ভক্ত-অনুরাগীদের কাছে শ্রীদেবী মানে নাচে ঝড় তোলা এক নায়িকা; আর জাহ্নবী কাপুরের কাছে সবার প্রথমে তিনি একজন মা। কিন্তু সেই মাকে হারিয়ে সব হারানোর অনুভূতির পাশাপাশি একধরনের ‘অদ্ভুত স্বস্তিও’ পেয়েছিলেন জাহ্নবী।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে মুম্বাইয়ের সাংবাদিক বারখা দত্তরের মুখোমুখি হয়েছিলেন জাহ্নবী কাপুর। সেখানে তিনি জানান, মা হারিয়ে কেমন ছিলেন এবং কেমন আছেন হিন্দি সিনেমার হালের এই নায়িকা।
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মারা যান বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীদেবী। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর জাহ্নবী বলেন, “মায়ের মৃত্যুর পর আমার প্রথমে মনে হল এর চেয়ে খারাপ কিছু আমার জীবনে ঘটতে পারে না। কিন্তু একধরনের অদ্ভুত স্বস্তিবোধ ভেতরে ভেতরে কাজ করেছিল।“
শোক হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু স্বস্তি কেন?
বারখার প্রশ্নের উত্তরে জাহ্নবী বলেন, “মাকে হারানো বিশাল ট্র্যাজেডি, মন এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। কিন্তু মনে হল এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি আমার প্রাপ্য ছিল। যা আমার পাওয়ার কথা সেটি পেয়ে যাই বলেই হয়ত স্বস্তিবোধ হয়েছিল। “
শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর প্রথম মাসতো বটেই পরেও দীর্ঘদিনের স্মৃতি অস্পষ্ট হয়ে আছে বলে জানান জাহ্নবী।
“ওই সময়টা কীভাবে গেছে সেটা আমার ভালোভাবে মনে নেই। সব অস্পষ্ট। সব ভুলে থাকতে আরও বেশি করে কাজে ব্যস্ত রেখেছি নিজেকে।“
জাহ্নবী কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, শ্রীদেবী চাইতেন না তার বড় মেয়ে সিনেমা জগতে আসুক।
“মা বলতেন, তিনি সারা জীবন কাজ করেছেন আমাদের স্বচ্ছন্দে রাখার জন্য। কিন্তু তিনি নিজে কখনো স্বচ্ছন্দে থাকেননি। আর তাই তিনি চাইতেন না আমি এসবের মধ্যে আসি।”
কিন্তু অভিনয়ের বাইরে কিছু ভাবতে না পারা জাহ্নবী জানান, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে মাকে কাছে পাবার অনুভূতি হয় তার।
“মা চলে যাওয়ার আগে আমার ‘ধড়ক’ সিনেমা নিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল। মা বলেছিলেন, আমি যেন সেরা শটটা দিতে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই।“
জাহ্নবীকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘মিলি’ ও ‘গুড লাক জেরি’তে সিনেমায়। আগামীতে তাকে রাজকুমার রাওয়ের সাথে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’তে দেখা যাবে। এছাড়া নায়ক বরুণ ধাওয়ানের সঙ্গে তার ‘বাওয়াল’ সিনেমাও মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
পুরনো খবর