অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরে ইন্সুলিনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।
Published : 29 Apr 2019, 03:33 PM
বাড়াবাড়ি মাত্রায় খাওয়ার সময়কালের উপর নির্ভর করবে শরীর তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে কিনা।
এই সময়কাল যত বেশি হবে, ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরের শর্করা ও ইন্সুলিন সামলানোর ক্ষমতা ততই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিগত ৩০ বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের স্থূলতা ও টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এই দুই মারাত্বক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির পেছনে উচ্চমাত্রার ক্যালরিযুক্ত খাবার অতিমাত্রায় খাওয়া বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডিয়াকিন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই গবেষণার জন্য স্বাস্থ্যবান এবং সুঠামদেহী একদল পুরুষকে নিয়ে পর্যবেক্ষণ চালান। অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ২২ বছর।
তাদের পাঁচ দিন ধরে অতিরিক্ত খাওয়ানো হয়। যেমন মানুষ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে করে থাকে। আবার ২৮ দিন ধরে অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়াও করেন তারা।
চকলেট, আলুর চিপস, বিভিন্ন পানীয় ইত্যাদি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার ও তরল ছিল তাদের এই সময়কার খাদ্য তালিকায়। অংশগ্রহণকারীরা এই সময়ে একজন মানুষের স্বাভাবিক প্রয়োজনের চেয়ে আরও এক হাজার ক্যালরি বেশি গ্রহণ করেন।
গবেষণা বলে, “অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণের প্রথমদিকে শরীর এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য শর্করা নির্গমন বাড়িয়ে দেয়, যাতে শরীরের ইন্সুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বজায় থাকে। দীর্ঘদিন অস্বাস্থ্যকর এবং চর্বিযুক্ত খাবার অতিমাত্রায় খাওয়ার কারণেই হয়ত রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসে।
‘আমেরিকান জার্নাল অফ ফিজিওলজি-এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম’য়ে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন