পদ্ধতি দিয়েছেন ফেইসবুকের ‘রকমারি রান্না শিখুন’ পেইজের মুহসিনা তাবাসসুম।
উপকরণ: মুরগি ৮০০ গ্রামের ২টি। আদা ও রসুন বাটা ২ চা-চামচ। পেঁয়াজবাটা দেড় টেবিল-চামচ। জিরাবাটা ১ চা-চামচের একটু কম। ধনেবাটা সামান্য। লবণ পরিমাণ মতো। চিনি স্বাদ অনুযায়ী। ঘি ২ টেবিল-চামচ। তেল পরিমাণ মতো। পেঁয়াজকুচি আধা কাপ। জায়ফল ও জয়ত্রি বাটা ১ চা-চামচ (ইচ্ছা)। এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি প্রতিটি ২,৩ টি। আস্ত কাঁচামরিচ ১ থেকে ২টি।
সসের জন্য: চিনাবাদামবাটা ১০-১২টি (খোসা ও লাল আবরণ ছাড়া)। টমেটো সস ২ থেকে ৩ টেবিল-চামচ। লেবুর রস আধা চা-চামচ। টক দই ১/৩ কাপ। দুধ আধা কাপ। কেওড়া এসেন্স আধা চা-চামচ। খাবার রং বা জাফরান সামান্য ১,২ ফোঁটা (ইচ্ছা)।
এসব উপকরণ ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন।
পদ্ধতি: মাংস ভালো করে ধুয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে কেচে নিন।
আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, ধনে, লবণ ও লেবুর রস অল্প অল্প করে দিয়ে মাংস মেরিনেইট করে রাখুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। মেরিনেইটের সময় বেশি মসলা দেবেন না। দিলে ভাজার সময় তেল পুড়ে মাংস নষ্ট হয়ে যাবে।
ডুবো তেলে হালকা বাদামি করে সব মুরগির টুকরাগুলো ভালো করে ভেজে তুলুন।
বেরেস্তা দেশি ছোট ছোট পেঁয়াজ দিয়ে করলে ভাল ও মচমচে হয়। এবার অন্য একটি প্যানে সামান্য তেল দিয়ে পেঁয়াজ মচমচে করে ভেজে তুলুন। অবশ্যই ডুবো তেলে ভাজতে হবে। পেঁয়াজ হালকা লাল হয়ে আসলেই নামাবেন। নামানোর পরে বাদামি রং হয়ে যাবে।
হালকা কষিয়ে নেওয়া হলে রোস্টের জন্য তৈরি সস, দুধ অথবা পরিমাণ মতো পানি দিন। পানি সামান্য পরিমাণে লাগে। ফুটে উঠলে ঢেকে দিন।
মাংস সিদ্ধ হয়ে আসলে ঢাকনা খুলে পানি শুকিয়ে নিন। নামানোর আগে ২ চা-চামচ মতো সস, কাঁচামরিচ, চিনি, সামান্য ঘি ও ভাজা পেঁয়াজের অর্ধেক দিয়ে নাড়াচাড়া করে ঝোল মাখা মাখা রেখে নামাবেন ।
পরিবেশন: সার্ভিং ডিশে ঢেলে আবার বেরেস্তা ছিটিয়ে পোলাওয়ের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার রোস্ট।