হাঁটার সময়ের ওপর নির্ভর করবে পেটের চর্বি ঝরানোর মাত্রা।
Published : 29 Jan 2025, 12:55 PM
হাঁটার মতো সহজ ব্যায়াম আর নেই। এই শরীরচর্চা যেমন মেদ কমায় তেমনি কষ্টের পরিমাণও কম।
তবে হাঁটা থেকে উপকার পেতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা নিবাসী ব্যায়াম প্রশিক্ষক এই বিষয়ে ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “চর্বি ঝরাতে হাঁটায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পাশাপাশি স্থায়িত্বটাও গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন, নিয়মিত ৩০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা হল কার্যকর পদ্ধতি।”
অর্থাৎ, চর্বি ঝরাতে সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট মাঝারি মাত্রার এই কার্ডিও ব্যায়াম করতে হবে।
“যারা শুরু করতে যাচ্ছেন, তারা ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে হাঁটার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে সময়” পরামর্শ দেন এই প্রশিক্ষক।
কারণ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার পর শরীর জমানো চর্বি পোড়ানো শুরু করে। বিশেষ করে ধারাবাহিকভাবে হাঁটলে হৃদগতি বেড়ে চর্বি পোড়ানোর পর্যায়ে যায়। যা কিনা হৃদগতির স্বাভাবিকের চাইতে ৬৫ থেকে ৮০ শতাংশ।
দীর্ঘ সময় ধরে দ্রুত হাঁটায় ক্যালরি পোড়ে; ফলে চর্বি খরচের চাহিদা তৈরি হয় দেহে।
পেটের চর্বি কমাতে হাঁটার বিভিন্ন ধরন
সব ধরনের হাঁটার উপকারিতা এক রকম নয়। ভিন্নতা যোগ করতে পারলে কার্যকারিতা বেশি হবে।
বিরতি নিয়ে দ্রুত হাঁটা: দুই মিনিট দ্রুত, পরের এক মিনিট ধীরে- এভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাতে উপকার বেশি।
ওপরের দিকে ওঠা: ঢালু রাস্তায় ওপরের দিকে ওঠা, বা ট্রেডমিল উঁচু করে হাঁটলে পেশিগুলো আরও বেশি কার্যকর ভাবে কাজ করে। দেহের মধ্যভাগে চাপ পড়ে বেশি। ফলে চর্বি ঝরানো দ্রুত হয়।
ভারী কিছু পরে হাঁটা: ওজন নিয়ে হাঁটলে ক্যালরি পোড়ার পরিমাণ বাড়ে। পেশি কাজ করে বেশি। এজন্য পরা যেতে পারে ‘ওয়েথেড ভেস্ট’
দীর্ঘক্ষণ হাঁটা: সপ্তাহের একদিন উৎসর্গ করুন দীর্ঘক্ষণ ধরে সাভাবিক গতিতে হাঁটায়। অন্তত ৬০ মিনিট বা এর বেশি। এতে সহনশীলতা বাড়বে এবং চর্বি পোড়ার গতি রোধ হবে না।
পেটের চর্বি কমাতে হাঁটার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রভাবক
দারুণ ব্যায়াম হলেও চর্বি কমাতে হাঁটার সাথে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখার প্রয়োজন হয়।
ধারাবাহিকতা: মাসে ও সপ্তাহে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাসে পরিবর্তন চোখে পড়বে।
তীব্রতা: ঢালু রাস্তা দিয়ে ওপরে ওঠা বা জোরে হাঁটায় ক্যালরি পোড়ে বেশি আর চর্বি কমে দ্রুত।
খাদ্যাভ্যাস: শুধু ব্যায়ামের কার্যকরভাবে চর্বি কমে না। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে রাখতে হবে পুষ্টিকর ও ক্যালোরি নিয়ন্ত্রিত খাবার খেতে হবে ভালো ফল পেতে।
ঘুম ও মানসিক চাপের মাত্রা: ঘুম ভালো না হওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদের মানসিক চাপ কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। যা পেটে চর্বি জমাতে বাধ্য করে।
সুস্থতার মাত্রা: নতুন অবস্থায় হাঁটা শুরু করলে প্রাথমিকভাবে দ্রুত ফলাফল চোখে পড়বে। তবে এই ফল ধরে রাখতে প্রয়োজন হবে হাঁটার তীব্রতা ও সময় বাড়ানো। এজন্য সুস্থ থাকার দিকটাও গুরুত্ব দিতে হবে।
আরও পড়ুন