শুধু ডায়েট করলেই হবে না ওজন কমাতে খেতেও হবে সময় বুঝে।
Published : 20 May 2024, 12:46 PM
ওজন কমানোর যাত্রায় বেশিরভাগ সময় খাবার ও শরীরচর্চার ওপর জোর দেওয়া হয়। তবে অভ্যাসের দিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি।
সেজন্য কোন সময় কী খাচ্ছেন সেটা নজরে আনার দরকার।
এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট নিবাসী পুষ্টিবিদ মেলিসা মিট্রি ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “দেহ সাধারণত ফলপ্রসুভাবে খাবার হজম করতে পারে দিনের প্রথম ভাগে। ফলে চর্বি হিসেবে না জমিয়ে শরীর খাবার থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ভালোমতো।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “এজন্য বিভিন্ন হরমোন, যেমন- ইন্সুলিন এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ দিনের প্রথমভাগে এই হরমোন সবচেয়ে বেশি কার্যকর থাকে।”
বিপাক প্রক্রিয়ার বিশ্রামের জন্য উপোস থাকার সময় নির্ধারণ
মিট্রি নির্দিষ্ট করে বলেন, “সকাল ৭টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে খাওয়ার সেরা সময়।”
এই বিষয়ে বার্মিংহাম’য়ে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালাবামা’র পরিচালিত গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, শুধু এই সময়ের মধ্যে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে কার্যকরভাবে ওজন কমানো যায়। পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর মেজাজেরও উন্নতি হয়।
তবে বেলা ৩টার মধ্যে হয়তো খাওয়া শেষ করা সম্ভব না। তাই বিশেষজ্ঞরা সাধারণত রাত আটটার মধ্যে ভারী খাবার খেয়ে ফেলার পরামর্শ দনে।
মিট্রি বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের দিকে নজর দেওয়ার চাইতে বেশিরভাগ ক্যালরি গ্রহণ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে।”
খাওয়ার রুটিনে আট থেকে ১২ ঘণ্টার উপোস থাকার চেষ্টা করা উচিত। যেমন- রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা। ফলে দেহের বিপাকপ্রক্রিয়াকে ১২ ঘণ্টার বিশ্রাম পেল।
আর এই ধরনের সময় নির্ধারণের মাধ্যমে ওজন কমানোর যাত্রা আরও দ্রুত করা যায়।
বেশিরভাগ ক্যালোরি সকালের নাস্তায় খাওয়া
দিনের প্রথমভাবে বেশি প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেন, মিট্রি।
এই অভ্যাস গড়তে পারলে ক্ষুধা লাগার পরিমাণ যেমন কমবে তেমনি পেটভরা অনুভূতি পাওয়া যাবে বেশিক্ষণ।
এই পুষ্টিবিদ বলেন, “সকালের নাস্তায় বেশি প্রোটিন গ্রহণ করলে সারাদিনে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই কমে আসে। কারণ ক্ষুধা লাগে কম।”
স্পেন’য়ের ‘ইউনিভার্সিটি অফ মার্সিয়া’র গবেষকদের করা গবেষণায় উল্লেখ করা হয়- রাতের খাবারের চাইতে সকালের নাস্তায় বেশি ক্যালরি গ্রহণ করলে বেশি ওজন কমানো যায়।
বেছে নিতে হবে প্রোটিনের উৎস
প্রোটিনযুক্ত দারুণ মজার সকালের নাস্তা হতে পারে ওমলেট’য়ের সাথে কিছু ফল ও টক দই। প্রতিবেলার খাবারের সাথে সুষম ও তরল নয় এমন প্রোটিন খাওয়া উচিত।
“তবে সকালের নাস্তায় প্রোটিন গ্রহণের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে”- পরামর্শ দেন মিট্রি।
এছাড়া দিনের অন্যান্য সময় খাওয়া যেতে পারে- মুরগির মাংস, মাছ, বীজ, বাদাম, ডাল, শুঁটি ও কম ননীযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার; আর এগুলো সবই প্রোটিনের চমৎকার উৎস।
আরও পড়ুন