হাঁটার সময় বৈচিত্র্য আনতে অবলম্বন করা যায় নানান পন্থা।
Published : 26 Jul 2023, 04:11 PM
হাঁটার মাধ্যমে উপকার পেতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট বা আট থেকে ১০ হাজার পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
হাঁটাকে নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে রক্তচাপ, রক্তের শর্করা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এতে পেশি ও হাড় সুদৃঢ় হয়।
হেল্থশটস ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের ‘উজালা সিগ্নাস গ্রুপ অব হাসপাতাল’য়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. শুচিন বাজাজ আরও বলেন, “তাছাড়া নিয়মিত হাঁটলে মন মেজাজ ভালো থাকে ও সৃজনশীলতা বাড়ে।”
নিজেকে সক্রিয় রাখতে ও সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক উপায়ে হাঁটা জরুরি। তবে বৈচিত্র্যহীনতার কারণে অনেকেই এই অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন না। সেক্ষেত্রে অবলম্বন করা যায় নানান উপায়।
সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা
ডা. বাজাজের মতে, “হাঁটার মাধ্যমে কী অর্জন করতে চান সেটা আগে নির্ধারণ করতে হবে। এতে পদক্ষেপের সংখ্যা বাড়ানো, হৃদস্বাস্থ্য উন্নত করা, ওজন হ্রাস ও বাইরে কিছুটা সময় উপভোগ করা যায়। সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে নিজেকে অনুপ্রাণিত ও লক্ষ্য অর্জনে স্থির থাকা যায়।”
সঠিক গতি অনুসরণ
এমন গতিতে হাঁটা উচিত যা মেদ কাটাবে কিন্তু আরামদায়ক। কথা বলার পাশাপাশি দ্রুত হাঁটতে হবে। তবে যেন শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ধীরে ধীরে দেহ ফিট হওয়া শুরু করলে হাঁটার গতি বাড়াতে হবে।
রাস্তার পরিবর্তন
বাজাজের মতে, “হাঁটার জন্য ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা খুঁজে বের উচিত। এতে একঘেয়েমি দূর হয়। আবহাওয়া ভালো হলে, পার্ক, শহরের রাস্তায়, প্রাকৃতিক পথে আর আবহাওয়া খারাপ হলে ট্রেডমিলে হাঁটা যায়। মাত্রা বাড়াতে সুযোগ থাকলে পাহাড় বা টিলায় হাঁটা যেতে পারে।”
হাঁটার ধরনে মনোযোগ দেওয়া
হাঁটার সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা জরুরি। মাথা সোজা রেখে, কাঁধ পেছনে ও বাহু আরামে রাখতে হবে।
স্থিতিশীলতার জন্য প্রধান পেশি যুক্ত করতে হবে। পায়ের গোড়ালি যেন আগে মাটিতে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক দেহভঙ্গি চাপ কমায় ও দক্ষতা উন্নত করে।
উন্নতি লিপিবদ্ধ করা
পদক্ষেপ, দূরত্ব ও গতি নিরীক্ষণের জন্য ‘পেডোমিটার’, ‘ফিটনেস ট্র্যাকার’ বা ‘স্মার্ট ফোন অ্যাপ’ ব্যবহার করা যায়। উন্নতির ধারা ট্র্যাক বা লিপিবদ্ধ করে রাখার মাধ্যমে নিজের সাথেই প্রতিযোগিতা করা যায় এবং আরও উন্নয়নের জন্য অনুপ্রাণিত হওয়া যায় বলে জানায়।
চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
হাঁটার রুটিনকে আকর্ষণীয় ও চ্যালেঞ্জিং করতে অনেক ব্যবধান সৃষ্টি করে তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া যায়। যেমন- দ্রুত হাঁটার পরিবর্তে ছোট হাঁটা বা জগিং করা যেতে পারে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ধাপে কোনো গন্তব্যে পৌঁছানোর মতো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা যেতে পারে।
সঙ্গী বা দলের সাথে হাঁটা
বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা কোনো হাঁটার দলে যোগ দিয়ে সকালে হাঁটতে যাওয়ার একঘেয়েমি দূর করা যায়। এতে আনন্দ পাওয়ার পাশাপাশি অনুপ্রেরণাও জুটবে।
সংগীত শোনা
যদি একা চুপচাপ হাঁটতে ভালো না লাগে সেক্ষেত্রে কানে ‘ইয়ারফোনস’ বা ‘ইয়ারবাডস’ ব্যবহার করে পছন্দের গান বা সংগীত শুনে হাঁটা যেতে পারে। এতে একঘেয়েমি কাটবে ও হাঁটাকে আনন্দময় করা যাবে।
আরও পড়ুন