কখনও কী ভেবেছেন স্তনের ভাঁজের ঘামও শরীরে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে?
যদি এই বিষয়টা মাথায় আসে তবে জেনে রাখুন শুধু বাহুমূল বা বগলে নয় বরং হাঁটু ও কনুইয়ের ভাঁজে আর স্তনের নিচের ঘাম কমাতেও ‘অ্যান্টিপার্সপারেন্ট’ বা ঘামরোধী রোলঅন ব্যবহার করা যায়।
আর সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
মায়ামি’র বোর্ড স্বীকৃত ত্বক বিশেষজ্ঞ হেদার উলেরি-এললয়েড বলছেন, “এই প্রসাধনীগুলো একদম নিরাপদ। ‘ডিওডোরেন্ট স্প্রে’ও ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে, শরীরের যে কোনো স্থানে।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “অ্যান্টিপার্সপারেন্ট’য়ে থাকে ‘অ্যালুমিনিয়াম সল্ট’ যা ঘামের গ্রন্থিগুলোকে আটকে দিয়ে ঘাম কমায়। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ ঢাকার জন্য থাকে সুগন্ধি উপাদান। তবে এই প্রসাধনীর প্রধান কাজ হল ঘাম কমানো। আর শরীরের যে কোনো অংশে প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করা যাবে।”
শুধু মুখমণ্ডল আর যৌনাঙ্গে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না একেবারেই। যদি অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া, র্যাশ দেখা দেয় তবে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে যা তৈরি করা হয়েছে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য।
“সাধারণ ‘ডিওডোরেন্ট’য়ের বদলে ‘অ্যান্টিপার্সপারেন্ট’ ব্যবহার করা ভালো। কারণ এটা ঘাম বন্ধ করে এবং সুগন্ধি দেয়। ‘ডিওডোরেন্ট’ শুধুই সুগন্ধির মাধ্যমে ঘামের দুর্গন্ধ ঢাকে”, বলেন এললয়েড।
তবে মনে রাখতে হবে ‘অ্যান্টিপার্সপারেন্ট’ ব্যবহার করলে সাদা বা হালকা রংয়ের পোশাক পরা যাবে না। কারণ এতে থাকা ‘অ্যালুমিনিয়াম সল্ট’ শরীরের জৈবিক তেলের সঙ্গে মিশে কাপড়ে হলুদাভ দাগ ফেলবে।
আরও পড়ুন