প্রতিনিয়ত ক্লান্ত বোধ করার কারণ হতে পারে লুকিয়ে থাকা কোনো অসুস্থতার লক্ষণ।
Published : 10 Oct 2024, 05:59 PM
কাজের মধ্যে ক্লান্ত বোধ আর সারাক্ষণ ক্লান্তি বোধ করা এক বিষয় নয়।
নানান ধরনের শারীরিক জটিলতার কারণে যেমন ক্লান্তি বোধ হতে পারে, আবার কোনো কারণ নাও থাকতে পারে। আর এই প্রশ্নের উত্তর চিকিৎসক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চত হতে পারেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সেটা কতদিন পর ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত?
এই বিষয়ে মার্কিন চিকিৎসক ও হার্ভার্ড মেন্স হেল্থ ওয়াচ’য়ের প্রধান হাওয়ার্ড লেওয়াইন বলেন, “বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন, ক্লান্তির বিষয়টা কখন বিপজ্জনক পর্যায়ে যায়। তবে সাধারণভাবে বলা যায় দুয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্লান্তিবোধ না গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।”
হার্ভার্ড হেল্থ পাবলিশিং’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “দেহের ভেতর থাকা কোনো অসুস্থতা ও সংক্রমণের কারণেও সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগতে পারে। আর সেসবের লক্ষণের মধ্যে্ আছে- হালকা জ্বর, শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা অথবা অরুচি।”
এছাড়া শ্রান্তি কাজ করার আরেকটা কারণ হতে পারে ঠিকমতো ঘুম না হওয়া। এরফলে সারাদিন কাজ করতে ইচ্ছে হয় না অথবা সাধারণ কাজ করতেও কঠিন লাগে।
এসব লক্ষণ হতে পারে ঘুমের সমস্যা বা বিষণ্নতায় ভোগা।
ডা. লিওয়াইন বলেন, “এছাড়া কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও ক্লান্তিবোধ কাজ করতে পারে। তাই নিয়মিত কোনো ওষুধ গ্রহণ করলে সেটার কথা চিকিৎসককে জানাতে হবে।”
নির্দিষ্ট কিছু কারণেও দীর্ঘদিন ক্লান্তি কাজ করতে পারে। যেমন- অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা, হাইপোথাইরয়ডিজম বা যকৃতের কোনো অসুখ (জন্ডিস)।
তবে কোনো অসুখ খুঁজে না পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কারণ হিসেবে ডা. লিওয়াইন বলেন, “আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি বেশিরভাগ মানুষই কয়েদিন বিশ্রাম ও ভালো ঘুম দিয়ে ক্লান্তি কাটিতে উঠতে পারে।”
তাই পরীক্ষায় কোনো অসুখ ধরা না পড়লে, ক্লান্তিবোধ কাটাতে টানা কয়েকদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামের্শ দেন এই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন