ভালো মতো ঘুম না দিলে বয়সের চাইতে মস্তিষ্ক বেশি বুড়ো হয়ে যেতে পারে।
Published : 28 Oct 2024, 04:48 PM
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা অস্বীকারের উপায় নেই। তবে এবার গবেষকরা বলছেন ঘুমের মানের সাথে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে।
সম্প্রতি ‘নিওরোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত গবেষণার ফলাফলে এই তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার শুরুতে ৪০ বছর বয়সি ৫৮৯ জনের ঘুম-বিষয়ক তথ্য পর্যালোচনা শুরু করেন গবেষকরা। সেসময় তাদের কিছু প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ বছর পর অংশগ্র্রহণকারীদের সেই প্রশ্নপত্রের উত্তর জানতে চাওয়া হয়।
প্রশ্নের মধ্যে ছিল- সাধারণত কি ঘুমিয়ে পড়তে অসুবিধা হয়? প্রায় রাতে কি বারবার ঘুম ভাঙে? সাধারণত কি খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায়?
পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করতে বাজে ঘুমের ছয়টি বৈশিষ্ট পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- অল্প ঘুম, বাজে ধরনের ঘুম, ঘুমিয়ে পড়তে সমস্যা, ঘুমিয়ে থাকতে সমস্যা, তাড়াতাড়ি ঘুম ভাঙা এবং দিনের বেলায় ঘুম ঘুমভাব।
এই তথ্যাগুলোর পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের মস্তিস্ক ‘স্ক্যান’ করে ছবি সংরক্ষণ করা হয়, যাতে গবেষকরা ‘মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি’র বিষয়টা গণনা করতে পারেন।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবেষকরা দেখতে পান- একক বৈশিষ্ট্যের ঘুম দেওয়া অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের তুলনায় যাদের দুই বা তিন বৈশিষ্ট্যের বাজে ঘুম হয় তাদের মস্তিষ্কের বয়স অন্তত ১.৬ বছর বেশি।
আর যাদের তিনটি বৈশিষ্ট্যের বেশি বাজে ঘুম হয় তাদের মস্তিষ্কের বয়স ২.৬ বছর বেশি।
চূড়ান্ত পর্যায়ে গবেষকরা উপসংহার টানেন যে, “মধ্যবয়সে মস্তিষ্কের বয়স বেশি হওয়ার সাথে বাজে ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে।”
তবে গবেষকরা আরও উল্লেখ করেন- এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ঘুমের সাথে মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধির সম্পর্ক বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। তাই শুধু ঘুম-ই যে মস্তিষ্কের বয়স বাড়িয়ে দেয়, সেটা সরাসরি বলা যাবে না।
আর এই গবেষণার অন্তত প্রমাণ করে যে, ভালো ঘুমের অভ্যাস গড়তে পারলে মস্তিষ্কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকার মিলবে।
ঘুমের মান উন্নত করার পন্থা
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইন্সটিটিউট (এনএইচএলবিআই)’য়ের তথ্যানুসারে- প্রতিরাতে প্রাপ্তবয়স্কদের টানা সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানোর লক্ষ্য থাকতে হবে।
যদি এরচেয়ে কম ঘুম হয়, তবে একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এরমধ্যে রয়েছে- হৃদসংক্রান্ত রোগ, বিপাকীয় ও হরমোন সম্বন্ধীয় সমস্যা।
সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমের মানও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যেসব বিষয় অনুসরণ করা যেতে পারে-
আর নিয়মিতভাবে ভালো ঘুম না হলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
আরও পড়ুন
জনপ্রিয় খাবার তবে ঘুমের জন্য ক্ষতিকর