লিপস্টিক ব্যবহারের আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
Published : 20 Jun 2023, 01:49 PM
মেইকআপ ছাড়া বাইরে যান এমন নারী খুঁজে পেলেও লিপস্টিক ব্যবহার করেন না এমন নারীর দেখা মেলা ভার।
তবে প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করা ঠিক কিনা- এ নিয়ে সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সচেতনদের মাঝে দ্বন্দ্ব আছে।
এই বিষয়ে টাইমসঅবইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দিল্লি’র ‘জুনোএস্ক ক্লিনিক’য়ের কসমেটোলজিন্সট এবং সহ-সভাপতি কিরন ভাট বলেন, “নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ঠোঁটের ক্ষতি হয় কি-না? এর সহজ উত্তর হল, হ্যাঁ। তবে সব লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই উত্তর সঠিক নয়।”
লিপস্টিক ব্যবহারের ঠোঁটের ক্ষতি নির্ভর করে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের উপর। যেমন:
শুষ্কতা ও ফাটাভাব: লিপস্টিক ব্যবহারের একটা সাধারণ চিন্তা হল ঠোঁট শুষ্কতা ও ফাটাভাব।
উন্নতমানের লিপস্টিকে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান যেমন- তেল ও বাটার থাকে যা ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এছাড়াও ঠোঁটের নিয়মিত যত্ন যেমন- এক্সফলিয়েশন করা ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার ঠোঁটের শুষ্কতার সমস্যা দূর করে।
অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া: আরেকটি ভুল ধারণা হল লিপস্টিক অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও কিছু নির্দিষ্ট উপাদানে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তবে এর সংখ্যা খুবই কম।
প্রসিদ্ধ প্রসাধনী প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর নিরাপত্তা বিধি মেনে চলে পণ্যের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে থাকেন। ফলে এই ধরনের ঝুঁকি কমে যায়।
পিগমেন্টেইশন ও কালো দাগ: অনেকেই মনে করেন, লিপস্টিক ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং নষ্ট করে কালচে করে দেয়। যদিও ঠোঁটের কালচেভাব প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে বংশগতি ও সূর্যালোকে যাওয়ার ওপরে।
সূর্য রশ্মি থেকে সঠিক সুরক্ষা এবং নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখে।
নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের পরেও ঠোঁটের ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখতে করণীয়-
আর্দ্রতা: ঠোঁট সুস্থ রাখতে নিয়মিত আর্দ্রতা রক্ষা করা জরুরি। সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান দেহের আর্দ্রতা রক্ষা করে। আর্দ্র ঠোঁটে শুষ্কতা ও ফাটাভাবের সম্ভাবনা কম থাকে।
এক্সফলিয়েশন: নিয়মিত স্ক্রাবের সাহায্যে ঠোঁট এক্সফলিয়েট করা অথবা নরম টুথব্রাশ দিয়ে মৃত কোষ দূর করতে ঠোঁটের সুস্থভাব বজায় থাকে।
নিয়মিত স্ক্রাবিংয়ের ফলে ঠোঁটে লিপস্টিকের বাড়তি রং স্থায়ী হয়ে পারে না।
প্রস্তুতি ও প্রাইমার ব্যবহার করা: লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট আর্দ্র রাখতে লিপ বাম বা লিপ কন্ডিশনার ব্যবহারের মাধ্যমে মসৃণ ‘বেইজ’ তৈরি করে নিতে হবে।
এই ধাপ ঠোঁটে শুষ্কতা কমায় এবং লিপস্টিকে থাকা রং ব্যবহারের পরেও উপকার করে।
উন্নত মানের প্রসাধনী: পরিচিত ব্র্যান্ডের উন্নতমানের লিপস্টিক ব্যবহার করা উচিত। কারণ এতে ত্বক বান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহারের আগে পণ্যের গায়ের লেবেল পড়ে দেখতে হবে আর্দ্রতা রক্ষাকারী উপাদান এবং সূর্যালোক থেকে বাঁচতে এসপিএফ আছে কি-না।
মনে রাখতে হবে
নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটের ক্ষতি হয় এটা একটা ভুল ধারণা। বরং নিম্ন মানের লিপস্টিক, নির্দিষ্ট উপকরণ অনেকের ক্ষেত্রে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। বাকিদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি শূন্য।
ঠোঁটের যত্ন নেওয়া, উন্নতমানের প্রসাধনী ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা মেনে চলার মাধ্যমে ঠোঁটের ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা যায়। এতে ঠোঁট দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় লাগে।
আরও পড়ুন