নেতৃত্ব যদি কৌশলগত দূরদৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে, তাহলে সংঘাত এড়ানো সম্ভব।