Published : 20 Mar 2023, 10:30 AM
এবারে পুরনো ‘শত্রু’ কানাডাভিত্তিক এক গ্যাংস্টারের কাছ থেকে নতুন ‘হুমকি’ পেয়েছেন বলিউডি তারকা সালমান খান। তবে প্রাণে মারার কথা সরাসরি বলা হয়নি, ভাইজানকে বলা হয়েছে সামনাসামনি দেখা করতে হবে, কারণ কিছু ‘হিসাব’ মেটানো বাকি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, শনিবার রাতে এই হুমকি বার্তা এসেছে ইমেইলে। সালমান তার অফিসিয়াল কাজের জন্য যে মেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করেন, সেখানে মোহিত মার্গ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে মেইলটি।
প্রেরক লিখেছেন, “গোল্ডি ভাই (গোল্ডি ব্রার) আপনার (সালামন) সঙ্গে কথা বলতে চান। এজন্য একটি সময় নির্ধারণ করতে হবে। সামনাসামনি গোল্ডি ভাই কথা বলবেন। হিসাব মেটাতে হবে।“
ওই চিঠিতে বিষ্ণোইয়ের সাক্ষাৎকারটি দেখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে কারাগারে বসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই ফের জানিয়েছেন, ক্ষমা না চাইলে সালমান খানকে হত্যার চিন্তাভাবনা থেকে তিনি সরছেন না।
গত বছর পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধুকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন গ্যাংস্টার গোল্ডি। সে সময় সালমান ও তার বাবা সেলিম খানকে খুনের হুমকি দিয়ে যে উড়োচিঠি দেওয়া হয়েছিল, তাতেও গোল্ডি ও গ্যাংস্টার লরেন্স বিঞ্চোই জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছিল মুম্বাই পুলিশ।
ইমেইল পেয়ে মুম্বাই থানায় মোহিত মর্গ, গোল্ডি ব্রার ও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সালমান। নতুন ‘হুমকি’ ভাইজানের পরিবার ও তার টিমের সদস্যদের নতুন করে উদ্বেগে ফেলেছে। বান্দ্রায় সালামানের বাসভবন ঘিরে এবং সালমান ও তার পরিবারের সব সদস্যদের নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
নিরাপত্তাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে সালমানকে তার কাজের শিডিউলে অদলবদল করারও পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। মুম্বাই পুলিশ মনে করছে, আগামী কয়েকদিন খোলা জায়গার কোনো অনুষ্ঠান বা শুটিংয়ে সালমানের না যাওয়াই ভালো।
আগামী এপ্রিলে মুক্তি পেতে যাওয়া সালমানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কা জান’ এর প্রচার পরিকল্পনাতে এই তারকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে বলেও পুলিশ মনে করছে।
২০১১ সালে ‘রেডি’ সিনেমার শুটিংয়ের মাঝে সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই ।এরপর ২০১৮ সালে সালমানকে হত্যার জন্য তিনি তার সহযোগী সম্পত নেহরাকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু সে সময় অস্ত্রের জটিলতায় পরিকল্পনা মাফিক কাজ সারতে পারেনি খুনিরা।
২০২১ সালে থেকে তিহার জেলে বন্দি আছেন বিষ্ণোই। গত বছরের জুনে সালমানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে উড়ো চিঠি আসার পর তার নাম ফের আলোচনায় আসে। তবে সে সময় পুলিশের কাছে হত্যার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এরপর গত বছরে শেষ নাগাদ সালমান হত্যায় বিষ্ণোইয়ের হত্যার ছক বেরিয়ে আসে দিল্লি ও পাঞ্জাব পুলিশের তদন্তে।
সে সময় পুলিশ জানিয়েছিল, বিষ্ণোইয়ের লোকজন সালমানকে পানভেলে তার খামারবাড়িতে হত্যার পরিকল্পনা এঁটেছিল। সেইমত তারা খামারবাড়িতে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছিল। কিন্তু পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা হত্যায় অন্যতম সন্দেহভাজন কপিল পণ্ডিতকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জেরা করে পুলিশ ওই পরিকল্পনা জেনে যায়।
এদিকে দিন কয়েক আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষ্ণোই বলেছেন, “'আমার জীবনের লক্ষ্য হল সালমান খানকে হত্যা করা। সালমানের নিরাপত্তা সরিয়ে দিলেই আমি তাকে হত্যা করব।“
সমাধানের রাস্তা দেখিয়ে এই গ্যাংস্টার বলেন, "যদি তিনি (সালমান) ক্ষমা চান, তাহলে বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। আসলে সালমান অহংকারী, সিধু মুসেওয়ালাও এমন ছিলেন। সালমানের অহং রাবণের চেয়েও বড়।"
পুরনো খবর
সালমানকে খুনের দায়িত্ব দেওয়া হয় এক কিশোরকে!
নিজের খামারবাড়িতেই খুন হতে পারতেন সালমান