নৈশভোজের পরে হাঁটলে ওজন কমে

সহজ ব্যায়াম হিসেবে হাঁটাহাঁটির বিকল্প নেই। আর রাতের খাবার খাওয়ার পর এই অভ্যাস বাড়তি ওজন ঝরাতে সাহায্য করে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2019, 05:31 AM
Updated : 30 June 2019, 05:31 AM

শরীরচর্চার ক্ষেত্রে যে কসরত করা সহজ এবং আনন্দের সেটাই বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে ব্যায়ামের অভ্যাস ধরে রাখা সহজ হয়।

হাঁটা সহজ একটি কসরত, যা প্রতিদিনই করা যায়

আর রাতের খাবারের পর হাঁটার অভ্যাস গড়তে পারলে যেসব উপকার পাওয়া যায় সেসব জানানো হল স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে।

ক্যালরি পোড়ানো এবং হাঁটা: আধা কেজি চর্বি ঝরাতে খরচ করতে হবে প্রায় ৩,৫০০ ক্যালরি। অপরদিকে দেড় কিলোমিটার হাঁটলে প্রায় ১০০ ক্যালরি খরচ হয়, জোরে এবং আরও দীর্ঘসময় হাঁটলে খরচের মাত্রা বাড়তে পারে। হাঁটা থেকে সর্বোচ্চ উপকার পেতে প্রতি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার গতিতে হাঁটার চেষ্টা করা উচিত। আর দৈনিক হাঁটার অভ্যাস করতে পারলেই ওজন কমানো সম্ভব।

খাওয়া পর হাঁটা নিয়ে প্রচলিত ধারণা: খাওয়ার পর হাঁটলে পেশি ব্যথা ও হজমে সমস্যা হতে পারে বলে প্রচলিত ধারণাটি পুরোপুরি সত্য নয়। মানুষের হজমতন্ত্র সাধারণত হৃদযন্ত্রের সরবরাহ করা রক্তের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ গ্রহণ করে। তবে খাওয়ার পর এই রক্ত সরবরাহের মাত্রা দ্বিগুন হয়ে যায়। এই কারণে খাওয়ার পর ভারী কোনো কাজ করলে পেশিতে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে খাওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট মৃদু গতিতে হাঁটলে এমন সমস্যা হয় না। বরং তা হজমে আরও সহায়ক হয়।

শুরুটা যেভাবে: গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই নিয়মিত হতে হবে। শুরু করতে পারেন রাতের খাওয়ার পর ১০ মিনিট করে হাঁটার মাধ্যমে। ক্রমেই সময় বাড়াতে হবে, লক্ষ্য হবে আধা ঘণ্টা হাঁটার। কতটা নিয়মিত আর কতক্ষণ হাঁটছেন তার উপরই নির্ভর করবে সাফল্য।

শুধু খাওয়ার পরই হাঁটতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে হেঁটে আসার চেষ্টা করা যেতে পারে। মাঝে মাঝে লিফ্টের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করা হবে ততই লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

অভ্যাস ধরে রাখতে: ব্যস্ত জীবনযাত্রার মাঝে শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখা সহজ নয়। আর শুধু হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখাও সহজ নয়, সঙ্গে চাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসও। শরীরচর্চার অনুপ্রেরণা ধরে রাখার জন্য শরীরচর্চার সঙ্গী থাকা ভালো। এতে একজন ফাঁকি দিতে চাইলেও আরেকজন তা থামাতে পারবে।

যেকোনো ধরনের শরীরচর্চা ছোট থেকে শুরু করা উচিত। সেই সঙ্গে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে এবং তাতে স্থির থাকতে হবে। শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার দিকেও নজর দিতে হবে। শষ্যজাতীয় খাবার, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত চিনি ও চর্বি খাদ্যাভ্যাস থেকে যতটা সম্ভব দূর করতে হবে।

ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন হয়ে যাওয়ার পরও হাঁটাহাঁটি চালিয়ে যেতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।

আরও পড়ুন