Published : 11 Oct 2023, 06:38 PM
আবার লেজার থেরাপি নিয়েও মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায়। তবে এসবের চাইতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও কাজটা করা সম্ভব।
এই বিষয়ে ভারতীয় রূপবিশেষজ্ঞ ডা. ব্লসম কোচার বলেন, “মুখের লোম স্বাভাবিক। তবে অনেকের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে বেশি লোম হয়। যাকে বলে ‘হার্সিটিজম’। এছাড়া বংশধারার কারণেও দেহে ও মুখে লোমের পরিমাণ নির্ভর করে।”
হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও জানান, এছাড়া কিছু ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন ‘স্টেরয়েডস’ ভিত্তিক চিকিৎসা থেকেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে বিষয় হল হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই মুখের লোম অপসারণ করা যায়।
চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ চিনির সাথে লেবুর রস ও ৩৫ মি.লি বা আধা কাপ পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। যেখানে যেখানে লোম আছে সেখানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
লেবু ও মধু: এক টেবিল-চামচ মধু, দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ফোটাতে হবে। এই সময় ধীরে ধীরে নাড়তে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায় তবে পানি দিয়ে পাতলা করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঠাণ্ডা হওয়ার পর অবাঞ্ছিত লোমের অংশ লাগাতে হবে। এটা প্রাকৃতিক ‘ওয়াক্স’ হিসেবে কাজ করে। তাই ওয়াক্স স্ট্রিপ দিয়ে লোম ওঠার বিপরিতে টেনে তুলতে হবে।
ডিমের সাদা অংশ ও চালের আটা: বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল-চামচ চিনি ও আধা চা-চামচ চালের আটা মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে অবাঞ্ছিত লোমের অংশে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এরপর লোম ওঠার বিপরীত দিকে শুকিয়ে যাওয়া মিশ্রণটা ধীরে টেনে তুলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে মুখ।
ওটস এবং কলা: দুই টেবিল-চামচ ওটস ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিতে হবে। এটা ‘এক্সফলিয়েন্ট’ হিসেবে ভালো কাজ করে। এর সঙ্গে একটি পাকা কলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লোমযুক্ত স্থানে মেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট এভাবে মালিশ করার পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পেঁপে ও হলুদ: ব্লসম কোচার বলেন, “পেঁপের এঞ্জাইম ‘পাপাইন’ লোমের গোড়া বা ‘হেয়ার ফলিকল’ ভেঙে দিতে পারে, পাশাপাশি লোম গাজানো রোধ করতে পারে।”
পেঁপের শাঁসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মালিশ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্লসম কোচার পরামর্শ দেন, “এসব উপাদান সরাসরি মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া জরুরি। যাতে ত্বকের প্রদাহ থেকে প্রতিহত করা যায়।”
শেইভ করতে চাইলে
মুখের লোম শেইভ করেও দূর করা যায়। আর নারীরাও এই পন্থা কাজে লাগাতে পারেন।
“আর শেইভ করলেই যে লোম ঘন হয় উঠবে- কথাটা একেবারেই মিথ্যে”- বলেন ব্লসম কোচার।
তবে শেইভের পর কিছু বিষয় মানতে হবে
শেইভের পর মৃদু ক্লেঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। কড়া রাসায়নিক ও অ্যালকোহল যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে চেপে চেপে মুখের ত্বক শুকিয়ে নিতে হবে; ঘষা যাবে না।
ত্বকের জন্য মানানসই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। সুগন্ধি যুক্ত প্রসাধনী এড়ানো ভালো, না হলে ত্বকে প্রদাহ দেখা দিতে পারে।
উচ্চ মাত্রার ‘এসপিএফ’ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে যাতে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা পায়।