যতক্ষণ না ক্ষমতা হারাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত দেহের ভারসাম্য নিয়ে কোনো মাথাব্যথা থাকে না।
Published : 07 Jan 2025, 05:23 PM
তরুণ বয়সে মনে থাকে না- একসময় দেহের বয়স বাড়বে। তখন নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বয়স পঞ্চাশ-ষাটের দিকে গেলে দেহে নানান ধরনের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এরমধ্যে হারাতে থাকে পেশির ভর, দেহের স্থিতিস্থাপকতা, ‘রিফ্লেক্স’, দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি।
সাথে কমে দেহের ভারসাম্য। যা থেকে পড়ে যাওয়া, মাথায় আঘাত পাওয়া-সহ নানান দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়ে।
খাওয়া পরিবর্তন ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নানান সমস্যা সারিয়ে তোলা যায় অনেক ক্ষেত্রেই। তবে দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে দরকার শরীরচর্চা।
আর এজন্য সবচেয়ে সহজ শারীরিক কর্মকাণ্ড হল হাঁটা।
সম্পর্কিত প্রতিবেদন
ধরে রাখার মতো হাঁটার অভ্যাস যেভাবে গড়বেন
হাঁটা যেভাবে ভারসাম্য উন্নত করে
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধু হাঁটার মাধ্যমে দেহের নিম্নাংশের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ভারসাম্য উন্নত করা যায়।
আর হাঁটা হল সব থেকে নিরাপদ ব্যায়াম।
যেভাবে হাঁটা শুরু করা যায়
হাঁটার পরিকল্পনা যত ভালো হবে শারীরিক কসরত করা ততই সহজে করা যাবে। এজন্য দূরত্ব নয় সময়টা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়, যদি ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে তবে প্রাথমিক অবস্থায় হাঁটা শুরু করতে হবে ধীরে সুস্থে।
বয়স্ক যারা লাঠিতে বা ‘ওয়াকার’য়ের সাহায্যে হাঁটেন তারা যেন সেসব ব্যবহার করেন। দিন যেতে থাকলে যতই হাঁটার অবস্থা উন্নত হবে সেই অনুপাতে বাড়াতে হবে সময়।
যাদের ইতোমধ্যেই ব্যায়ামের অভ্যাস আছে তাদের শরীরচর্চার সময়ের সাথে সামঞ্জস্য করে হাঁটতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়া উপকারী। এরচেয়ে বেশি সময় যুক্ত করা আরও ভালো।
যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শে হাঁটার বিকল্প কিছু গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন
হাঁটার অভ্যাসকে যেভাবে আনন্দদায়ক করা যায়