Published : 22 Sep 2024, 06:44 PM
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটানো যায়। তবে সেটা স্থায়ী সমাধান নয়।
সারা দেহে ত্বকের উপরিভাগের স্তর কেরাটিন ও তেল নিঃসরণের লোমকূপ না থাকায় ঠোঁট শুষ্ক ও খসখসে হয়।
এই তথ্য জানিয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া’তে অবস্থিত ‘সোলানো ডার্মাটোলজি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’য়ের চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞ ডা. সেরেনা ম্রাজ বলেন, “যে কারণে নানান উপাদানের সংস্পর্শে ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সূর্যের তাপ, বাতাস, গরম বা ঠাণ্ডা আবহাওয়াতে খসখসে ভাব আনতে পারে।”
আর ঠোঁটের সেরকম সুরক্ষক স্তর না থাকায় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
ঠোঁট শুকানোর লক্ষণ
খসখসেভাব হলে সহজেই ধরা পড়ে। তবে ঠোঁটে শুষ্কতার সমস্যা বোঝার আরও কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে-
ঠোঁটের ওপর ফাঁটা দাগ পড়া
চামড়া ওঠা বা ছিলে যাওয়া ভাব
ঠোঁটের কোণা ফাঁটা
টানটান অনুভূত হওয়া
ঠোঁটে কাগজের মতো খসখসে অনুভূতি
ঝাল বা লবণাক্ত খাবার খেলে ঠোঁট জ্বালা করা
ফ্যাঁকাসে লাগা বা ভোঁতা অনুভূত হওয়া
ঠোঁট আর্দ্র রাখার পন্থা
সাধারণভাবে ঠোঁট শুষ্কভাব হলে লিপবাম মাখার কথা মনে হয়।
তবে ডা. ম্রাজ বলেন, “মনে হওয়ার আগেই ঠোঁটের খসখসেভাব এড়ানো উচিত। নাহলে চামড়া উঠে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
ঠোঁট না চাটা: ঘনঘন জিহ্বা বুলানোর মানে হল ঠোঁটে শুষ্কভাব হচ্ছে। আর এটাই আর্দ্র রাখতে এটাই স্বাভাবিক পন্থা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেভার্লি হিল্স’য়ের ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. জ্যাকুলিন হাবাশাই-হাকিম একই প্রতিবেদনে বলেন, “এই কাজটা বরং বন্ধ করতে হবে। কারণ ঠোঁট চাটলেই ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে। কারণ লালা দ্রুত শুকিয়ে যায়। ফলে ঠোঁটের স্তরে আরও বেশি শুষ্কভাব আনে।”
এছাড়া লালাতে থাকা এঞ্জাইম ঠোঁটের ত্বক ভেঙে দেয়। ফলে আরও বেশি অস্বস্তি তৈরি হয়।
অস্বস্তিকর উপাদান এড়ানো: ত্বকের যত্নে তৈরি প্রসাধনী ঠোঁটে মাখলে সমস্যা হতে পারে।
ডা. হাবাশাই-হাকিম বলেন, “মেন্থল, ক্যাম্ফোর, ইউক্যালিপটাস, বিওয়াক্স, স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত উপাদান যুক্ত পণ্য ব্যবহার এড়াতে হবে।”
এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার: সূর্যের ক্ষতি এড়াতে এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। দিনে এই ধরনের লিপ বাম ব্যবহারে ঠোঁট আর্দ্র রাখার পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচায়- পরামর্শ দেন ডা. হাবাশাই-হাকিম।
স্তর যুক্ত পণ্য ব্যবহার: ত্বকের অন্যান্য জায়গার মতোই ঠোঁটে পানি-নির্ভর, ময়েশ্চারাইজার তেল সমৃদ্ধ প্রসাধনী মাখতে হবে। এক্ষেত্রে ‘ব্লিসটেক্স মেডিকেটেড’ এই উপাদান যুক্ত লিপ বাম বেছে নেওয়া ভালো। পেট্রোলিয়াম জেলি বা ‘লিপ অয়েল’ উপকারী।
দু্ই ঘণ্টা পরপর ব্যবহার: ডা. ম্রাজ বলেন, “যাই ব্যবহার করুন না কোনো, দুই ঘণ্টা পরপর ঠোঁটে সেটা পুনরায় মাখতে হবে। কারণ জিহ্বার ছোঁয়া, খাওয়া ইত্যাদি নানান কারণে ঠোঁটে মাখা ক্রিম বা বাম মুছে যেতে থাকে।”
এছাড়া নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন হয়। স্ক্রাবিং, ঠোঁটের ত্বক পরিচর্যার নানান পন্থা অনুসরণ, পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস ঠোঁট আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।
আরও পড়ুন